সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : সে অনেক দিন আগের কথা, দিঘুলীয়া থেকে টাঙ্গাইল পৌরসভার ৫ নং ওর্য়াডে সাকরাইল যাবার রাস্তায় খালের পাশে একটি পাকুড় গাছ রোপণ করা হয়েছিল। কে বা কারা এই গাছটি রোপন করে ছিল তা সবারই এখনও অজানা এবং এ গাছের বয়স নিরূপণের চেষ্টা একেবারেই বৃথা। আনুমানিক শতবর্ষ অতিক্রমের ধারণা পোষণ করেন স্থানীয়রা। তাই একে শতায়ুবর্ষী গাছও বলা হয়ে থাকে। পাকুড় গাছটি এখন ইতিহাসের সাক্ষী এবং দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়ে ছিল।
আজ ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এই শতবর্ষ পাকুড় গাছটি মাটি ধসে উপড়ে পরে।
যমুনাসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় গাছটির নিচ থেকে মাটি ধসে যাওয়ায় শিকড় উপড়ে রাস্তার সহ পাশে বাড়ি উপর বিকট শব্দ করে গাছটি আছড়ে পরে। এত কোন হতাহত ঘটনা না ঘটলেও বাড়িতে থাকা একটি রিকসা দুমরে মুচড়ে যায়।
গাছটি রাস্তার উপর পরায় পশ্চিম অঞ্চলের সাথে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বিশেষ করে সদর উপজেলার দাইন্যা, হুগড়া, পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের এবং পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে।
পাকুড়গাছটি শুধু ইতিহাসের সাক্ষী নয়, দর্শনীয় আশ্চর্যের একটি উপাদানও ছিল। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা হাজারো মানুষের কাছে গাছটি ছিল দারুণ আকর্ষণীয়। গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ এতটুকু শীতল ছায়ার আশায় এখানে জড়ো হত।
প্রত্যক্ষদর্শী মিজা রোকন বলেন, ভোর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে বাড়ি থেকে রেব হয়ে দেখি শতবর্ষ পাকুড় গাছটি রাস্তার উপরে আছড়ে পরেছে। গাছটির নিচে কোন মাটি না থাকায় শিকড় উপড়ে গাছটি পরে গেছে।
দুখু মিয়া বলেন, গাছটি গোড়া এমনিতেই খালের কিনায় হওয়ায় ঝুঁকিতে ছিল কয়েকদিন যাবৎ পানি আসায় গাছটির নিচ থেকে মাটি সরে আস্তে আস্তে বামদিকে হেলতে ছিল আজ পুরো পাকুড় গাছটি পরে গেল।
আমিনুর রহমান বলেন, এই গাছ আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য ছিল কত বছরে পুরানো তা কারোই জানা ছিল না গাছটি আরো বিশাল আকৃতির ছিল আজ থেকে প্রায় ১০-১২ বছর আগে এর আরেকটি অংশ ভেঙ্গে গিয়েছিল আজ এ অংশটাও পরে গেল। এটা সত্যি দুঃখজনক গাছটি যখন জীবন ছিল তখন আমরা এলাকাবাসি কিংবা জনপ্রতিনিরা কেউ কোন পদক্ষেপ নেইনি আজ সবাই আফসোস করছে। এই শতবর্ষ পাকুড় গাছটি হারিয়ে।