ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরপুরে ৪দিন ধরে বিদ্যূৎ বিচ্ছিন্ন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মে ২০১৮ ৮ বার পড়া হয়েছে

 

আজিজুল হক বাবু নাগরপুর প্রতিনিধিঃ   টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার প্রায় ৮-১০টি গ্রাম ৪দিন ধরে বিদ্যূৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। উপজেলার সরিষাজানী, পুগলী, ভারড়া, বাটরা, সিংদাইর, বেতো, শুনসিসহ ৮-১০টি গ্রাম বিদ্যূৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এর মধ্যে সরিষাজানী ও পূগলী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা ৪দিন ধরে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বিদ্যূৎ সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যপারে গ্রাহকরা টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসে বার বার যোগাযোগ করে কোন প্রকার সুফল না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। আকাশে মেঘ, পড়ার টেবিলে মোম এ হচ্ছে নাগরপুরের বিদ্যূতের অবস্থা। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার সাথে সাথে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসের সকল গ্রাহকদের বিদ্যূৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিদ্যূৎ সংযোগ সাময়িকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলেও তা কোন কোন গ্রামে ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন বিদ্যূৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়ে থাকে বলে এলাকার গ্রাহক সূত্রে জানা যায়।
টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। পরিবেশ শান্ত রাখতে উপজেলা সদরে বিদ্যূৎ সুবিধা দেওয়া হলেও গ্রাম-গঞ্জের হাজার হাজার গ্রাহকদের বেশির ভাগ সময় বিদ্যূৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে গ্রাম-গঞ্জের গ্রাহকদের অভিযোগ।
গয়হাটা ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হাকিম জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে রবিবার পর্যন্ত টানা ৪দিন ধরে সরিষাজানী ও পূগলী উত্তর পাড়া বিদ্যূৎ সংযোগ সম্পন্ন বন্ধ রয়েছে। এ দুটি গ্রামে ৪দিন ধরে বিদ্যূৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় দুটি গ্রামের প্রায় সহা¯্রাধিক মানুষ অন্ধকারে জীবন-যাপন করছে এবং স্কুল কলেজে পড়ুয়া বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের গ্রামের বিদ্যূতের যে অবস্থা এ দিকে নিয়মিত বিদ্যূৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। অপর দিকে নিয়মিত মোম ও কেরোসিন ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের গ্রামে বিদ্যূৎ থাকা আর না থাকা প্রায় সমান।
একাধিক গ্রাহক আক্ষেপের সুরে আরো বলেন, যে কোন সমস্য নিয়ে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসে গ্রাহকদের সেবায় নিয়োজিত জরুরী নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বেশির ভাগ সময় বন্ধ অথবা বিজি পাওয়া যায়। জরুরী নাম্বারে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যায় না।
এ ব্যপারে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম জয় প্রকাশ নন্দির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের অফিসের আওতায় প্রায় ৬০ হাজার বিদ্যূতের গ্রাহক রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঝড়ের কারনে গাছ-পালা পরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যূতের তার ছিড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যূৎ সংযোগ চালু করতে কিছু সময় বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া আমার অফিসের আওতায় গ্রাহকের তুলনায় জনবল কম হওয়ায় এ অফিসে কর্মরত প্রত্যেকে ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, উপজেলার প্রতিটি গ্রাহকদের বিদ্যূৎ সংযোগ সচল রাখতে আমি নিজেও আমার অফিসের লোকজনদের নিয়ে গ্রাম-গঞ্জে গিয়ে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নাগরপুরে ৪দিন ধরে বিদ্যূৎ বিচ্ছিন্ন

আপডেট সময় : ০৩:৫২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মে ২০১৮

 

আজিজুল হক বাবু নাগরপুর প্রতিনিধিঃ   টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার প্রায় ৮-১০টি গ্রাম ৪দিন ধরে বিদ্যূৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। উপজেলার সরিষাজানী, পুগলী, ভারড়া, বাটরা, সিংদাইর, বেতো, শুনসিসহ ৮-১০টি গ্রাম বিদ্যূৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এর মধ্যে সরিষাজানী ও পূগলী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা ৪দিন ধরে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বিদ্যূৎ সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যপারে গ্রাহকরা টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসে বার বার যোগাযোগ করে কোন প্রকার সুফল না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। আকাশে মেঘ, পড়ার টেবিলে মোম এ হচ্ছে নাগরপুরের বিদ্যূতের অবস্থা। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার সাথে সাথে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসের সকল গ্রাহকদের বিদ্যূৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিদ্যূৎ সংযোগ সাময়িকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলেও তা কোন কোন গ্রামে ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন বিদ্যূৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়ে থাকে বলে এলাকার গ্রাহক সূত্রে জানা যায়।
টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। পরিবেশ শান্ত রাখতে উপজেলা সদরে বিদ্যূৎ সুবিধা দেওয়া হলেও গ্রাম-গঞ্জের হাজার হাজার গ্রাহকদের বেশির ভাগ সময় বিদ্যূৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে গ্রাম-গঞ্জের গ্রাহকদের অভিযোগ।
গয়হাটা ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হাকিম জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে রবিবার পর্যন্ত টানা ৪দিন ধরে সরিষাজানী ও পূগলী উত্তর পাড়া বিদ্যূৎ সংযোগ সম্পন্ন বন্ধ রয়েছে। এ দুটি গ্রামে ৪দিন ধরে বিদ্যূৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় দুটি গ্রামের প্রায় সহা¯্রাধিক মানুষ অন্ধকারে জীবন-যাপন করছে এবং স্কুল কলেজে পড়ুয়া বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের গ্রামের বিদ্যূতের যে অবস্থা এ দিকে নিয়মিত বিদ্যূৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। অপর দিকে নিয়মিত মোম ও কেরোসিন ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের গ্রামে বিদ্যূৎ থাকা আর না থাকা প্রায় সমান।
একাধিক গ্রাহক আক্ষেপের সুরে আরো বলেন, যে কোন সমস্য নিয়ে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসে গ্রাহকদের সেবায় নিয়োজিত জরুরী নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বেশির ভাগ সময় বন্ধ অথবা বিজি পাওয়া যায়। জরুরী নাম্বারে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যায় না।
এ ব্যপারে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম জয় প্রকাশ নন্দির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের অফিসের আওতায় প্রায় ৬০ হাজার বিদ্যূতের গ্রাহক রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঝড়ের কারনে গাছ-পালা পরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যূতের তার ছিড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যূৎ সংযোগ চালু করতে কিছু সময় বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া আমার অফিসের আওতায় গ্রাহকের তুলনায় জনবল কম হওয়ায় এ অফিসে কর্মরত প্রত্যেকে ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, উপজেলার প্রতিটি গ্রাহকদের বিদ্যূৎ সংযোগ সচল রাখতে আমি নিজেও আমার অফিসের লোকজনদের নিয়ে গ্রাম-গঞ্জে গিয়ে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি।