ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসিক নির্বাচনে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বংশ পরিচয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

চেতনা ডেস্ক: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতিক নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক ও জাতীয় নেতা এ এইচ এম কামারুজ্জামানের পুত্র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হন এবং জয়লাভ করেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাকে রাজশাহীর অন্যতম সফল মেয়র বলা হয় ।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৫৯ সালের ১৪ আগষ্ট রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে এক বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং মাতার জাহানারা বেগম। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে লিটন চতুর্থ এবং ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। বংশগত ভাবে লিটনের পরিবার রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বাবা এ এইচ এম কামারুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

লিটনের দাদা আবদুল হামিদ মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন রাজশাহী অঞ্চলের মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আব্দুল হামিদের পিতার নাম হাজী লাল মোহাম্মাদ। রাজশাহী গলুই এর জমিদার হাজী লাল মোহাম্মদ কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি রাজশাহী থেকে পর পর দুবার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের (এমএলসি) সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী এসোসিয়েশন ও বরেন্দ্র একাডেমীর একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন।

লিটনের বড় মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি এবং রাজশাহী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। ১৯৭৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য তিনি ভারতে যান। সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে তিনি তার প্রথম স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে দ্বিতীয় বারের মত স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। লিটনের পেশাগত জীবন শুরু হয় আইনজীবি হিসেবে। ১৯৮৫ সালে তিনি তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য হন। আনুষ্ঠানিকভাবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে সংসদীয় আসন রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাসিক নির্বাচনে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বংশ পরিচয়

আপডেট সময় : ০৪:২৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮

চেতনা ডেস্ক: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতিক নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক ও জাতীয় নেতা এ এইচ এম কামারুজ্জামানের পুত্র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হন এবং জয়লাভ করেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাকে রাজশাহীর অন্যতম সফল মেয়র বলা হয় ।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৫৯ সালের ১৪ আগষ্ট রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে এক বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং মাতার জাহানারা বেগম। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে লিটন চতুর্থ এবং ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। বংশগত ভাবে লিটনের পরিবার রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বাবা এ এইচ এম কামারুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

লিটনের দাদা আবদুল হামিদ মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন রাজশাহী অঞ্চলের মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আব্দুল হামিদের পিতার নাম হাজী লাল মোহাম্মাদ। রাজশাহী গলুই এর জমিদার হাজী লাল মোহাম্মদ কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি রাজশাহী থেকে পর পর দুবার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের (এমএলসি) সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী এসোসিয়েশন ও বরেন্দ্র একাডেমীর একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন।

লিটনের বড় মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি এবং রাজশাহী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। ১৯৭৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য তিনি ভারতে যান। সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে তিনি তার প্রথম স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে দ্বিতীয় বারের মত স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। লিটনের পেশাগত জীবন শুরু হয় আইনজীবি হিসেবে। ১৯৮৫ সালে তিনি তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য হন। আনুষ্ঠানিকভাবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে সংসদীয় আসন রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।