ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিসিক নির্বাচন: বেকায়দা ও চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক: দলীয় প্রতীকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩০ জুলাই। এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ-বিএনপির জন্য সম্মান বাঁচানোর লড়াই বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ। অনেকে বলছেন আরিফ-কামরানের জনপ্রিয়তা পরীক্ষার নির্বাচন হচ্ছে সিসিক নির্বাচন।

চলমান রাজনৈতিক অবস্থায় বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। কারণ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক জামায়াত সমর্থিত মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। এক নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহীসহ শরিক দলের প্রার্থী থাকায় দিনের বেলায় অন্ধকার দেখছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এই সু্যোগ কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। কামরান অন্তত দলীয় ভোটারদের বেইমানী করা নিয়ে কোন রকম দুশ্চিন্তা করছেন না। দলীয় ও সাধারণ ভোটাররা ভোট দিলেই বিজয়ী হবেন কামরান। তাই সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত রয়েছে আওয়ামী লীগ।

সূত্র বলছে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতারা মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তারা কামরানের বিজয় নিশ্চিতে মাঠে নেমেছেন ঐক্যবদ্ধভাবে। এ কারণেই অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। অন্য দিকে বিএনপির স্থানীয় নেতা বদরুজ্জামান সেলিম বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। কিন্তু এতে ভোটারদের মনে তেমন প্রভাব পড়েনি। বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ চাচ্ছে সিলেটে দলীয় মেয়র প্রার্থীকে জয়ী করে বিগত সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের শোধ নিতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। খুলনা এবং ২৫ জুন গাজীপুরে প্রথম ধাপের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সেই ধারাবাহিকতা সিলেটেও ধরে রাখতে মরিয়া দলটি। টানা দুবারের নির্বাচিত সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানেই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী এবার জমিয়ে তুলেছে সিলেট সিটির নির্বাচন। সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেট সিটি নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করে মাঠে নামেন। অ্যাডভোকেট জুবায়ের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে রয়েছেন আরিফুল হক।

সিলেটে জামায়াতই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দেবে। আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপি জোর চেষ্টা চালিয়েছে জামায়াতের সমর্থন আদায়ের। কিন্তু এখানে বিএনপি জামায়াতের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। পাঁচ সিটি নির্বাচনের মধ্যে শরিক দল হিসেবে জামায়াত শুধুমাত্র সিলেটে বিএনপির সমর্থন চেয়েছিল। বিএনপি এই সুযোগ দেয়নি। তবে নগরবাসীর সমর্থন আর আগ্রহের কারণেই ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন জামায়াত নেতা। আর এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বেগম জিয়ার প্রতীক ধানের শীষের পরাজয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সিসিক নির্বাচন: বেকায়দা ও চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপি

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮

ডেস্ক: দলীয় প্রতীকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩০ জুলাই। এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ-বিএনপির জন্য সম্মান বাঁচানোর লড়াই বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ। অনেকে বলছেন আরিফ-কামরানের জনপ্রিয়তা পরীক্ষার নির্বাচন হচ্ছে সিসিক নির্বাচন।

চলমান রাজনৈতিক অবস্থায় বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। কারণ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক জামায়াত সমর্থিত মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। এক নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহীসহ শরিক দলের প্রার্থী থাকায় দিনের বেলায় অন্ধকার দেখছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এই সু্যোগ কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। কামরান অন্তত দলীয় ভোটারদের বেইমানী করা নিয়ে কোন রকম দুশ্চিন্তা করছেন না। দলীয় ও সাধারণ ভোটাররা ভোট দিলেই বিজয়ী হবেন কামরান। তাই সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত রয়েছে আওয়ামী লীগ।

সূত্র বলছে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতারা মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তারা কামরানের বিজয় নিশ্চিতে মাঠে নেমেছেন ঐক্যবদ্ধভাবে। এ কারণেই অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। অন্য দিকে বিএনপির স্থানীয় নেতা বদরুজ্জামান সেলিম বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। কিন্তু এতে ভোটারদের মনে তেমন প্রভাব পড়েনি। বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ চাচ্ছে সিলেটে দলীয় মেয়র প্রার্থীকে জয়ী করে বিগত সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের শোধ নিতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। খুলনা এবং ২৫ জুন গাজীপুরে প্রথম ধাপের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সেই ধারাবাহিকতা সিলেটেও ধরে রাখতে মরিয়া দলটি। টানা দুবারের নির্বাচিত সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানেই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী এবার জমিয়ে তুলেছে সিলেট সিটির নির্বাচন। সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেট সিটি নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করে মাঠে নামেন। অ্যাডভোকেট জুবায়ের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে রয়েছেন আরিফুল হক।

সিলেটে জামায়াতই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দেবে। আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপি জোর চেষ্টা চালিয়েছে জামায়াতের সমর্থন আদায়ের। কিন্তু এখানে বিএনপি জামায়াতের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। পাঁচ সিটি নির্বাচনের মধ্যে শরিক দল হিসেবে জামায়াত শুধুমাত্র সিলেটে বিএনপির সমর্থন চেয়েছিল। বিএনপি এই সুযোগ দেয়নি। তবে নগরবাসীর সমর্থন আর আগ্রহের কারণেই ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন জামায়াত নেতা। আর এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বেগম জিয়ার প্রতীক ধানের শীষের পরাজয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।