ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাংগাইলে ব্যাপক হারে পিডিবির বিদ্যুৎ চুরি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮ ১০ বার পড়া হয়েছে

 

কৃষ্মনগর ভাঙাবাড়ি,আনাহুলা এলাকা যা টাংগাইল জেলা পিডিবি এর আওতাভুক্ত সন্তোষ রিডার এর আওতাধীন।গত বছরের জানুয়ারীতে মেসার্স মুন পাওয়ার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ইলেকট্রিকাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টাংগাইল জেলা পিডিবি এর কাছ থেকে দরপএ আহবান করে মিটার রিডিং পর্যবেক্ষন এবং তা অনুযায়ী বিল করার দায়িত্ব নেয়।উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য ৭ জন সুপারভাইজার সহ প্রতি সুপারভাইজারের অধিনে ১০/১২ জন করে মিটার রিডার ম্যান নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

গত ০৯/০৪/২০১৮ ইং ঐ এলাকায নিযুক্ত সুপারভাইজার নুরুজ্জামান(গ্রাম:পিরোজপুর; ডাকঘর:কাকরাইদ;থানা:মধুপুর জেলা;টাংগাইল)এর অধীনে থাকা রিডারম্যান তরিকুল ও তার ভাড়াটে লোক বারেক মিলে কৃষ্মনগর ভাঙাবাড়ি গ্রামের আসমানীর বাড়িতে নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকা মিটার রিডিং যার আনুমানিক মূল্য ৮০০০ টাকা।উক্ত রিডিং শুন্য করে দেবার চুক্তিতে শুন্য রিডিংযুক্ত নতুন এক মিটার বসিয়ে দেয়।এসময় লোক মারফত খবর পেয়ে জেলা পিডিবির নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো: আনোয়ারুল ইসলাম তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলেন।৪০০০ টাকার বিনিময়ে তারা এ কাজটি করে বলে জানায়।এসময় তাদের কাছ থেকে জানা যায় এ অবৈধ কাজে সুপারভাইজার নুরুজ্জামান জড়িত।কিন্তু এ নিয়ে নুরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।পরে এ নিয়ে কথা বলতে মেসার্স মুন পাওয়ার এন্টারপ্রাইজের অফিসে গেলে অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায়।ধৃত তরিকুল ও বারেক জানায় মুন পাওয়ার এন্টারপ্রাইজের প্রতিটি সুপারভাইজারই এমন অবৈধ কাজ বহুদিন ধরে করে আসছেন।শুধু মিটার রিডিং কমানো নয় কখনো কখনো মিটার রিডিং নিজেদের ইচ্ছে মত বাড়িয়ে বসিয়ে অনেক গ্রাহককে হয়রানি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা ।এসময তরিকুল জানায় পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে সে এই অপরাধের পথে পা দিয়েছেন।

তবে এ কাজে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারন গ্রাহকরা।এ ব্যাপারে জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো: আনোয়ারুল ইসলাম জানান যে,জেলার ৩৮,০০০ গ্রাহকের সেবায় নিয়োজিত টাংগাইল জেলা পিডিবি এর কোন কর্মকর্তা এর সাথে জড়িত কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখবেন এবং থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয ব্যবস্থা নিবেন।এছাড়া তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথা জানিযেছেন।আর এ ধরনের অপরাধ ও প্রতারণা থেকে সকল গ্রাহককে সচেতন ও বিরত থাকার আনুরোধ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাংগাইলে ব্যাপক হারে পিডিবির বিদ্যুৎ চুরি

আপডেট সময় : ১০:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮

 

কৃষ্মনগর ভাঙাবাড়ি,আনাহুলা এলাকা যা টাংগাইল জেলা পিডিবি এর আওতাভুক্ত সন্তোষ রিডার এর আওতাধীন।গত বছরের জানুয়ারীতে মেসার্স মুন পাওয়ার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ইলেকট্রিকাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টাংগাইল জেলা পিডিবি এর কাছ থেকে দরপএ আহবান করে মিটার রিডিং পর্যবেক্ষন এবং তা অনুযায়ী বিল করার দায়িত্ব নেয়।উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য ৭ জন সুপারভাইজার সহ প্রতি সুপারভাইজারের অধিনে ১০/১২ জন করে মিটার রিডার ম্যান নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

গত ০৯/০৪/২০১৮ ইং ঐ এলাকায নিযুক্ত সুপারভাইজার নুরুজ্জামান(গ্রাম:পিরোজপুর; ডাকঘর:কাকরাইদ;থানা:মধুপুর জেলা;টাংগাইল)এর অধীনে থাকা রিডারম্যান তরিকুল ও তার ভাড়াটে লোক বারেক মিলে কৃষ্মনগর ভাঙাবাড়ি গ্রামের আসমানীর বাড়িতে নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকা মিটার রিডিং যার আনুমানিক মূল্য ৮০০০ টাকা।উক্ত রিডিং শুন্য করে দেবার চুক্তিতে শুন্য রিডিংযুক্ত নতুন এক মিটার বসিয়ে দেয়।এসময় লোক মারফত খবর পেয়ে জেলা পিডিবির নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো: আনোয়ারুল ইসলাম তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলেন।৪০০০ টাকার বিনিময়ে তারা এ কাজটি করে বলে জানায়।এসময় তাদের কাছ থেকে জানা যায় এ অবৈধ কাজে সুপারভাইজার নুরুজ্জামান জড়িত।কিন্তু এ নিয়ে নুরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।পরে এ নিয়ে কথা বলতে মেসার্স মুন পাওয়ার এন্টারপ্রাইজের অফিসে গেলে অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায়।ধৃত তরিকুল ও বারেক জানায় মুন পাওয়ার এন্টারপ্রাইজের প্রতিটি সুপারভাইজারই এমন অবৈধ কাজ বহুদিন ধরে করে আসছেন।শুধু মিটার রিডিং কমানো নয় কখনো কখনো মিটার রিডিং নিজেদের ইচ্ছে মত বাড়িয়ে বসিয়ে অনেক গ্রাহককে হয়রানি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা ।এসময তরিকুল জানায় পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে সে এই অপরাধের পথে পা দিয়েছেন।

তবে এ কাজে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারন গ্রাহকরা।এ ব্যাপারে জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো: আনোয়ারুল ইসলাম জানান যে,জেলার ৩৮,০০০ গ্রাহকের সেবায় নিয়োজিত টাংগাইল জেলা পিডিবি এর কোন কর্মকর্তা এর সাথে জড়িত কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখবেন এবং থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয ব্যবস্থা নিবেন।এছাড়া তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথা জানিযেছেন।আর এ ধরনের অপরাধ ও প্রতারণা থেকে সকল গ্রাহককে সচেতন ও বিরত থাকার আনুরোধ করেছেন।