ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃত্রিম উপায়ে মানব ডিম্বাণু এই প্রথম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ৮ বার পড়া হয়েছে

ভ্রূণের অপরিণত অবস্থায় গর্ভপাতের সমস্যায় ভোগেন বহু মহিলাই। তাঁদের জন্য সুখবর। এই প্রথম গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে ডিম্বাণু তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা। তবে সবটা এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার পর্যায়েই রয়েছে, জানান তাঁরা। ‘মলিকিউলার হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

অল্প বয়সে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায়, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি নেওয়ার ফলে যাঁদের গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি উপযোগী হতে পারে, দাবি গবেষকদের। ‘‘তবে আশঙ্কা থাকছেই! ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলো পরের প্রজন্মে চলে যাবে না তো,’’ বলছেন এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এভলিন টেলফারের দাবি, ‘‘যখন ডিম্বাণু নিষ্কাষণ হচ্ছে, তখন তাতে ক্ষতিকর কিছু না থাকার কথা। এডিনবরা ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই গবেষণার শুরু হয়েছিল ইঁদুর নিয়ে। সাফল্য মিলতেই মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। কুড়ি ও তিরিশের কোঠায় রয়েছেন, এমন ১০ মহিলার ডিম্বাশয় থেকে কোষ সংগ্রহ করা হয়। চার ভাগে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সেই কোষকে ডিম্বাণুতে পরিণত করা হয়। ৪৮টি ডিম্বাণু সফল ভাবে পরীক্ষার শেষ ভাগে পৌঁছয়। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় যায় ৯টি ডিম্বাণু। এভলিন অবশ্য জানান, চিকিৎসাক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেতে আরও বহু পথ পেরনো বাকি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কৃত্রিম উপায়ে মানব ডিম্বাণু এই প্রথম

আপডেট সময় : ০১:১৬:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

ভ্রূণের অপরিণত অবস্থায় গর্ভপাতের সমস্যায় ভোগেন বহু মহিলাই। তাঁদের জন্য সুখবর। এই প্রথম গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে ডিম্বাণু তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা। তবে সবটা এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার পর্যায়েই রয়েছে, জানান তাঁরা। ‘মলিকিউলার হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

অল্প বয়সে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায়, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি নেওয়ার ফলে যাঁদের গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি উপযোগী হতে পারে, দাবি গবেষকদের। ‘‘তবে আশঙ্কা থাকছেই! ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলো পরের প্রজন্মে চলে যাবে না তো,’’ বলছেন এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এভলিন টেলফারের দাবি, ‘‘যখন ডিম্বাণু নিষ্কাষণ হচ্ছে, তখন তাতে ক্ষতিকর কিছু না থাকার কথা। এডিনবরা ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই গবেষণার শুরু হয়েছিল ইঁদুর নিয়ে। সাফল্য মিলতেই মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। কুড়ি ও তিরিশের কোঠায় রয়েছেন, এমন ১০ মহিলার ডিম্বাশয় থেকে কোষ সংগ্রহ করা হয়। চার ভাগে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সেই কোষকে ডিম্বাণুতে পরিণত করা হয়। ৪৮টি ডিম্বাণু সফল ভাবে পরীক্ষার শেষ ভাগে পৌঁছয়। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় যায় ৯টি ডিম্বাণু। এভলিন অবশ্য জানান, চিকিৎসাক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেতে আরও বহু পথ পেরনো বাকি।