স্কুলছাত্রীকে যৌননিগ্রহের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মানিক মিয়া(৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌননিগ্রহের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর মা।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ঘড়িয়া এলাকায় সংঘটিত বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কৃষক দলের এক নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অবিযোগ ওঠেছে। ওই ছাত্রী ঘড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত মানিক মিয়া একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে।
যৌননিগ্রহের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানায়, তার ভ্যানচালক বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সয্যাশায়ী। তার মা অতি কষ্টে ধার-দেনা করে তার বাবার চিকিৎসা ও মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার দুপুরে ওই শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে পূর্বচড়ায়(ক্ষেতে) শাক তুলতে গেলে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের মেশিন ঘরে নিয়ে যায় এবং তার উপর যৌননিগ্রহ চালায়। পরে কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। অসহায় অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে গিয়ে জানালে মা তাকে নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযোগ দিতে যায়। ওইসময় মানিকের ছেলে ও পরিবারের লোকজন তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার সময় তাদের বহনকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে ফোন দিয়ে অটোরিকশা ঘুরিয়ে থানায় না গিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন, নারান্দিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মাসুম। তিনি অভিযুক্তের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করে ভুক্তভোগী।
পরে স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে গ্রাম্যসালিশী বৈঠক পন্ড হয়ে যায়।
ওই ছাত্রী আরো অভিযোগ করেন, তার সাথে যা হয়েছে তা যেনো আর অন্য কারো সাথে না হয়- এজন্য তিনি যৌননিগ্রহকারী মানিক মিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
ভুক্তভোগীর মা জানান, যৌননিগ্রহের ঘটনা জানাতে গেলে অভিযুক্ত ও তার সহযোগীরা তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। নারান্দিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের(ঘড়িয়া) সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নারান্দিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহŸায়ক মাসুম সিএনজি চালকের মাধ্যমে তাদেরকে ‘দরবার’ করে বিষয়টি সমাধানের জন্য ডেকে আনেন। পরে সাবেক মেম্বার ও তার ছেলে কৌশলে অভিযুক্ত মানিক মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক মাসুম জানান, সামাজিকভাবে তাদের অনেক দ্বায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে তিনি ফোন দিয়ে তাদেরকে থানায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। সামাজিকভাবে অনেক কিছুরই মিমাংসা হয়ে থাকে। পরে তিনি বিভিন্ন মহল থেকে সাংবাদিকদের সংবাদ না করার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই স্কুলছাত্রীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।









