ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে এবার স্কুল ছাত্রীকে হাত পা বেধে ধর্ষনের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১১০ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে হাত পা বেধে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা ওই ছাত্রী (১৩) স্থানীয় আলহাজ আইন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। সে উপজেলার জালাই গ্রামের রশিদ সিকদারের মেয়ে। ধর্ষক যুবলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন (৩২) একই গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের পুত্র। সে দপ্তিয়র ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক। সোমবার  বেলা ২টায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার উপজেলার চরাঞ্চাল দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামে। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মাইন উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের পুত্র যুবলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন (৩২) একই গ্রামের রশিদ সিকদারের নাবালিকা মেয়েকে প্রায়ই উত্যক্ত করত। বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুপ্রস্তাব দিত। সাজ্জাত হোসেন গত শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। পরে তাকে পার্শবর্তী তোতা সিকদারের বাশবাগানে নিয়ে হাত পা বেধে ফেলে। এ সময় ছাত্রীটি চিৎকারের চেষ্টা করলে মুখ বেধে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে। পরে ধর্ষিতার স্বজনরা অনেক খুজাখুজি করে ওই বাশবাগান থেকে তাকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। মিলিত হয় একাধিকবার সালিশী বৈঠকে। বিষয়টি অমিমাংসিত থাকায় সোমবার ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার রোশনাই সিকদার বলেন, ধর্ষনের ঘটনাটি আমি ধর্ষিতার মুখ থেকে শুনেছি। এ নিয়ে এলাকায় মিমাংসার চেষ্টাও করা হয়েছে। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মাইন উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। নাগরপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মীর আহম্মেদ শাহীন এ প্রসঙ্গে জানান, ঘটনার পরপরই যুবলীগের ওই নেতাকে কেন বহিস্কার করা হবে না মর্মে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলে এবার স্কুল ছাত্রীকে হাত পা বেধে ধর্ষনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে হাত পা বেধে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা ওই ছাত্রী (১৩) স্থানীয় আলহাজ আইন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। সে উপজেলার জালাই গ্রামের রশিদ সিকদারের মেয়ে। ধর্ষক যুবলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন (৩২) একই গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের পুত্র। সে দপ্তিয়র ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক। সোমবার  বেলা ২টায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার উপজেলার চরাঞ্চাল দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামে। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মাইন উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের পুত্র যুবলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন (৩২) একই গ্রামের রশিদ সিকদারের নাবালিকা মেয়েকে প্রায়ই উত্যক্ত করত। বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুপ্রস্তাব দিত। সাজ্জাত হোসেন গত শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। পরে তাকে পার্শবর্তী তোতা সিকদারের বাশবাগানে নিয়ে হাত পা বেধে ফেলে। এ সময় ছাত্রীটি চিৎকারের চেষ্টা করলে মুখ বেধে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে। পরে ধর্ষিতার স্বজনরা অনেক খুজাখুজি করে ওই বাশবাগান থেকে তাকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। মিলিত হয় একাধিকবার সালিশী বৈঠকে। বিষয়টি অমিমাংসিত থাকায় সোমবার ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার রোশনাই সিকদার বলেন, ধর্ষনের ঘটনাটি আমি ধর্ষিতার মুখ থেকে শুনেছি। এ নিয়ে এলাকায় মিমাংসার চেষ্টাও করা হয়েছে। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মাইন উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। নাগরপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মীর আহম্মেদ শাহীন এ প্রসঙ্গে জানান, ঘটনার পরপরই যুবলীগের ওই নেতাকে কেন বহিস্কার করা হবে না মর্মে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।