ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়নের মহাসড়কে সিলেট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮ ১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই ৯ বছরে দেশজুড়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে জায়গা করে নিয়েছে। সরকারের দেশব্যাপী এই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে দেশের উত্তর-পূর্ব এলাকার জনপদ সিলেটেও।

বিগত ৯ বছরে সিলেটে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। সিলেটে মেগাপ্রকল্প থেকে শুরু করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। সিলেটকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন।

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার প্রথম দফা ক্ষমতায় আসার পর সিলেটে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সুরমা নদীর উপর স্থাপিত কাজিরবাজার সেতু, গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারায় স্থাপিত কুশিয়ারা সেতু, সুনামগঞ্জের সুরমায় স্থাপিত আব্দুজ জহুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। এই কাজগুলো চার বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যক্টরি কাজ গত দুই বছর আগে শেষ হয়েছে। বর্তমানে ওই ফ্যাক্টরিতে পুরোদমে উৎপাদনে চলছে।

বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে লন্ডন থেকে সিলেটে আসার সরাসরি বিমান যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার লন্ডন থেকে সিলেটে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শত কোটি টাকা ব্যয়ে রিফুয়েলিং সিস্টেমস চালু করা হয়। বর্তমানে রানওয়ের শক্তিবৃদ্ধির জন্য ওই বিমানবন্দরে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সারা দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করেছে সরকার। সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক উন্নয়নে গ্রহণ করা ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে।

দুইশ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সিলেট নগরীর পানি সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এছাড়া শতকোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগর ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নগরীর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘উদ্দীপন’। ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেটের তামাবিলে স্থলবন্দর নির্মাণ করা হয়। এছাড়া সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে তিন হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করা। প্রায় দেড় বছর আগে সিলেটে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সিলেটে আরেকটি নতুন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেন। তার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এরইমধ্যে সিলেটে অর্থমন্ত্রীর পছন্দে সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়কে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তর করতে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ৩৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সড়ক পথটির উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

উন্নয়নের মহাসড়কে সিলেট

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই ৯ বছরে দেশজুড়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে জায়গা করে নিয়েছে। সরকারের দেশব্যাপী এই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে দেশের উত্তর-পূর্ব এলাকার জনপদ সিলেটেও।

বিগত ৯ বছরে সিলেটে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। সিলেটে মেগাপ্রকল্প থেকে শুরু করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। সিলেটকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন।

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার প্রথম দফা ক্ষমতায় আসার পর সিলেটে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সুরমা নদীর উপর স্থাপিত কাজিরবাজার সেতু, গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারায় স্থাপিত কুশিয়ারা সেতু, সুনামগঞ্জের সুরমায় স্থাপিত আব্দুজ জহুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। এই কাজগুলো চার বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যক্টরি কাজ গত দুই বছর আগে শেষ হয়েছে। বর্তমানে ওই ফ্যাক্টরিতে পুরোদমে উৎপাদনে চলছে।

বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে লন্ডন থেকে সিলেটে আসার সরাসরি বিমান যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার লন্ডন থেকে সিলেটে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শত কোটি টাকা ব্যয়ে রিফুয়েলিং সিস্টেমস চালু করা হয়। বর্তমানে রানওয়ের শক্তিবৃদ্ধির জন্য ওই বিমানবন্দরে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সারা দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করেছে সরকার। সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক উন্নয়নে গ্রহণ করা ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে।

দুইশ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সিলেট নগরীর পানি সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এছাড়া শতকোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগর ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নগরীর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘উদ্দীপন’। ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেটের তামাবিলে স্থলবন্দর নির্মাণ করা হয়। এছাড়া সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে তিন হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করা। প্রায় দেড় বছর আগে সিলেটে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সিলেটে আরেকটি নতুন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেন। তার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এরইমধ্যে সিলেটে অর্থমন্ত্রীর পছন্দে সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়কে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তর করতে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ৩৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সড়ক পথটির উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার।