ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাতি, ডাকাতদের ছোড়া এলোপাথারি গুলিতে আহত ১

- আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে
সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর মহাসড়কে ফের প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদল এলোপাথারি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে হাইওয়ে পুলিশের রেকার হেলপার গুরুত্বর আহত হয়েছে ।
শুক্রবার (৩০ মে) দিবাগত রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।। এতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।আহত রেকার হেলপার তুহিন মিয়াকে (২৮) কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ডাকাত দলের ব্যবহৃত একটি হাইয়েস ও প্রবাসীর মাইক্রোবাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মাইক্রোবাসের যাত্রী সুমাইয়া আক্তার জানান, তার ননদ বিউটি আক্তার জর্ডান প্রবাসী। তিনি শুক্রবার জর্ডান থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন। রাতে তারা টঙ্গী এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। মাইক্রোবাসে তার ননদ বিউটি, সম্পা, শ্বশুর আব্দুল হামিদ ও তাদের শিশু সন্তান ছিল। রাত আড়াইটার দিকে মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের পুষ্টকামুরী চরপাড়া এলে পেছন দিক থেকে আসা একটি হাইয়েস তাদের মাইক্রোবাসটির গতিরোধ করে। এসময় ৭-৮ জনের ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। তাদের কাছে পিস্তল, পুলিশের ওয়াকি-টকি, পুলিশের হ্যান্টকাফ, বন্দুক, চাপাতি, ছুরি, লাঠি ও দাঁ ছিল। সবাইকে জিম্মি করে ৫-৬টি মেবাইল ফোন, নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ তাদের মালামাল লুটে নেয়। তারা চিৎকার করলে গুলি করার হুমকি দেয় ডাকাতরা।
মহাসড়ক দিয়ে টহল পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের একদল সদস্য ঘটনা দেখে ডাকাতদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা গুলি ছোঁড়ে। গুলিতে হাইওয়ে থানার রেকার চালক তুহিন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এদিকে প্রবাসী বিউটির শ্বশুর আব্দুল হামিদ ও সুমাইয়া অভিযোগ করেন, তাদের ভাড়া নেওয়া মাইক্রোবাসের চালক মুস্তাকিন ও হেলপার জুয়েলকে তাদরে সন্দেহ হচ্ছে। শুরু থেকেই তারা মাইক্রোবাস নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় তাদের ঘুরিয়েছে। ডাকাতির সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ তাদের।
এদিকে ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ তুহিনকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তুহিন বলেন, গুলি বের করা হয়েছে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচেছেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া একটি হাইয়েস ও প্রবাসীর মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য- বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিনগত রাত ৩টার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুরে ট্রাকের চালক ও হেলপারের হাঁত-পা বেঁধে ট্রাকসহ ৬০ ড্রাম সয়াবিন তেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপারকে মারধর করে আহত করা হয়।