ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবিতে যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোলচত্বর এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র-জনতা। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে অবরোধকারীর ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন। এর আগে যমুনা গোলচত্বর এলাকায় সকাল থেকে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহাসড়কে নেমে অবরোধ করেন। তারা টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবিতে বিভিন্ন ¯েøাগান দেন। এ কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।
অবরোধকারীরা বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন ম্যাপও দেওয়া হয় সাইটে। কোনোভাবেই টাঙ্গাইল জেলাকে ভাগ করা যাবে না। ঢাকা বিভাগেই রাখতে হবে, না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সুমন চক্রবর্তী আন্দোলনকারী জানান, টাঙ্গাইল নিয়ে টানাহেঁচড়া চলবে না। টাঙ্গাইল ঢাকা বিভাগে না থাকলে টাঙ্গাইলকে বিভাগ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবেন তারা ।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহকে দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন টাঙ্গাইলকে এই বিভাগে যুক্ত করার কথা ছিল। জেলাবাসীর আন্দোলনের মুখে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, তাদের দাবিতে আমরাও একমত। তবে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগের স্থানান্তরের কোনো প্রজ্ঞাপন আমরা পাইনি।তবে বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবিতে যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ

আপডেট সময় : ০৪:২৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোলচত্বর এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র-জনতা। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে অবরোধকারীর ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন। এর আগে যমুনা গোলচত্বর এলাকায় সকাল থেকে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহাসড়কে নেমে অবরোধ করেন। তারা টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবিতে বিভিন্ন ¯েøাগান দেন। এ কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।
অবরোধকারীরা বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন ম্যাপও দেওয়া হয় সাইটে। কোনোভাবেই টাঙ্গাইল জেলাকে ভাগ করা যাবে না। ঢাকা বিভাগেই রাখতে হবে, না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সুমন চক্রবর্তী আন্দোলনকারী জানান, টাঙ্গাইল নিয়ে টানাহেঁচড়া চলবে না। টাঙ্গাইল ঢাকা বিভাগে না থাকলে টাঙ্গাইলকে বিভাগ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবেন তারা ।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহকে দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন টাঙ্গাইলকে এই বিভাগে যুক্ত করার কথা ছিল। জেলাবাসীর আন্দোলনের মুখে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, তাদের দাবিতে আমরাও একমত। তবে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগের স্থানান্তরের কোনো প্রজ্ঞাপন আমরা পাইনি।তবে বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে।