ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা শহরেও ঘুরতে পারবেন নৌকায় ইতালির ভেনিসের মতো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮ ৩১ বার পড়া হয়েছে

ভেনিসের মতো ঢাকাতেও শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো যাবে,  শুনতে স্বপ্নের মতো হলেও ঢাকাকে ইতালির ভেনিস শহরের মতো করে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগ। যা বাস্তবায়িত হলে ভেনিসের মতো ঢাকাতেও শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো যাবে। এর ফলে জলপথে চলাচলের সুবিধা ছাড়াও নগরীর পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থাও হবে উন্নত। এ নিয়ে বুয়েটের কিছু মেধাবী ছাত্র একটি চমৎকার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। এটি বাস্তবায়নের বিষয়ে বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের সাথে একমত বর্তমান সরকারও।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষিণে যুক্ত করবে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল। যার নাম, গ্র্যান্ট ক্যানেল। তবে এরজন্য নতুন করে কোনো খাল খনন করতে হবে না। ভাঙতে হবে না কোনো বাড়িঘর। বরং পানি চলার বিদ্যমান পথগুলোকে শুধু ঢেলে সাজাতে হবে। খালের শুরুটা হবে হাজারীবাগে। যেখানে এখন একটি বক্স কালভার্টের নিচে লুকিয়ে আছে প্রাচীন প্রাকৃতিক খাল। হাজারীবাগ থেকে পান্থপথ হয়ে এই খাল যুক্ত হবে হাতিরঝিলে। মাঝপথে ভাঙ্গতে হবে পান্থপথের বক্স কালভার্টও। এভাবে গুলশান লেক আর উত্তরা হয়ে খালটি ছোঁবে আব্দুল্লাপুরের সীমানা।এ বিষয়ে গ্র্যান্ড ক্যানেল প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ গ্র্যান্ড ক্যানেলের বাস্তবায়ন সম্ভব বলে নিশ্চিত করেছেন।এই গবেষণায় যুক্ত বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী শুভ দত্ত জানান, এটি বাস্তবায়ন করা গেলে ঢাকার জলাবদ্ধতা ও যানজট দুটোই কমে যাবে।এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে ঢাকার লেকসমূহ।প্রসঙ্গত, যা এখন ঢাকার প্রাণকেন্দ্র,  বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিকল্পনায় বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই গড়ে উঠেছিলো হাতিরঝিলের প্রথম পরিকল্পনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা শহরেও ঘুরতে পারবেন নৌকায় ইতালির ভেনিসের মতো

আপডেট সময় : ০২:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮

ভেনিসের মতো ঢাকাতেও শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো যাবে,  শুনতে স্বপ্নের মতো হলেও ঢাকাকে ইতালির ভেনিস শহরের মতো করে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগ। যা বাস্তবায়িত হলে ভেনিসের মতো ঢাকাতেও শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো যাবে। এর ফলে জলপথে চলাচলের সুবিধা ছাড়াও নগরীর পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থাও হবে উন্নত। এ নিয়ে বুয়েটের কিছু মেধাবী ছাত্র একটি চমৎকার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। এটি বাস্তবায়নের বিষয়ে বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের সাথে একমত বর্তমান সরকারও।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষিণে যুক্ত করবে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল। যার নাম, গ্র্যান্ট ক্যানেল। তবে এরজন্য নতুন করে কোনো খাল খনন করতে হবে না। ভাঙতে হবে না কোনো বাড়িঘর। বরং পানি চলার বিদ্যমান পথগুলোকে শুধু ঢেলে সাজাতে হবে। খালের শুরুটা হবে হাজারীবাগে। যেখানে এখন একটি বক্স কালভার্টের নিচে লুকিয়ে আছে প্রাচীন প্রাকৃতিক খাল। হাজারীবাগ থেকে পান্থপথ হয়ে এই খাল যুক্ত হবে হাতিরঝিলে। মাঝপথে ভাঙ্গতে হবে পান্থপথের বক্স কালভার্টও। এভাবে গুলশান লেক আর উত্তরা হয়ে খালটি ছোঁবে আব্দুল্লাপুরের সীমানা।এ বিষয়ে গ্র্যান্ড ক্যানেল প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ গ্র্যান্ড ক্যানেলের বাস্তবায়ন সম্ভব বলে নিশ্চিত করেছেন।এই গবেষণায় যুক্ত বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী শুভ দত্ত জানান, এটি বাস্তবায়ন করা গেলে ঢাকার জলাবদ্ধতা ও যানজট দুটোই কমে যাবে।এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে ঢাকার লেকসমূহ।প্রসঙ্গত, যা এখন ঢাকার প্রাণকেন্দ্র,  বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিকল্পনায় বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই গড়ে উঠেছিলো হাতিরঝিলের প্রথম পরিকল্পনা।