ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮ ১১ বার পড়া হয়েছে

এ ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য ব্যতিক্রমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তরবঙ্গসহ ২৬টি জেলার প্রায় কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। রাজধানীর সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গ যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। প্রতিবছর ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের ভিড়ে এ মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রমি উদ্যোগের কারনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক যানযট মুক্ত থাকবে বলে আশা করছে পুলিশ প্রশাসন।

টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ১২ জুন মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ঈদের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মির্জাপুর ধেরুয়া রেল ক্রসিং থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৭৪৪জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এবছর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে নি¤œপদস্থ কর্মকর্তারা যানজট নিরসনে কাজ করবে। এছাড়াও ১৩৮জন আনছার সদস্য থাকবে মহাসড়কে। সব মিলিয়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট মুক্ত রাখতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। এবছর চারটি সেক্টরে পুলিশ ও আনছার সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়ী, রোড পারমিট, উল্টো লেনে গাড়ী চলাচলসহ অতিরিক্ত যাত্রী বহন (গাড়ীর ছাদে যাত্রী বহন) কারী প্রত্যেকটি পরিবহন চালককে মোবাইল কোটের মাধ্যমে জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হবে। এছাড়াও মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন বিকল হয়ে পড়লে তা তাৎক্ষনিকভাবে মহাসড়ক থেকে সরানোর জন্য পর্যাপ্ত সু-ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অপরদিকে মহাসড়কে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তা রেকার দিয়ে সরানোর জন্য দুটি রেকার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য কয়েকটি এ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।

উত্তরবঙ্গগামী হানিফ পরিবহনের চালক আজাদ, বিনিময় পরিবহন চালক জাহাঙ্গীর, পরিবহনের সুপারভাইজার আলমগীর, বাবু বলেন, ‘সড়কের বেহাল দশা আর নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে এখনি তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে কী হবে সেটা নিয়ে ভাবছি? তবে যানজট নিরসনে যদি জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ তৎপর থাকে তাহলে মহাসড়কে চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হবে।’

চারলেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জিকরুল হাসান বলেন, এবছর ঈদে ঘরমুখো মানুষদের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য মহাসড়কে নিমার্ধীন চারলেনের কয়েকটি অংশের রাস্তা ও বেশিরভাগ সেতু খুলে দেওয়া হবে। আশা করি ঈদের সময় কোন প্রকার যানজট থাকবে না।’

টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এবছর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের যেকোন পরিস্থিতী মোকাবেলা করার জন্য আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি এবছর যানজটমুক্ত থাকবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘আসন্ন ঈদে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে এবং ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি পৌঁছাতে পারেন সেজন্য পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক মহাসড়কে অবস্থান করবে

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৮:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮

এ ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য ব্যতিক্রমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তরবঙ্গসহ ২৬টি জেলার প্রায় কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। রাজধানীর সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গ যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। প্রতিবছর ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের ভিড়ে এ মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রমি উদ্যোগের কারনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক যানযট মুক্ত থাকবে বলে আশা করছে পুলিশ প্রশাসন।

টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ১২ জুন মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ঈদের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মির্জাপুর ধেরুয়া রেল ক্রসিং থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৭৪৪জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এবছর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে নি¤œপদস্থ কর্মকর্তারা যানজট নিরসনে কাজ করবে। এছাড়াও ১৩৮জন আনছার সদস্য থাকবে মহাসড়কে। সব মিলিয়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট মুক্ত রাখতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। এবছর চারটি সেক্টরে পুলিশ ও আনছার সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়ী, রোড পারমিট, উল্টো লেনে গাড়ী চলাচলসহ অতিরিক্ত যাত্রী বহন (গাড়ীর ছাদে যাত্রী বহন) কারী প্রত্যেকটি পরিবহন চালককে মোবাইল কোটের মাধ্যমে জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হবে। এছাড়াও মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন বিকল হয়ে পড়লে তা তাৎক্ষনিকভাবে মহাসড়ক থেকে সরানোর জন্য পর্যাপ্ত সু-ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অপরদিকে মহাসড়কে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তা রেকার দিয়ে সরানোর জন্য দুটি রেকার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য কয়েকটি এ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।

উত্তরবঙ্গগামী হানিফ পরিবহনের চালক আজাদ, বিনিময় পরিবহন চালক জাহাঙ্গীর, পরিবহনের সুপারভাইজার আলমগীর, বাবু বলেন, ‘সড়কের বেহাল দশা আর নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে এখনি তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে কী হবে সেটা নিয়ে ভাবছি? তবে যানজট নিরসনে যদি জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ তৎপর থাকে তাহলে মহাসড়কে চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হবে।’

চারলেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জিকরুল হাসান বলেন, এবছর ঈদে ঘরমুখো মানুষদের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য মহাসড়কে নিমার্ধীন চারলেনের কয়েকটি অংশের রাস্তা ও বেশিরভাগ সেতু খুলে দেওয়া হবে। আশা করি ঈদের সময় কোন প্রকার যানজট থাকবে না।’

টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এবছর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের যেকোন পরিস্থিতী মোকাবেলা করার জন্য আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি এবছর যানজটমুক্ত থাকবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘আসন্ন ঈদে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে এবং ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি পৌঁছাতে পারেন সেজন্য পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক মহাসড়কে অবস্থান করবে