
সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসানের সভাপতিত্বে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রাসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১৮ (জুন) টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সন্মেলন কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামছুল আলম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন, টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো . আবুল হোসেন, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ খন্দকার সাদিকুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল, পিপি এস আকবর খান , টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ উজ্জামান, জেল সুপার ও বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ। কনফারেন্সে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাউদ হাসান বক্তব্য প্রদানকালে স্বাক্ষী ও আসামীর প্রতি ইস্যুকৃত সমন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং ক্রোকি পরোয়ানা দ্রুত তামিলের জন্য সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন। প্রতিদিন কোর্টে আনীত আসামীদের দুপুরের খাবার সরবরাহের জন্য জেল সুপারকে জেল কোড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। ফৌজদারী মামলার দ্রুত ও কার্যকর তদন্ত নিশ্চিত করার যথাসময়ে ভিকটিমের ডাক্তারী পরিক্ষা করার পাশাপাশি লাশের ময়নাতদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন। ছুটির দিনে নিয়মিত সাধারণ দিনের ন্যায় বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিসহ ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও ত্বরান্বিত করণে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরফুউদ্দীনের বক্তব্যে, আদালত কর্তৃক ইস্যুকৃত স্বাক্ষীর প্রতি সমন, গ্রেফতারী পরোয়ানা এব ক্রোকি পরোয়ানাসহ তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত তামিল ও প্রেরণসহ সকল বিষয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদেরের বক্তব্যে, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থা গতিশীল করার লক্ষ্যে উপস্থিত সকলের উদ্দেশে তার মূল্যবান দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সিনিয়র ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, পারিবারিক আদালতের বিচারকগণ, পুলিশ সুপার পিবিআই’র প্রতিনিধি, র্যাব-১২ সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডারের প্রতিনিধি, কোর্ট ইন্সপেক্টর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, সিএসআই ও জিআরও সহ আরও অনেকে।