মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে সাবেক এমপির বাসা দখল করা সেই সমন্বয়ক ৪ দিনের রিমান্ডে

- আপডেট সময় : ১২:২৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
টাঙ্গাইলে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাসা দখল, ভাংচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারকৃত নারী সমন্বয়ক ও ছাত্রপ্রতিনিধি মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে ৪ দিনের রিমাণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে রোববার রাত ১২ টার দিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, মিষ্টিকে ৭ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমাণ্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তারকৃত মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টি বাসাইল উপজেলার জশিহাটী গ্রামের শাহ আলমাসের স্ত্রী। তবে তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ায় বসবাস করছেন।
এ ঘটনায় রোববার রাতে সাবেক এমপি’র স্ত্রী রওশন আরা খান বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিষ্টিকে এক নাম্বার আসামী ও অজ্ঞাত আরো ৭-৯ জনকে আসামী করা হয়।
এদিকে রবিবার রাত ১১ টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জনকে নিয়ে দখল করা মানসিক ভারসাম্যহীনদের ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের সরকারি আশ্রমে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার সকালে জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি। সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য আশ্রম বানানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। সদর উপজেলা সহকারী কমিমনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।পরে মুচলেকা দিয়ে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো।
এদিকে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে মিষ্টির নাম থাকলেও ওই কমিটি বাতিল করা হয়। পরে টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে জায়গা হয়নি মিষ্টির নাম।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাড়িটিতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বাড়িটিতে আর কোনো লোক দেখা যায়নি।