ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাংগাইলের মির্জাপুরে সহ সভাপতির বাড়িতে ও অফিসে সভাপতির সমর্থকদের হামলা ও ভাঙচুর। সহ সভাপতিকে ধরিয়ে দিলে লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে প্রচারনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮ ২৭ বার পড়া হয়েছে

 

মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমিতির দুই নেতার হাতাহাতির ঘটনায় সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদের সমর্থকরা ক্ষোব্দ হয়ে সহ সভাপতি বিপ্লব মাহমুদ উজ্জলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। হামলাকারীরা ঘরের দরজা জানালা ভাঙচুর করে। ঘটনার পর সমিতির অফিস থেকে সহ সভাপতির চেয়ার টেবিল বের করে ফেলা হয়েছে।এছাড়া সহ সভাপতি বিপ্লব মাহমুদকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করার পাশাপাশি তার ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য তার সম্পর্কে ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেণ। ঘটনার পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বিষয়টি তিনি মৌখিকভাবে মির্জাপুর থানা পুলিশকে জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ। সোমবার বিকেলে বাড়িতে হামলা ও মঙ্গলবার এ সকল ঘটনা ঘটে।

দুই নেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার বিকেলে মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়া মির্জাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম তফসীল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসীল অনুয়ায়ী আগামী ১৭এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ১৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিল ৩০ এপ্রিল প্রত্যাহার ৩ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার সকালে সমিতির বর্তমান সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ ও সমিতির সহ-সভাপতি বিপ্লব মাহমুদ উজ্জ্বলের মধ্যে সমিতির অফিসে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দুই নেতাই শারীরিকভাবে কমবেশি আহত হন।

বিপ্লব মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সকালে সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদের সঙ্গে অপ্রত্যাশিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেলে তার সমর্থকরা আমার গ্রামের বাড়ি গোড়াই হরিদ্রচালাতে হামলা চালায়। এসময় তারা ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তবে ওই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না বলে তিনি জানান।এছাড়া আজ মঙ্গলবার মীর শরীফ মাহমুদের লোকজন সমিতির অফিসে গিয়ে তার ব্যবহৃত চেয়ার টেবিল অফিস থেকে বের করে ফেলে দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।শরীফ মাহমুদের লোকজনের হামলা থেকে বাঁচতে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে থাকায় ফেসবুকে তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে বিপ্লব মাহহমুদ উজ্জল জানান তার ভাবমুর্তি নষ্ট করা ও নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য আরও অনেক মিথ্যা কথাও প্রচার করা হচ্ছে তিনি অভিযোগ করেন।বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন জানিয়েছে বলেন, এসব বিষয় মৌখিকভাবে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখিত অভিযোগের অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিআরডিবির চেয়ারম্যান মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, তার উপর হামলার পর তিনি কোন প্রতিক্রীয়া দেখান নি।তবে ক্ষোব্দ নেতাকর্মীরা ফেসবুকে লেখালেখি করছে। এসব বিষয়ে তার জানা নেই। অফিস থেকে সহ সভাপতির চেয়ার টেবিল সরিয়ে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, সমিতির সভাপতির উপর হামলা সমবায়ীরা ক্ষোব্দ চেয়ার টেবিল সরিয়ে ফেলেছে। এ সকল ঘটনার সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, টেলিফোনে বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল তাকে অবগত করেছেন।তবে তিনি অথবা তার প্রতিনিধিকে থানায় এসে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাংগাইলের মির্জাপুরে সহ সভাপতির বাড়িতে ও অফিসে সভাপতির সমর্থকদের হামলা ও ভাঙচুর। সহ সভাপতিকে ধরিয়ে দিলে লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে প্রচারনা

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮

 

মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমিতির দুই নেতার হাতাহাতির ঘটনায় সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদের সমর্থকরা ক্ষোব্দ হয়ে সহ সভাপতি বিপ্লব মাহমুদ উজ্জলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। হামলাকারীরা ঘরের দরজা জানালা ভাঙচুর করে। ঘটনার পর সমিতির অফিস থেকে সহ সভাপতির চেয়ার টেবিল বের করে ফেলা হয়েছে।এছাড়া সহ সভাপতি বিপ্লব মাহমুদকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করার পাশাপাশি তার ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য তার সম্পর্কে ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেণ। ঘটনার পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বিষয়টি তিনি মৌখিকভাবে মির্জাপুর থানা পুলিশকে জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ। সোমবার বিকেলে বাড়িতে হামলা ও মঙ্গলবার এ সকল ঘটনা ঘটে।

দুই নেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার বিকেলে মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়া মির্জাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম তফসীল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসীল অনুয়ায়ী আগামী ১৭এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ১৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিল ৩০ এপ্রিল প্রত্যাহার ৩ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার সকালে সমিতির বর্তমান সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ ও সমিতির সহ-সভাপতি বিপ্লব মাহমুদ উজ্জ্বলের মধ্যে সমিতির অফিসে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দুই নেতাই শারীরিকভাবে কমবেশি আহত হন।

বিপ্লব মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সকালে সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদের সঙ্গে অপ্রত্যাশিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেলে তার সমর্থকরা আমার গ্রামের বাড়ি গোড়াই হরিদ্রচালাতে হামলা চালায়। এসময় তারা ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তবে ওই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না বলে তিনি জানান।এছাড়া আজ মঙ্গলবার মীর শরীফ মাহমুদের লোকজন সমিতির অফিসে গিয়ে তার ব্যবহৃত চেয়ার টেবিল অফিস থেকে বের করে ফেলে দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।শরীফ মাহমুদের লোকজনের হামলা থেকে বাঁচতে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে থাকায় ফেসবুকে তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে বিপ্লব মাহহমুদ উজ্জল জানান তার ভাবমুর্তি নষ্ট করা ও নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য আরও অনেক মিথ্যা কথাও প্রচার করা হচ্ছে তিনি অভিযোগ করেন।বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন জানিয়েছে বলেন, এসব বিষয় মৌখিকভাবে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখিত অভিযোগের অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিআরডিবির চেয়ারম্যান মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, তার উপর হামলার পর তিনি কোন প্রতিক্রীয়া দেখান নি।তবে ক্ষোব্দ নেতাকর্মীরা ফেসবুকে লেখালেখি করছে। এসব বিষয়ে তার জানা নেই। অফিস থেকে সহ সভাপতির চেয়ার টেবিল সরিয়ে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, সমিতির সভাপতির উপর হামলা সমবায়ীরা ক্ষোব্দ চেয়ার টেবিল সরিয়ে ফেলেছে। এ সকল ঘটনার সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, টেলিফোনে বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল তাকে অবগত করেছেন।তবে তিনি অথবা তার প্রতিনিধিকে থানায় এসে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।