ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা টাঙ্গাইল সরাসরি ট্রেন সার্ভিস ও প্রতি ট্রেনে আলাদা বগি চালু করার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি॥ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা টাঙ্গাইল ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস কিংবা টাঙ্গাইলের উপড় দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনে জেলাবাসীর জন্য ১টি করে আলাদা বগি চালু করার দাবীতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনু্ষ্িঠত হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেল ষ্টেশনে টাঙ্গাইল জেলা অনলাইন গ্রুপ ঐক্যজোটের উদ্যোগে ২১ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রণাঙ্গসেনর বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার তোফাজ্জল হোসেন, টাঙ্গাইল ক্লাবের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন খান (খোকন), বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি নাসরিন জাহান খান (বিউটি), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মেঃ ওমর ফারুক (েিগরিলা বিপ্লব), সহ-সভাপতি এমএ মামুন নাহিদ, সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন টাঙ্গাইল পৌরশাখার সভাপতি মোঃ রাশেদ খান মেনন রাসেল (রাসেল), টাঙ্গাইলবাসীর জীবন যাত্রার সমস্যা ও সম্ভাবনা গ্রুপের এডমিন সামছুর রহমান মিলন, আল-আমিন খান প্রিন্স, শারমিন শ্রুতি, এহসান ইসলাম খান, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান মিলন, আমাদের টাঙ্গাইল গ্রুপের এডমিন রাশেদ ইবনে কুরবান, তালাশ খান, মিম জুলকার নাইম, প্রিয় টাঙ্গাইল জেলা গ্রুপের এডমিন মীর শামিমুল আলম, চাদঁ সুলতানা, মোঃ আল আমিন খান, আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি শাহীন চাকলাদার, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক রতন সিদ্দিকী, মেহেদী হাসান, তনয় কুমার বিশ্বাস, প্রবীণ দৌড়বিদ মির্জা শাহজাহান, মনিরুজ্জামান মনির, খোরশেদ আলম, মশিউর রহমান সোনা, যুবলীগ নেতা তারেক আমিন খান, হোমিও চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম, ঘারিন্দা উনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সাদ্দাম, রফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ’সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অনলাইন গ্রুপের সম্মানিত সদস্যগণ।
বক্তারা বলেন আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই। বিগত কয়েক বছর যাবৎ ঢাকা-টাঙ্গাইল-ট্রেনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী হয়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ, সেচ্ছাসেবী সামাজিক সেবামূলক বিভিন্ন সংগঠন, সুশীল সমাজ, সচেতন নাগরিক ও সাংবাদিকগণের সহযোগীতায় এই শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হলো। আমরা আপনাদেও মাধ্যমে ঢাকা- টাঙ্গাইল- ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস কিংবা টাঙ্গাইলের উপড় দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনে জেলাবাসীর জন্য ১টি করে আলাদা বগি চালু করার দাবী জানাই। রাজধানী ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। একসময় এ পথ পাড়ি দিতে দুই ঘণ্টার মতো সময়লাগত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের পর উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কর মাধ্যমে। এরপর পাকশী-কুষ্টিয়া সংযোগকারী লালন শাহ সেতু হওয়ার পর দক্ষিণ-পশ্চিমের কয়েকটি জেলার বাস-ট্রাক এ মহাসড়ক ব্যবহার করছে। ফলে এ মহাসড়ক এখন প্রায় ২০টি জেলার গাড়িচলাচল করছে। এতে টাঙ্গাইল জেলার মানুষেরা মহা সমস্যায় পড়ে গেছে। এই ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়িদিতে এখন কত সময় লাগবে, তা আগে থেকে বলার উপায় নেই। তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তির যেন কোনো অন্ত নেই। এ পথে একটি কমিউটার ট্রেন চলাচল করলে এ সময় অনায়াসে দুই ঘণ্টায় নামিযয়ে আনা সম্ভব। একসময় টাঙ্গাইলে রেলপথ না থাকলেও বঙ্গবন্ধু সেতুর কল্যাণে এখন সেখানে রেলপথ আছে। উত্তরবঙ্গ ও খুলনার বেশ কযয়েকটি ট্রেনও টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। কিন্তু এসব ট্রেনে টাঙ্গাইলের মানুষের পক্ষে আসন পাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, সেগুলো আগে থেকেই ভরে আসে। আর সকালে ট্রেন ধরে অফিস করা যায়, এমন ট্রেন নেই। এ রকম পরিস্থিতিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল একটি কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালু করা অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে। অন্তত টাঙ্গাইল থেকে সকাল সাতটায় একটি ট্রেন ছাড়লে বহু মানুষ ঢাকায় অফিস ধরতে পারবেন। আবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা বা সাতটায় ঢাকা থেকে সেটি ছাড়লে মানুষ অনায়াসে টাঙ্গাইলে ফিরতে পারবেন। ইতিপূর্বে এ ট্রেন চালু করার চেষ্টা কযয়েকবার করা হলেও সেটা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, সমস্ত বাধা দূরে ঠেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রেনসেবা চালু করা হোক। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে টাঙ্গাইলকে সমৃদ্ধ করতে প্রতিটি ভালোকাজে টাঙ্গাইলবাসী ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
উল্লেখ্য ট্রেন নিয়ে ফেসবুকে প্রথম লেখালেখি শুরু করে টাঙ্গাইল সাবালিয়ার ছেলে রাশেদ ইবনে কুরবান। এরপর লেখালেখি শুরু করেন বটতলার তালাশ খান। টাঙ্গাইলে ট্রেন নিয়ে ২০১৪ সালে প্রথম মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রেন চালু ও বিদ্যমান অন্যান্য ট্রেনে সিট বরাদ্দ বৃদ্ধিকরণের লক্ষে “মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড” টাঙ্গাইল জেলা শাখা দীর্ঘদিন যাবৎ মানববন্ধন ও জনসচেতনতা মূলক বিভিন্ন কার্যক্রম আসছে। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর যাবৎ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদের আহবানে ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মো. ওমর ফারুক বিপ্লব ও সদস্য সচিসাধারন সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল) এর নেতৃত্বে ঢাকা টাঙ্গাইল ট্রেনের দাবীতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সংগঠন একই দাবীতে সোচ্চার হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবীতে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্নভাবে প্রচারনা চালাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা টাঙ্গাইল সরাসরি ট্রেন সার্ভিস ও প্রতি ট্রেনে আলাদা বগি চালু করার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৮:০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি॥ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা টাঙ্গাইল ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস কিংবা টাঙ্গাইলের উপড় দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনে জেলাবাসীর জন্য ১টি করে আলাদা বগি চালু করার দাবীতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনু্ষ্িঠত হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেল ষ্টেশনে টাঙ্গাইল জেলা অনলাইন গ্রুপ ঐক্যজোটের উদ্যোগে ২১ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রণাঙ্গসেনর বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার তোফাজ্জল হোসেন, টাঙ্গাইল ক্লাবের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন খান (খোকন), বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি নাসরিন জাহান খান (বিউটি), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মেঃ ওমর ফারুক (েিগরিলা বিপ্লব), সহ-সভাপতি এমএ মামুন নাহিদ, সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন টাঙ্গাইল পৌরশাখার সভাপতি মোঃ রাশেদ খান মেনন রাসেল (রাসেল), টাঙ্গাইলবাসীর জীবন যাত্রার সমস্যা ও সম্ভাবনা গ্রুপের এডমিন সামছুর রহমান মিলন, আল-আমিন খান প্রিন্স, শারমিন শ্রুতি, এহসান ইসলাম খান, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান মিলন, আমাদের টাঙ্গাইল গ্রুপের এডমিন রাশেদ ইবনে কুরবান, তালাশ খান, মিম জুলকার নাইম, প্রিয় টাঙ্গাইল জেলা গ্রুপের এডমিন মীর শামিমুল আলম, চাদঁ সুলতানা, মোঃ আল আমিন খান, আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি শাহীন চাকলাদার, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক রতন সিদ্দিকী, মেহেদী হাসান, তনয় কুমার বিশ্বাস, প্রবীণ দৌড়বিদ মির্জা শাহজাহান, মনিরুজ্জামান মনির, খোরশেদ আলম, মশিউর রহমান সোনা, যুবলীগ নেতা তারেক আমিন খান, হোমিও চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম, ঘারিন্দা উনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সাদ্দাম, রফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ’সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অনলাইন গ্রুপের সম্মানিত সদস্যগণ।
বক্তারা বলেন আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই। বিগত কয়েক বছর যাবৎ ঢাকা-টাঙ্গাইল-ট্রেনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী হয়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ, সেচ্ছাসেবী সামাজিক সেবামূলক বিভিন্ন সংগঠন, সুশীল সমাজ, সচেতন নাগরিক ও সাংবাদিকগণের সহযোগীতায় এই শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হলো। আমরা আপনাদেও মাধ্যমে ঢাকা- টাঙ্গাইল- ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস কিংবা টাঙ্গাইলের উপড় দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনে জেলাবাসীর জন্য ১টি করে আলাদা বগি চালু করার দাবী জানাই। রাজধানী ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। একসময় এ পথ পাড়ি দিতে দুই ঘণ্টার মতো সময়লাগত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের পর উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কর মাধ্যমে। এরপর পাকশী-কুষ্টিয়া সংযোগকারী লালন শাহ সেতু হওয়ার পর দক্ষিণ-পশ্চিমের কয়েকটি জেলার বাস-ট্রাক এ মহাসড়ক ব্যবহার করছে। ফলে এ মহাসড়ক এখন প্রায় ২০টি জেলার গাড়িচলাচল করছে। এতে টাঙ্গাইল জেলার মানুষেরা মহা সমস্যায় পড়ে গেছে। এই ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়িদিতে এখন কত সময় লাগবে, তা আগে থেকে বলার উপায় নেই। তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তির যেন কোনো অন্ত নেই। এ পথে একটি কমিউটার ট্রেন চলাচল করলে এ সময় অনায়াসে দুই ঘণ্টায় নামিযয়ে আনা সম্ভব। একসময় টাঙ্গাইলে রেলপথ না থাকলেও বঙ্গবন্ধু সেতুর কল্যাণে এখন সেখানে রেলপথ আছে। উত্তরবঙ্গ ও খুলনার বেশ কযয়েকটি ট্রেনও টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। কিন্তু এসব ট্রেনে টাঙ্গাইলের মানুষের পক্ষে আসন পাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, সেগুলো আগে থেকেই ভরে আসে। আর সকালে ট্রেন ধরে অফিস করা যায়, এমন ট্রেন নেই। এ রকম পরিস্থিতিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল একটি কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালু করা অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে। অন্তত টাঙ্গাইল থেকে সকাল সাতটায় একটি ট্রেন ছাড়লে বহু মানুষ ঢাকায় অফিস ধরতে পারবেন। আবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা বা সাতটায় ঢাকা থেকে সেটি ছাড়লে মানুষ অনায়াসে টাঙ্গাইলে ফিরতে পারবেন। ইতিপূর্বে এ ট্রেন চালু করার চেষ্টা কযয়েকবার করা হলেও সেটা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, সমস্ত বাধা দূরে ঠেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রেনসেবা চালু করা হোক। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে টাঙ্গাইলকে সমৃদ্ধ করতে প্রতিটি ভালোকাজে টাঙ্গাইলবাসী ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
উল্লেখ্য ট্রেন নিয়ে ফেসবুকে প্রথম লেখালেখি শুরু করে টাঙ্গাইল সাবালিয়ার ছেলে রাশেদ ইবনে কুরবান। এরপর লেখালেখি শুরু করেন বটতলার তালাশ খান। টাঙ্গাইলে ট্রেন নিয়ে ২০১৪ সালে প্রথম মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রেন চালু ও বিদ্যমান অন্যান্য ট্রেনে সিট বরাদ্দ বৃদ্ধিকরণের লক্ষে “মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড” টাঙ্গাইল জেলা শাখা দীর্ঘদিন যাবৎ মানববন্ধন ও জনসচেতনতা মূলক বিভিন্ন কার্যক্রম আসছে। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর যাবৎ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদের আহবানে ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মো. ওমর ফারুক বিপ্লব ও সদস্য সচিসাধারন সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল) এর নেতৃত্বে ঢাকা টাঙ্গাইল ট্রেনের দাবীতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সংগঠন একই দাবীতে সোচ্চার হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবীতে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্নভাবে প্রচারনা চালাচ্ছে।