ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮ ২৭ বার পড়া হয়েছে

মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল লেখেন, ‘একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দী থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটা ব্লক ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে কাউকে না জানিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে সিসিইউতে চার দিন ছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে হার্টের বাইপাস সার্জারি করানোর জন্য প্রস্তুত আছি।’ ফেসবুকের এ পোস্টটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে তিনি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বুধবার রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বুধবার ফেসবুকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আরও লেখেন, ‘আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশি পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।’ গৃহবন্দী থাকার কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে আমি একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। কিন্তু এই সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই মিরাজকে হত্যা করা হবে, তা কখনো বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি।’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ফেসবুকে লেখা তাঁর এই স্ট্যাটাসে একদিকে যেমন নিজের মনে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, পাশাপাশি নিজের চিকিৎসার জন্য কারও কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা চাননি। তিনি লিখেছেন, ‘কোনো সরকারি সাহায্য কিংবা শিল্পী, বন্ধুবান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নাই। আমি একাই যথেষ্ট। শুধু অপারেশনের আগে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা আর কোরআন শরিফ রাখতে চাই।’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের এই স্ট্যাটাসের পর দেশের সংগীত জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দ্রুত নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফেসবুকে অনেকেই এই গুণী মানুষটির চিকিৎসার জন্য এখনই সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাই আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮

মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল লেখেন, ‘একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দী থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটা ব্লক ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে কাউকে না জানিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে সিসিইউতে চার দিন ছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে হার্টের বাইপাস সার্জারি করানোর জন্য প্রস্তুত আছি।’ ফেসবুকের এ পোস্টটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে তিনি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বুধবার রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বুধবার ফেসবুকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আরও লেখেন, ‘আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশি পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।’ গৃহবন্দী থাকার কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে আমি একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। কিন্তু এই সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই মিরাজকে হত্যা করা হবে, তা কখনো বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি।’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ফেসবুকে লেখা তাঁর এই স্ট্যাটাসে একদিকে যেমন নিজের মনে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, পাশাপাশি নিজের চিকিৎসার জন্য কারও কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা চাননি। তিনি লিখেছেন, ‘কোনো সরকারি সাহায্য কিংবা শিল্পী, বন্ধুবান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নাই। আমি একাই যথেষ্ট। শুধু অপারেশনের আগে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা আর কোরআন শরিফ রাখতে চাই।’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের এই স্ট্যাটাসের পর দেশের সংগীত জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দ্রুত নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফেসবুকে অনেকেই এই গুণী মানুষটির চিকিৎসার জন্য এখনই সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাই আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।