ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাংগাইলে স্কুল শিক্ষক কর্তৃক মেধাবী ছাত্রীর শ্লীলতাহানী ও যৌন হয়রানির অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ মে ২০১৮ ১০ বার পড়া হয়েছে

 

কামরুজ্জামান টাঙ্গাইল সদর প্রতিনিধি:  টাংগাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালেয়ের সহকারী শিক্ষক(ইংরেজী) আব্বাস উদ্দীন(৪২);পিতা:মৃত আ:খালেক,গ্রাম:পারবহুলী,ডাকঘর:মাকোরকোল,থানা ও জেলা:টাংগাইল।তার বিরুদ্ধে স্কুলের এক ছাত্রীকে ইভটিজিং/অশোভন আচরণ ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে।এছাড়া এই শিক্ষক নানা উপায়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন।এটা তার জন্য নতুন কোন ঘটনা নয়,বহু দিনের পুরনো অভ্যাস।দিন দিন তার তার এই অপচর্চা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে খোদ স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকরা।গত ১৯/০৪/২০১৮ ইং তারিখে মো:মতিযার রহমান (মতি);পিতা:মরহুম রাজ্জাক বেপারী,গ্রাম:কাতুলি (মোল্লা পাড়া) থানা ও জেলা :টাংগাইল;বাদী হয়ে বিদ্যালেয়ের এডহক কমিটির সভাপতির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।লিখিত অভিযোগে জানা যায়,বাদীর নাতনী মোছা:জাকিয়া আক্তার ঝুমা কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালেয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।ঝুমা ভালো ফলাফলের আশায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আব্বাস উদ্দীনের নিকট প্রাইভেট পড়তো,পড়ানোর সময ফাঁকা সুযোগ হলেই আব্বাস তাকে নানা ধরনের অশালীন আচরন ও যৌন আবেদনময়ী ইঙ্গিত করতো।এছাড়া সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছাত্রীকে সুযোগ পেলেই যৌন হযরানির অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকতো।ঘটনাটি ঝুমা পরিবারের সদস্যদের জানালে তার পরিবার সম্মানের খাতিরে বিষয়টিকে গোপন রাখে এবং ঝুমাকে সতর্ক করে দেয়।এদিকে আব্বাস মাস্টার তার কুমতলব হাসিলের উদ্দ্যেশে কৌশলে ঝুমাকে তার বাসায় ডেকে নেয় এবং ফাঁকা সুযোগ পেয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দেয়।ঝুমা আব্বাসের বাজে আচরন বুঝতে পেরে দ্রুত বাড়ি ফিরে এসে পরিবারকে বিষয়টি জানায়।পরবর্তীতে ঝুমার পরিবারের পক্ষে তার দাদা মো:মতিযার রহমান (মতি) এই ঘটনার বিচারের আশায় কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালেয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো:ইকবাল হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।অভিযোগ পেয়ে তা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।উক্ত ঘটনা জানাজানি হলে স্কুল ও এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।অভিযুক্ত আব্বাসের বিচার ও চাকুরী হতে বহিস্কারের দাবীতে স্কুল মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।পরবর্তীতে এডহক কমিটির সভাপতি মো:ইকবাল হোসেনের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অভিযুক্ত আব্বাস উদ্দীনের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রমাণিত হয়।এরপর তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিদ্যালেয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো:ইকবাল হোসেন চেতনা নিউজকে জানান,আব্বাস উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয়সূত্রে জানা যায়,

অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আব্বাস উদ্দীনের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।সে একজন জঘন্য স্তরের নিচু মনের মানুষ।একজন দুশ্চরিত্র ব্যক্তি।অসহায় ছাত্রীদের শ্লীলতাহানী;অসামাজিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দেয়া;জোর জবরদস্তিমূলক শরীরের স্পর্শকাতর অংগে হাত দেয়া;নানা ধরনের প্রলোভনে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া; সহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে সে জড়িত্ তার এ অপকর্মের কথা তার সহকর্মীদের নিকট হতেও জানা যায়।এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষক কর্মচারী সাধারন ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকরা তার বিরুদ্ধে সোচ্চার।তার এমন জঘন্য কাজের শিকার হয়ে বহু মেয়ে নিশ্চুপ থাকতো সম্মানের ভয়ে।শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত থেকে এমন জঘন্য কাজ করে সে সমাজের অবক্ষয় ঘটিয়ে ফেলেছে এবং শিক্ষক সমাজকে কলুষিত করেছে। সকল শ্রেণী পেশার সাধারন জনতা কিংবা ভুক্তোভোগীরা তার এ অন্যায়ের উপযুক্ত বিচার দাবী করে চলেছে।

এলাকাবাসী,ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা প্রশাসন সহ উর্ধতন কর্মর্তাদের কাছে তাকে চাকুরী থেকে স্থায়ীভাবে আজীবন বহিস্কারের দাবী জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাংগাইলে স্কুল শিক্ষক কর্তৃক মেধাবী ছাত্রীর শ্লীলতাহানী ও যৌন হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ মে ২০১৮

 

কামরুজ্জামান টাঙ্গাইল সদর প্রতিনিধি:  টাংগাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালেয়ের সহকারী শিক্ষক(ইংরেজী) আব্বাস উদ্দীন(৪২);পিতা:মৃত আ:খালেক,গ্রাম:পারবহুলী,ডাকঘর:মাকোরকোল,থানা ও জেলা:টাংগাইল।তার বিরুদ্ধে স্কুলের এক ছাত্রীকে ইভটিজিং/অশোভন আচরণ ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে।এছাড়া এই শিক্ষক নানা উপায়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন।এটা তার জন্য নতুন কোন ঘটনা নয়,বহু দিনের পুরনো অভ্যাস।দিন দিন তার তার এই অপচর্চা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে খোদ স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকরা।গত ১৯/০৪/২০১৮ ইং তারিখে মো:মতিযার রহমান (মতি);পিতা:মরহুম রাজ্জাক বেপারী,গ্রাম:কাতুলি (মোল্লা পাড়া) থানা ও জেলা :টাংগাইল;বাদী হয়ে বিদ্যালেয়ের এডহক কমিটির সভাপতির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।লিখিত অভিযোগে জানা যায়,বাদীর নাতনী মোছা:জাকিয়া আক্তার ঝুমা কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালেয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।ঝুমা ভালো ফলাফলের আশায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আব্বাস উদ্দীনের নিকট প্রাইভেট পড়তো,পড়ানোর সময ফাঁকা সুযোগ হলেই আব্বাস তাকে নানা ধরনের অশালীন আচরন ও যৌন আবেদনময়ী ইঙ্গিত করতো।এছাড়া সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছাত্রীকে সুযোগ পেলেই যৌন হযরানির অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকতো।ঘটনাটি ঝুমা পরিবারের সদস্যদের জানালে তার পরিবার সম্মানের খাতিরে বিষয়টিকে গোপন রাখে এবং ঝুমাকে সতর্ক করে দেয়।এদিকে আব্বাস মাস্টার তার কুমতলব হাসিলের উদ্দ্যেশে কৌশলে ঝুমাকে তার বাসায় ডেকে নেয় এবং ফাঁকা সুযোগ পেয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দেয়।ঝুমা আব্বাসের বাজে আচরন বুঝতে পেরে দ্রুত বাড়ি ফিরে এসে পরিবারকে বিষয়টি জানায়।পরবর্তীতে ঝুমার পরিবারের পক্ষে তার দাদা মো:মতিযার রহমান (মতি) এই ঘটনার বিচারের আশায় কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালেয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো:ইকবাল হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।অভিযোগ পেয়ে তা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।উক্ত ঘটনা জানাজানি হলে স্কুল ও এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।অভিযুক্ত আব্বাসের বিচার ও চাকুরী হতে বহিস্কারের দাবীতে স্কুল মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।পরবর্তীতে এডহক কমিটির সভাপতি মো:ইকবাল হোসেনের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অভিযুক্ত আব্বাস উদ্দীনের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রমাণিত হয়।এরপর তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিদ্যালেয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো:ইকবাল হোসেন চেতনা নিউজকে জানান,আব্বাস উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয়সূত্রে জানা যায়,

অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আব্বাস উদ্দীনের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।সে একজন জঘন্য স্তরের নিচু মনের মানুষ।একজন দুশ্চরিত্র ব্যক্তি।অসহায় ছাত্রীদের শ্লীলতাহানী;অসামাজিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দেয়া;জোর জবরদস্তিমূলক শরীরের স্পর্শকাতর অংগে হাত দেয়া;নানা ধরনের প্রলোভনে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া; সহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে সে জড়িত্ তার এ অপকর্মের কথা তার সহকর্মীদের নিকট হতেও জানা যায়।এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষক কর্মচারী সাধারন ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকরা তার বিরুদ্ধে সোচ্চার।তার এমন জঘন্য কাজের শিকার হয়ে বহু মেয়ে নিশ্চুপ থাকতো সম্মানের ভয়ে।শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত থেকে এমন জঘন্য কাজ করে সে সমাজের অবক্ষয় ঘটিয়ে ফেলেছে এবং শিক্ষক সমাজকে কলুষিত করেছে। সকল শ্রেণী পেশার সাধারন জনতা কিংবা ভুক্তোভোগীরা তার এ অন্যায়ের উপযুক্ত বিচার দাবী করে চলেছে।

এলাকাবাসী,ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা প্রশাসন সহ উর্ধতন কর্মর্তাদের কাছে তাকে চাকুরী থেকে স্থায়ীভাবে আজীবন বহিস্কারের দাবী জানান।