ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকটকারদের জ্বালায় ময়মনসিংহে সূর্যমুখী চাষ করে বিপাকে কৃষক।

এস এম সজল।
  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ১২১ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ত্রিশালের সতেরপারা এলাকায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে বিপাকে পরল দুই তরুণ কৃষক। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ শতক জমির উপর এই বাগান করা হয়েছে। বর্তমানে বাগানে ফুলের সমারহ যে কারণে আনাগোনা বেড়েছে টিকটকার সহ নানা বয়স এবং শ্রেণী পেশার মানুষের। অনেক দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করছে মানুষ। মানুষের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষককে।

কৃষক সাইদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে তার বাগানের অনেক গাছ এবং ফুল নষ্ট করে ফেলেছে মানুষজন। পরবর্তীতে চাপ সামাল দিতে না পেরে টিকেটের ব্যবস্থা করেন তিনি। জমি চাষ করতে তার খরচ হয় ৫000 টাকার মত কিন্তু এক সপ্তাহ টিকেট বিক্রি করে উনি এখান থেকে প্রায় দ্বিগণ টাকা উঠিয়ে নিয়েছে।

সরজমিনে আমাদের প্রতিনিধি যে দেখতে পায় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে এবং ইউটিউবার টিকটকাররা ব্যস্ত ভিডিও রিলস্ বানাতে। অনেকে আবার ব্যস্ত ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার নেয়ার জন্য সব মিলিয়ে এটি যেন এক বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। স্থানীয় এক দর্শনার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি ত্রিশাল কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এখানে এসেছেন বাগান দেখতে এবং ছবি তুলতে। ইতিমধ্যে বাগানকে কেন্দ্র করে ফটোগ্রাফারের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শুরুতে টিকেট সিস্টেম না থাকায় কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল কৃষক বর্তমানে তিনি সন্তুষ্ট আছেন বলে জানান এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ৫00 থেকে ১০০০ পর্যটক আসেন বলে তিনি ব্যতিক্রম নিউজকে জানান।

এসএম সজল/ব্যতিক্রম নিউজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টিকটকারদের জ্বালায় ময়মনসিংহে সূর্যমুখী চাষ করে বিপাকে কৃষক।

আপডেট সময় : ০৪:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

ময়মনসিংহের ত্রিশালের সতেরপারা এলাকায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে বিপাকে পরল দুই তরুণ কৃষক। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ শতক জমির উপর এই বাগান করা হয়েছে। বর্তমানে বাগানে ফুলের সমারহ যে কারণে আনাগোনা বেড়েছে টিকটকার সহ নানা বয়স এবং শ্রেণী পেশার মানুষের। অনেক দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করছে মানুষ। মানুষের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষককে।

কৃষক সাইদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে তার বাগানের অনেক গাছ এবং ফুল নষ্ট করে ফেলেছে মানুষজন। পরবর্তীতে চাপ সামাল দিতে না পেরে টিকেটের ব্যবস্থা করেন তিনি। জমি চাষ করতে তার খরচ হয় ৫000 টাকার মত কিন্তু এক সপ্তাহ টিকেট বিক্রি করে উনি এখান থেকে প্রায় দ্বিগণ টাকা উঠিয়ে নিয়েছে।

সরজমিনে আমাদের প্রতিনিধি যে দেখতে পায় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে এবং ইউটিউবার টিকটকাররা ব্যস্ত ভিডিও রিলস্ বানাতে। অনেকে আবার ব্যস্ত ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার নেয়ার জন্য সব মিলিয়ে এটি যেন এক বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। স্থানীয় এক দর্শনার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি ত্রিশাল কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এখানে এসেছেন বাগান দেখতে এবং ছবি তুলতে। ইতিমধ্যে বাগানকে কেন্দ্র করে ফটোগ্রাফারের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শুরুতে টিকেট সিস্টেম না থাকায় কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল কৃষক বর্তমানে তিনি সন্তুষ্ট আছেন বলে জানান এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ৫00 থেকে ১০০০ পর্যটক আসেন বলে তিনি ব্যতিক্রম নিউজকে জানান।

এসএম সজল/ব্যতিক্রম নিউজ।