ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলের দখল এখন মশার হাতে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ এপ্রিল ২০১৮ ২৬ বার পড়া হয়েছে

চেতনা নিউজ ডেস্ক: টাঙ্গাইলে মশার কামড়ে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে পৌরবাসীর জীবন। ঘরে-বাইরে, স্কুল-কলেজ, অফিস আদালত, রাস্তা-ঘাট অথবা রেস্তোরাঁ সর্বত্রই বিরাজ করছে এখন মশার রাজত্ব। মশার দাপট আর মশাবাহিত রোগের শঙ্কায় দিনেও মশারি টানাতে হচ্ছে পৌরবাসীর। এ সত্ত্বেও মশা নিধনে কোনো কার্যক্রম নেই পৌরসভার। এছাড়া মশা নিয়ে অভিযোগ করলেই পৌরসভার অজুহাত বাজারে মশা নিধনের জন্য যে ওষুধ পাওয়া যায় তা এতই নিম্নমানের যে এতে মশার কিছুই হয় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ফগার স্প্রে মেশিনগুলো বন্ধ হয়ে আছে। এরফলে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার দখলদার এখন মশা। তবে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরর জানান, বাজারে যে মেডিসিন পাওয়া যায় তাতে মশা মরে না। অন্তত ডিম যেন ধ্বংস হয় সেজন্য দু’একদিনের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করা হবে।

পৌরবাসীর অভিযোগ, পৌর প্রশাসনের মশা নিধনে কোনো কার্যক্রম না থাকায় ব্যক্তিগত চেষ্টা আর মশার কামড় খেয়েই জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। মশার কারণে কোনো স্থানে একদণ্ড স্থির হয়ে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। সব জায়গায় মশার উৎপাত। এর কমতি নেই হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকগুলোতেও। ওয়ার্ডগুলোর ভেতরে ও বাইরে মশার কামড়ের জ্বালায় টেকা যায় না। মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন রোগীরাও। পৌরসভার মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধের কারণে মশার জীবাণুবাহী রোগের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পৌর এলাকার লাখ লাখ মানুষ। এর মধ্যে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ শঙ্কায় রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এ নিয়ে থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য লিয়াকত আলী বলেন, দিন রাত মশার জন্য কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তবে কয়েলও এখন মশা তাড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে সন্ধ্যার পর মশারি টানিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। ছেলে মেয়েদেরও পড়াশোনা করতে হয় মশারির ভেতর। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, আমাদের বাড়ির আশেপাশের ফুলের টব, নারকেলের খোসা ও এসিতে পানি জমতে দেয়া যাবে না। এসব স্থানে মশার বংশ বৃদ্ধি ঘটে। আমরা মশা তাড়াতে বিভিন্ন কয়েল বা অ্যারাসল ব্যবহার করে থাকি। এগুলোও স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এখানে পৌরসভা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তারা ফগার মেশিনের সাহয্যে মশা নিধন করতে পারে।

পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুর রহমান (আমিন) বলেন, আমরা মশা নিধনের লক্ষ্যে খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নিচ্ছি। ঠিকাদারের মাধ্যমে যে মশক নিধন মেডিসিন পেয়েছিলাম, তা প্রয়োগ করে ভালো ফল না পাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মশক নিধনে অধিক কার্যকরী মেডিসিন সংগ্রহে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলের দখল এখন মশার হাতে

আপডেট সময় : ১২:১০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ এপ্রিল ২০১৮

চেতনা নিউজ ডেস্ক: টাঙ্গাইলে মশার কামড়ে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে পৌরবাসীর জীবন। ঘরে-বাইরে, স্কুল-কলেজ, অফিস আদালত, রাস্তা-ঘাট অথবা রেস্তোরাঁ সর্বত্রই বিরাজ করছে এখন মশার রাজত্ব। মশার দাপট আর মশাবাহিত রোগের শঙ্কায় দিনেও মশারি টানাতে হচ্ছে পৌরবাসীর। এ সত্ত্বেও মশা নিধনে কোনো কার্যক্রম নেই পৌরসভার। এছাড়া মশা নিয়ে অভিযোগ করলেই পৌরসভার অজুহাত বাজারে মশা নিধনের জন্য যে ওষুধ পাওয়া যায় তা এতই নিম্নমানের যে এতে মশার কিছুই হয় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ফগার স্প্রে মেশিনগুলো বন্ধ হয়ে আছে। এরফলে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার দখলদার এখন মশা। তবে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরর জানান, বাজারে যে মেডিসিন পাওয়া যায় তাতে মশা মরে না। অন্তত ডিম যেন ধ্বংস হয় সেজন্য দু’একদিনের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করা হবে।

পৌরবাসীর অভিযোগ, পৌর প্রশাসনের মশা নিধনে কোনো কার্যক্রম না থাকায় ব্যক্তিগত চেষ্টা আর মশার কামড় খেয়েই জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। মশার কারণে কোনো স্থানে একদণ্ড স্থির হয়ে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। সব জায়গায় মশার উৎপাত। এর কমতি নেই হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকগুলোতেও। ওয়ার্ডগুলোর ভেতরে ও বাইরে মশার কামড়ের জ্বালায় টেকা যায় না। মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন রোগীরাও। পৌরসভার মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধের কারণে মশার জীবাণুবাহী রোগের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পৌর এলাকার লাখ লাখ মানুষ। এর মধ্যে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ শঙ্কায় রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এ নিয়ে থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য লিয়াকত আলী বলেন, দিন রাত মশার জন্য কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তবে কয়েলও এখন মশা তাড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে সন্ধ্যার পর মশারি টানিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। ছেলে মেয়েদেরও পড়াশোনা করতে হয় মশারির ভেতর। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, আমাদের বাড়ির আশেপাশের ফুলের টব, নারকেলের খোসা ও এসিতে পানি জমতে দেয়া যাবে না। এসব স্থানে মশার বংশ বৃদ্ধি ঘটে। আমরা মশা তাড়াতে বিভিন্ন কয়েল বা অ্যারাসল ব্যবহার করে থাকি। এগুলোও স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এখানে পৌরসভা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তারা ফগার মেশিনের সাহয্যে মশা নিধন করতে পারে।

পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুর রহমান (আমিন) বলেন, আমরা মশা নিধনের লক্ষ্যে খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নিচ্ছি। ঠিকাদারের মাধ্যমে যে মশক নিধন মেডিসিন পেয়েছিলাম, তা প্রয়োগ করে ভালো ফল না পাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মশক নিধনে অধিক কার্যকরী মেডিসিন সংগ্রহে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।