ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে জামাতার বিরুদ্ধে শ্বশুড়ের ধর্ষণ মামলা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮ ১০ বার পড়া হয়েছে

সখীপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে মেয়ের বিয়ে মেনে না নিয়ে জামাতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন শ্বশুড়। উপজেলার বড়চওনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দায়ের করা ওই ধর্ষণ মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে আসেন জামাতা লিটন মিয়া। লিটন ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বড়চওনা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে নুসরাতকে গত ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাজী অফিসে দুই লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন লিটন মিয়া। বিয়ের পরে স্ত্রী নুসরাত অন্তসত্তা হয়ে পড়লে বাবা ওই বিয়েকে অস্বীকার করেন। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের পর অন্তসত্তার অভিযোগ এনে সখীপুর থানায় জামাতা লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন শ্বশুড় নাজিম উদ্দিন। পরে ওই মামলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর লিটন মিয়া টাঙ্গাইল পারিবারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ৪ মাস ১৬ দিন কারাবাসের পর গত ২৪ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পায় সে। এর মধ্যে স্ত্রী নুসরাতের কোলে ফাহাদ নামের এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।

এ বিষয়ে স্ত্রী নুসরাতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।

স্বামী লিটন মিয়া বলেন, বিয়ে মেনে না নিয়ে আমার শ্বশুড় ও এলাকার কিছু কুচক্রী মহল মিলে আমাদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় জেল খাটিয়েছেন। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ফেরৎ পেতে চাই।

মামলার বাদী নুসরাতের বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করলেও লিটনের আগের বউ বাচ্চা থাকায় নুসরাতকে তাঁর কাছে তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলের সখীপুরে জামাতার বিরুদ্ধে শ্বশুড়ের ধর্ষণ মামলা!

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮

সখীপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে মেয়ের বিয়ে মেনে না নিয়ে জামাতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন শ্বশুড়। উপজেলার বড়চওনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দায়ের করা ওই ধর্ষণ মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে আসেন জামাতা লিটন মিয়া। লিটন ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বড়চওনা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে নুসরাতকে গত ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাজী অফিসে দুই লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন লিটন মিয়া। বিয়ের পরে স্ত্রী নুসরাত অন্তসত্তা হয়ে পড়লে বাবা ওই বিয়েকে অস্বীকার করেন। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের পর অন্তসত্তার অভিযোগ এনে সখীপুর থানায় জামাতা লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন শ্বশুড় নাজিম উদ্দিন। পরে ওই মামলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর লিটন মিয়া টাঙ্গাইল পারিবারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ৪ মাস ১৬ দিন কারাবাসের পর গত ২৪ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পায় সে। এর মধ্যে স্ত্রী নুসরাতের কোলে ফাহাদ নামের এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।

এ বিষয়ে স্ত্রী নুসরাতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।

স্বামী লিটন মিয়া বলেন, বিয়ে মেনে না নিয়ে আমার শ্বশুড় ও এলাকার কিছু কুচক্রী মহল মিলে আমাদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় জেল খাটিয়েছেন। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ফেরৎ পেতে চাই।

মামলার বাদী নুসরাতের বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করলেও লিটনের আগের বউ বাচ্চা থাকায় নুসরাতকে তাঁর কাছে তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।