ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসাইলে প্রেমিকের কবরের পাশেই এলিনা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ ২০১৮ ১০ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুল ও এলিনা এরা দুজনেই একই এলাকার। জাহিদুল এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এলিনা নবম শ্রেণির ছাত্রী। প্রায় বছর খানেক আগে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রতিদিনই দেখা হতো। ভালই চলছিল তাদের প্রেম।

সম্প্রতি জাহিদুলের পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। পরে জাহিদুল এলিনাকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করবে এটা সবার মা-বাবাই চান। প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করা যাবে না সাফ জানিয়ে দেয় জাহিদুলের পরিবার। জাহিদুল তো কথা দিয়েছে এলিনাকে। বাঁচতে হলে একত্রে বাঁচবে, মরতে হলেও একত্রে। তাই জাহিদুল কোন উপায় না পেয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নেয়।

জাহিদুল পরিবারের অজান্তে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এদিকে প্রেমিক জাহিদুলের মৃত্যুতে এলিনা একা হয়ে পড়ে। বুকভরা কষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছিল এলিনা। জাহিদুলের মৃত্যুর পর এলিনা কারো সাথে তেমনটা কথা বলতো না। স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দেয় এলিনা।

সব সময় মনমরা হয়ে থাকতো। প্রেমিকের মৃত্যুর শোকে অবশেষে এলিনা চিরকুট লিখে একই কায়দায় গত ৫ মার্চ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এলিনা চিরকুটে লিখে যায় তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। মৃত্যুর পর যেন তার লাশ ময়নাতদন্ত না করা হয়।

জাহিদুলের কবরের পাশেই তাকে কবর দেয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু এলিনার শেষ অনুরোধটিও মানা হলো না। পুলিশ তো সরকারি নিয়মেই চলবে। নিময় অনুযায়ী পুলিশ এলিনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে। তবে এলিনার চিরকুট অনুযায়ী পরিবারটি তাকে জাহিদুলের কবরের পাশেই কবর দেয়।

জাহিদুল ইসলাম (১৭) বাসাইল উপজেলা বাংড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এলিনা আক্তার (১৫) একই এলাকার কালু মিয়ার মেয়ে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাসাইলে প্রেমিকের কবরের পাশেই এলিনা!

আপডেট সময় : ১০:৫৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ ২০১৮

জাহিদুল ও এলিনা এরা দুজনেই একই এলাকার। জাহিদুল এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এলিনা নবম শ্রেণির ছাত্রী। প্রায় বছর খানেক আগে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রতিদিনই দেখা হতো। ভালই চলছিল তাদের প্রেম।

সম্প্রতি জাহিদুলের পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। পরে জাহিদুল এলিনাকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করবে এটা সবার মা-বাবাই চান। প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করা যাবে না সাফ জানিয়ে দেয় জাহিদুলের পরিবার। জাহিদুল তো কথা দিয়েছে এলিনাকে। বাঁচতে হলে একত্রে বাঁচবে, মরতে হলেও একত্রে। তাই জাহিদুল কোন উপায় না পেয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নেয়।

জাহিদুল পরিবারের অজান্তে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এদিকে প্রেমিক জাহিদুলের মৃত্যুতে এলিনা একা হয়ে পড়ে। বুকভরা কষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছিল এলিনা। জাহিদুলের মৃত্যুর পর এলিনা কারো সাথে তেমনটা কথা বলতো না। স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দেয় এলিনা।

সব সময় মনমরা হয়ে থাকতো। প্রেমিকের মৃত্যুর শোকে অবশেষে এলিনা চিরকুট লিখে একই কায়দায় গত ৫ মার্চ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এলিনা চিরকুটে লিখে যায় তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। মৃত্যুর পর যেন তার লাশ ময়নাতদন্ত না করা হয়।

জাহিদুলের কবরের পাশেই তাকে কবর দেয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু এলিনার শেষ অনুরোধটিও মানা হলো না। পুলিশ তো সরকারি নিয়মেই চলবে। নিময় অনুযায়ী পুলিশ এলিনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে। তবে এলিনার চিরকুট অনুযায়ী পরিবারটি তাকে জাহিদুলের কবরের পাশেই কবর দেয়।

জাহিদুল ইসলাম (১৭) বাসাইল উপজেলা বাংড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এলিনা আক্তার (১৫) একই এলাকার কালু মিয়ার মেয়ে।