ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে গনধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী অন্তসত্ত্বা, জুতাপেটা ও জরিমানায় মীমাংসা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ৩২ বার পড়া হয়েছে

ধনবাড়ী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে গনধর্ষণের শিকার ধনবাড়ী কলেজিয়েট মডেল স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী অন্তসত্ত্বার ঘটনায় কয়েক ঘা জুতার আঘাত আর এক লাখ টাকা জরিমানা করে স্থানীয় কাউন্সিলর ও মাতাব্বররা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার পরীক্ষা বাদ রেখে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মামুনের মাধ্যমে নির্যাতিত মেয়েটির গর্ভপাত ঘটাতে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ারও খবর মিলেছে।

ধনবাড়ী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রূপশান্তি পশ্চিমপাড়ার এ ঘটনায় কাউন্সিলর জাকারিয়া বকল, স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মামুন, ধর্ষক আলামিনের বাবা মাহতাবসহ স্থানীয় কয়েকজন মাতাব্বর নিয়ে ধর্ষক রফিকুল, জিয়াউল হক ও আল আমিন গংদেরকে বাঁচাতে প্রহসনের বিচার করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নির্যাতিত মেয়েটির পরিবার সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রূপশান্তি এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে ছাগল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৩০) প্রতিবেশি হতদরিদ্র অসহায় এক পরিবারের স্কুল পড়–য়া মেয়ে (১৩) কে ফুসলিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। প্রতিবারই আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার নাটক করে গ্রুপের অন্য সদস্যদের সুযোগ দিতে মেয়েটিকে ধর্ষিত হতে বাধ্য করানো হয়।

এ কাজে এক এক করে একই এলাকার রহমান আলী মন্ডলের ছেলে জিয়াউল হক (৩২), মাহতাব আলীর ছেলে মেয়েটির সম্পর্কে মামা আল আমিনসহ (২৮) আরো ২/৩ জন যুক্ত হয়ে বার বার মেয়েটিকে ট্রেপে ফেলে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া বকল, পল্লী চিকিৎসক মামুন, সুমন মিয়া ও মাহতাবসহ স্থানীয় কয়েকজন মাতাব্বর নিয়ে শালিসের আয়োজন করেন। গত সোমবার রাতে এ নিয়ে শালিসী বৈঠকে ধর্ষকদের জুতার আঘাত, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মেয়েটির গর্ভপাত ঘটিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জরিমানার ৫০ হাজার টাকা নির্যাতিতার পরিবারের হাতে দিয়ে মেয়েটিকে গর্ভপাত ঘটানোর নির্দেশ দিয়ে এবং ঘটনাটি চেপে যেতেও চাপ দেয়া হয় পরিবারটিকে।

ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে বাদী-বিবাদী কেউ আমাকে এখন পর্যন্ত জানায়নি।

এদিকে মেয়েটির বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিল। মঙ্গলবারও সে পরীক্ষা দিয়েছে। গতকাল বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে- সে পরীক্ষায় অনুপস্থিত। ধনবাড়ী কলেজিয়েট মডেল স্কুলের

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে গনধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী অন্তসত্ত্বা, জুতাপেটা ও জরিমানায় মীমাংসা

আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

ধনবাড়ী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে গনধর্ষণের শিকার ধনবাড়ী কলেজিয়েট মডেল স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী অন্তসত্ত্বার ঘটনায় কয়েক ঘা জুতার আঘাত আর এক লাখ টাকা জরিমানা করে স্থানীয় কাউন্সিলর ও মাতাব্বররা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার পরীক্ষা বাদ রেখে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মামুনের মাধ্যমে নির্যাতিত মেয়েটির গর্ভপাত ঘটাতে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ারও খবর মিলেছে।

ধনবাড়ী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রূপশান্তি পশ্চিমপাড়ার এ ঘটনায় কাউন্সিলর জাকারিয়া বকল, স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মামুন, ধর্ষক আলামিনের বাবা মাহতাবসহ স্থানীয় কয়েকজন মাতাব্বর নিয়ে ধর্ষক রফিকুল, জিয়াউল হক ও আল আমিন গংদেরকে বাঁচাতে প্রহসনের বিচার করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নির্যাতিত মেয়েটির পরিবার সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রূপশান্তি এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে ছাগল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৩০) প্রতিবেশি হতদরিদ্র অসহায় এক পরিবারের স্কুল পড়–য়া মেয়ে (১৩) কে ফুসলিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। প্রতিবারই আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার নাটক করে গ্রুপের অন্য সদস্যদের সুযোগ দিতে মেয়েটিকে ধর্ষিত হতে বাধ্য করানো হয়।

এ কাজে এক এক করে একই এলাকার রহমান আলী মন্ডলের ছেলে জিয়াউল হক (৩২), মাহতাব আলীর ছেলে মেয়েটির সম্পর্কে মামা আল আমিনসহ (২৮) আরো ২/৩ জন যুক্ত হয়ে বার বার মেয়েটিকে ট্রেপে ফেলে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া বকল, পল্লী চিকিৎসক মামুন, সুমন মিয়া ও মাহতাবসহ স্থানীয় কয়েকজন মাতাব্বর নিয়ে শালিসের আয়োজন করেন। গত সোমবার রাতে এ নিয়ে শালিসী বৈঠকে ধর্ষকদের জুতার আঘাত, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মেয়েটির গর্ভপাত ঘটিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জরিমানার ৫০ হাজার টাকা নির্যাতিতার পরিবারের হাতে দিয়ে মেয়েটিকে গর্ভপাত ঘটানোর নির্দেশ দিয়ে এবং ঘটনাটি চেপে যেতেও চাপ দেয়া হয় পরিবারটিকে।

ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে বাদী-বিবাদী কেউ আমাকে এখন পর্যন্ত জানায়নি।

এদিকে মেয়েটির বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিল। মঙ্গলবারও সে পরীক্ষা দিয়েছে। গতকাল বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে- সে পরীক্ষায় অনুপস্থিত। ধনবাড়ী কলেজিয়েট মডেল স্কুলের