ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সিঁকিভাগও পূরণ করতে পারেননি বুলবুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই ২০১৮ ১১ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা ব্যস্ত এখন প্রচার প্রচারণায়। তারা সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন, কার কি নাগরিক সমস্যা, কোন এলাকায় কি সমস্যা এসব শুনছেন। অনেকে সাধারণ নাগরিকদের কাছে জানতে চাচ্ছেন যে নগরীর উন্নয়ন কিভাবে করলে তারা উপকৃত হবেন। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং প্রস্তুতি নিবেন বলে তারা আশা দিচ্ছেন রাজশাহীর জনগণকে। সেই সাথে আছে প্রার্থীদের আকর্ষণীয় নিবার্চনী ইশতেহার।

রাজশাহীর সদ্য বিদায়ী মেয়র বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। ২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি রাজশাহীর নগরপিতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় নির্বাচনীর প্রচার প্রচারণায় তিনি বেশ উন্নয়নমূলক ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন। সাধারণ জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিলেন তাদের পাশে থেকে নগরীর উন্নয়ন কাজে শরিক হবেন এবং তদারকি করবেন। কিন্তু মেয়র হওয়ার পর রাজশাহীবাসীর সামনে উঠে আসে মুদ্রার ওপিঠের চিত্র, যা তাদের ছিল একদমই অজানা।

বিএনপি দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক দল হিসেবেই বেশি পরিচিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিএনপির মেয়রও ঠিক তেমন দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময়কালে ইশতেহার অনুযায়ী কোনো কাজ নগরবাসীর চোখে পড়েনি। তিনি বলেছিলেন ক্ষমতায় গেলে রাজশাহীর সড়ক উন্নয়ন করবেন। রাজশাহীর ঐতিহ্য রেশম শিল্পকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে কাজ করবেন রেশম খাত উন্নয়নে। কিন্তু তাকে একদিনও দেখা যায়নি রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে। পদ্মা ও বারনই রাজশাহীর প্রাণ সঞ্চারকারী দুই নদীর নাম। কিন্তু নানা রকম অপরিকল্পিত স্থাপনা ও নগরীর আবর্জনায় দূষিত হয়েছে এই নদী। এই নদী দূষণের জন্য নগরবাসী ছিল চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এই নদী দূষণের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেননি বুলবুল। নজর দেননি রাজশাহীর শিল্প উন্নয়নের কাজে ।

বুলবুল মেয়র থাকাকালীন সময়ে তিনি অর্ধেকের বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন তার কৃতকর্মের জন্য। সময় পার করেছেন জেলে বসে। তাই তিনি উন্নয়ন মূলক কাজ কিছুই করতে পারেননি। জেলের বাহিরে থাকাকালীন সময়ে তিনি মেতে ছিলেন দুর্নীতির মতো গর্হিত কাজে। তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন শুধু মাত্র চটকদার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেই। কিন্তু কাজে তিনি তা আর সফল করেননি। নগরবাসীর কাছ থেকে জানা যায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাকে নগরীর কোনো উন্নয়ন কাজে দেখা যায়নি। নির্বাচনী ইশতেহারের সিঁকিভাগও পূরণ করেননি বুলবুল ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সিঁকিভাগও পূরণ করতে পারেননি বুলবুল

আপডেট সময় : ০৫:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই ২০১৮

রাজশাহী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা ব্যস্ত এখন প্রচার প্রচারণায়। তারা সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন, কার কি নাগরিক সমস্যা, কোন এলাকায় কি সমস্যা এসব শুনছেন। অনেকে সাধারণ নাগরিকদের কাছে জানতে চাচ্ছেন যে নগরীর উন্নয়ন কিভাবে করলে তারা উপকৃত হবেন। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং প্রস্তুতি নিবেন বলে তারা আশা দিচ্ছেন রাজশাহীর জনগণকে। সেই সাথে আছে প্রার্থীদের আকর্ষণীয় নিবার্চনী ইশতেহার।

রাজশাহীর সদ্য বিদায়ী মেয়র বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। ২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি রাজশাহীর নগরপিতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় নির্বাচনীর প্রচার প্রচারণায় তিনি বেশ উন্নয়নমূলক ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন। সাধারণ জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিলেন তাদের পাশে থেকে নগরীর উন্নয়ন কাজে শরিক হবেন এবং তদারকি করবেন। কিন্তু মেয়র হওয়ার পর রাজশাহীবাসীর সামনে উঠে আসে মুদ্রার ওপিঠের চিত্র, যা তাদের ছিল একদমই অজানা।

বিএনপি দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক দল হিসেবেই বেশি পরিচিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিএনপির মেয়রও ঠিক তেমন দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময়কালে ইশতেহার অনুযায়ী কোনো কাজ নগরবাসীর চোখে পড়েনি। তিনি বলেছিলেন ক্ষমতায় গেলে রাজশাহীর সড়ক উন্নয়ন করবেন। রাজশাহীর ঐতিহ্য রেশম শিল্পকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে কাজ করবেন রেশম খাত উন্নয়নে। কিন্তু তাকে একদিনও দেখা যায়নি রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে। পদ্মা ও বারনই রাজশাহীর প্রাণ সঞ্চারকারী দুই নদীর নাম। কিন্তু নানা রকম অপরিকল্পিত স্থাপনা ও নগরীর আবর্জনায় দূষিত হয়েছে এই নদী। এই নদী দূষণের জন্য নগরবাসী ছিল চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এই নদী দূষণের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেননি বুলবুল। নজর দেননি রাজশাহীর শিল্প উন্নয়নের কাজে ।

বুলবুল মেয়র থাকাকালীন সময়ে তিনি অর্ধেকের বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন তার কৃতকর্মের জন্য। সময় পার করেছেন জেলে বসে। তাই তিনি উন্নয়ন মূলক কাজ কিছুই করতে পারেননি। জেলের বাহিরে থাকাকালীন সময়ে তিনি মেতে ছিলেন দুর্নীতির মতো গর্হিত কাজে। তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন শুধু মাত্র চটকদার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেই। কিন্তু কাজে তিনি তা আর সফল করেননি। নগরবাসীর কাছ থেকে জানা যায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাকে নগরীর কোনো উন্নয়ন কাজে দেখা যায়নি। নির্বাচনী ইশতেহারের সিঁকিভাগও পূরণ করেননি বুলবুল ।