ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাংগাইলের ভূঞাপুরে ভূট্টা চাষে লাভবান হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮ ১০ বার পড়া হয়েছে

ভূঞাপুুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুুরে
ভূট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে লাভবান
হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষকরা। ভূট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত
সময় পাড় করছে কৃষক-কৃষাণীরা। ভূঞাপুর
উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ
কৃষকরা জমিতে ভূট্টা চাষ করছে। নিকরাইল,
গাবসারা ও অর্জুুনা ইউনিয়নের ভদ্রশিমুল,
বাসুদেবকোল বোরার বয়ড়া, চরভরুয়া, চরতাড়াই,
বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, রামাইল, নলছিয়া,
জোকার চর গাবসারা ইউনিয়নের রুলিপাড়া,
গোবিন্দপুর, রামপুর, রায়ের বাসালিয়া অঞ্চলে
ভূট্টার ফলন খুুবই ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে
হাসি ফুটেছে। গোবিন্দাসি, গাবসারা ও
অর্জুনা ইউনিয়নে ভূট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।
অন্যান্য রবি শস্যের চেয়ে ভুট্টার ফলন বেশি
হওয়ায় ভুট্টার এ বিপ্লব দেখা দিয়েছে।
তাছাড়া সহজে আবাদযোগ্য এবং অধিক
লাভজনক হওয়ায় ভূট্টা চাষে কৃষকরা বেশি ঝুঁেক
পড়ছে। বিগত জরুরী অবস্থার সময় সেনাবাহিনীর
তত্তাবধানে ভূূঞাপুুরে চরাঞ্চলে প্রথম ভূট্টা
চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বর্তমান সরকার কৃষকদের
মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করায় প্রতি বছর
চরাঞ্চলে ভূট্টা চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১০৫০
হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছিল কিন্তু এবছর
১৪০০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছে।
উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অধিকাংশ
গ্রামের কৃষকরা ভূট্টা চাষ করেছে। কারন অন্য
ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষে খরচ কম এবং অল্প
খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। একবিঘা
জমিতে ধান চাষ করলে ১৫ থেকে ২০ মন ধান হয়
অপর দিকে একবিঘা জমিতে ভূট্টা হয় ৩০ থেকে
৩৫ মন। এছাড়া দামেও তেমন পার্থক্য নেই।
পানি সেচও কম লাগে কীটনাশক সারের
ব্যবহারও কম। গত বছরের চেয়ে এবছর ভূূট্টা চাষ
হয়েছে অনেক বেশি। ক্ষেত থেকে ছড়া কেটে
এনে শুকিয়ে মেশিনে মাড়াই করে ঘরে তোলা
শুরু করেছে।
উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ভূট্টা চাষী মো:
সায়েদ আলী জানান, আবাদে আন্যান্য ফসলের
চেয়ে খরচ কম তাই তিনি জমিতে ভূট্টা চাষ
করেছেন। রেহাই গাবসারার কৃষক তোফাজ্জল
হোসেন জানান, তিনি সাত বিঘা জমিতে ভূট্টা
চাষ করে এবছর যেমন ফলন পেয়েছেন তাতে
বিঘাতে ৩২ মন ছাড়িয়ে যাবে আসা করছেন
তিনি। একই গ্রামের সায়েদ আলী জানান,
যেভাবে ভুট্টা চাষ হয়েছে এতে করে তাদের
ভাগ্যের পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর
রহমান জানান, ইতোমধ্যেই তারা জানতে
পেরেছেন অধিকাংশ কৃষকের জমিতে ফলন
ভুট্টার ফলন ভাল হয়েছে। যখন যে কৃষক পরামর্শ
চেয়েছে তারা ঠিক ঠিক মত পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া ভুট্টার আখ গোখাদ্য আর ডাটা
জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় এজন্যও কৃষক
ভুট্টাচাষে আগ্রহী হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাংগাইলের ভূঞাপুরে ভূট্টা চাষে লাভবান হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষক

আপডেট সময় : ০৯:০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮

ভূঞাপুুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুুরে
ভূট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে লাভবান
হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষকরা। ভূট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত
সময় পাড় করছে কৃষক-কৃষাণীরা। ভূঞাপুর
উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ
কৃষকরা জমিতে ভূট্টা চাষ করছে। নিকরাইল,
গাবসারা ও অর্জুুনা ইউনিয়নের ভদ্রশিমুল,
বাসুদেবকোল বোরার বয়ড়া, চরভরুয়া, চরতাড়াই,
বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, রামাইল, নলছিয়া,
জোকার চর গাবসারা ইউনিয়নের রুলিপাড়া,
গোবিন্দপুর, রামপুর, রায়ের বাসালিয়া অঞ্চলে
ভূট্টার ফলন খুুবই ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে
হাসি ফুটেছে। গোবিন্দাসি, গাবসারা ও
অর্জুনা ইউনিয়নে ভূট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।
অন্যান্য রবি শস্যের চেয়ে ভুট্টার ফলন বেশি
হওয়ায় ভুট্টার এ বিপ্লব দেখা দিয়েছে।
তাছাড়া সহজে আবাদযোগ্য এবং অধিক
লাভজনক হওয়ায় ভূট্টা চাষে কৃষকরা বেশি ঝুঁেক
পড়ছে। বিগত জরুরী অবস্থার সময় সেনাবাহিনীর
তত্তাবধানে ভূূঞাপুুরে চরাঞ্চলে প্রথম ভূট্টা
চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বর্তমান সরকার কৃষকদের
মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করায় প্রতি বছর
চরাঞ্চলে ভূট্টা চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১০৫০
হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছিল কিন্তু এবছর
১৪০০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছে।
উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অধিকাংশ
গ্রামের কৃষকরা ভূট্টা চাষ করেছে। কারন অন্য
ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষে খরচ কম এবং অল্প
খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। একবিঘা
জমিতে ধান চাষ করলে ১৫ থেকে ২০ মন ধান হয়
অপর দিকে একবিঘা জমিতে ভূট্টা হয় ৩০ থেকে
৩৫ মন। এছাড়া দামেও তেমন পার্থক্য নেই।
পানি সেচও কম লাগে কীটনাশক সারের
ব্যবহারও কম। গত বছরের চেয়ে এবছর ভূূট্টা চাষ
হয়েছে অনেক বেশি। ক্ষেত থেকে ছড়া কেটে
এনে শুকিয়ে মেশিনে মাড়াই করে ঘরে তোলা
শুরু করেছে।
উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ভূট্টা চাষী মো:
সায়েদ আলী জানান, আবাদে আন্যান্য ফসলের
চেয়ে খরচ কম তাই তিনি জমিতে ভূট্টা চাষ
করেছেন। রেহাই গাবসারার কৃষক তোফাজ্জল
হোসেন জানান, তিনি সাত বিঘা জমিতে ভূট্টা
চাষ করে এবছর যেমন ফলন পেয়েছেন তাতে
বিঘাতে ৩২ মন ছাড়িয়ে যাবে আসা করছেন
তিনি। একই গ্রামের সায়েদ আলী জানান,
যেভাবে ভুট্টা চাষ হয়েছে এতে করে তাদের
ভাগ্যের পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর
রহমান জানান, ইতোমধ্যেই তারা জানতে
পেরেছেন অধিকাংশ কৃষকের জমিতে ফলন
ভুট্টার ফলন ভাল হয়েছে। যখন যে কৃষক পরামর্শ
চেয়েছে তারা ঠিক ঠিক মত পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া ভুট্টার আখ গোখাদ্য আর ডাটা
জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় এজন্যও কৃষক
ভুট্টাচাষে আগ্রহী হয়।