ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ককটেল হামলার নেপথ্যে: বিএনপির দুরভিসন্ধি নাকি অন্য কিছু?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই ২০১৮ ২৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের প্রচারণায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বাংলাভিশন টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিতোষ চৌধুরী আদিত্য ও স্থানীয় দোকানী স্বপন কুমার দাস আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে, কিন্তু আসলে কি ঘটেছিল পথসভায়? কি ছিল ককটেল বিস্ফোরণের পটভূমি?

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নগরীর সাগরপাড়া মোড়ে মেয়র প্রার্থী বুলবুলের নির্বাচনী পথসভা চলছিল। সেখানে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত। এরপরেই ঘটে ককটেলের বিস্ফোরণ। আতংকিত জনতা এরপর দিগ্বিদিক ছুটে যায়। পণ্ড হয়ে যায় সভা এবং পরবর্তীতে বিক্ষোভ করে বিএনপি।

রাজশাহীর গডফাদার হিসেবে খ্যাত, বাংলা ভাইয়ের মদদদাতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার সোমবার থেকে রাজশাহীতে অবস্থানের পর থেকেই উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। সোমবার রাতে রাজশাহীর পর্যটন মোটেলে লন্ডনে থাকা বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে বেশ সময় ধরে কথা বলেন দুলু। তারেকের কথা মত সকালে দুলু এ কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন অধিকাংশ এলাকাবাসী। নির্বাচনী এলাকায় নৌকার পক্ষে বিপুল জনমত দেখা যায়। নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের জন্য এই নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিমত দিয়েছেন অনেকে।

মানুষের সহানুভূতি পেতে, লিটনের পক্ষের জনমতকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি দাবি জানাচ্ছে এই হামলা করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু সাধারণ মানুষ বলছেন ভিন্ন কথা। অধিকাংশ নগরবাসীর ধারণা নির্বাচনকালীন স্টান্টবাজি করতে নিজেদের সমাবেশে নিজেরাই হামলা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি।

বিএনপিকে মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশের জন্য সুস্থ রাজনীতি করার পরামর্শ রাসিকবাসীর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ককটেল হামলার নেপথ্যে: বিএনপির দুরভিসন্ধি নাকি অন্য কিছু?

আপডেট সময় : ০৪:২৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই ২০১৮

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের প্রচারণায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বাংলাভিশন টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিতোষ চৌধুরী আদিত্য ও স্থানীয় দোকানী স্বপন কুমার দাস আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে, কিন্তু আসলে কি ঘটেছিল পথসভায়? কি ছিল ককটেল বিস্ফোরণের পটভূমি?

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নগরীর সাগরপাড়া মোড়ে মেয়র প্রার্থী বুলবুলের নির্বাচনী পথসভা চলছিল। সেখানে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত। এরপরেই ঘটে ককটেলের বিস্ফোরণ। আতংকিত জনতা এরপর দিগ্বিদিক ছুটে যায়। পণ্ড হয়ে যায় সভা এবং পরবর্তীতে বিক্ষোভ করে বিএনপি।

রাজশাহীর গডফাদার হিসেবে খ্যাত, বাংলা ভাইয়ের মদদদাতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার সোমবার থেকে রাজশাহীতে অবস্থানের পর থেকেই উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। সোমবার রাতে রাজশাহীর পর্যটন মোটেলে লন্ডনে থাকা বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে বেশ সময় ধরে কথা বলেন দুলু। তারেকের কথা মত সকালে দুলু এ কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন অধিকাংশ এলাকাবাসী। নির্বাচনী এলাকায় নৌকার পক্ষে বিপুল জনমত দেখা যায়। নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের জন্য এই নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিমত দিয়েছেন অনেকে।

মানুষের সহানুভূতি পেতে, লিটনের পক্ষের জনমতকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি দাবি জানাচ্ছে এই হামলা করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু সাধারণ মানুষ বলছেন ভিন্ন কথা। অধিকাংশ নগরবাসীর ধারণা নির্বাচনকালীন স্টান্টবাজি করতে নিজেদের সমাবেশে নিজেরাই হামলা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি।

বিএনপিকে মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশের জন্য সুস্থ রাজনীতি করার পরামর্শ রাসিকবাসীর।