বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট: এখন শুধুই অতীত
- আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে ‘সেশনজট’ শব্দটি একসময় খুব পরিচিত ছিল। সংবাদপত্রের পাতায় প্রায় প্রতিদিনই সেশনজট বিষয়ক খবর দেখা যেত। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেই প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গেছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ আন্তরিকতার কারণে এখন দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট নামক অভিশাপ থেকে মুক্ত।
অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক অস্থিরতার কবলে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম অনেক সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকতো। ফলে ক্লাস ও পরীক্ষা পিছিয়ে যেত এবং একাডেমিক সেশনজটের সৃষ্টি হতো। এ সেশনজট দূর করাকে তখন প্রায় অসম্ভব বলে মনে হত। অনেকেই একে শিক্ষা জীবনের অভিশাপ বলে মনে করতেন। অনার্স-মাস্টার্স সহ কোনো কোর্সই নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হতো না। চার বছরের অনার্স কোর্সে প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর পার হয়ে যেত। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবন থেকে চলে যেত জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট প্রায় শূন্যের কোঠায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে সেশনজট নামক বিরক্তিকর পরিস্থিতি এখন শুধুই অতীত। অনার্স-মাস্টার্স সহ সকল একাডেমিক কোর্স নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজটের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করে শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য বিশেষ নজর দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যেন কোনো দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে না হয় সেজন্য, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া কোনো কুচক্রী মহল যেন শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী না করতে পারে সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রেখেছে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আসন সংখ্যার দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী। নানা প্রতিকূলতা থাকা স্বত্বেও এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ও ফল প্রকাশে তেমন ঝামেলা হচ্ছে না। কার্যকরী ও আধুনিক পাঠদান প্রক্রিয়া অনুসরণের কারণে নির্ধারিত সময়েই সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় একই ধরণের চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।