ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে দেশের সর্ব প্রথম বন্দিদের ফোনালাপের সুযোগ চালু হচ্ছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

আজ বুধবার (২৮ মার্চ) থেকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের বন্দিরা তাদের স্বজনদের সাথে এখন মুঠোফোনে কথা বলতে পারবেন। দেশে এই প্রথম বারের মতো বন্দিদের ফোনালাপের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন,জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ

 

‘স্বজনের সাথে সংশোধনের পথে’ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে টেলিফোনে কথা বলা এই কার্যক্রমের নাম করন করা হয়েছে ‘ স্বজন পরিবারের বন্ধন।’

 

জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড ও বাংলাদেশ জেল এর সহায়তায় এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই কার্যক্রমের আওয়তায় বন্দিরা (হাজতি ও কয়েদি) কারাগারে আসার পর তাদের কাছ থেকে তাদের স্বজনদের দুটি মুঠোফোন নম্বর রাখা হবে। মাসে একজন বন্দি দু’বার ১০ মিটিন করে কথা বলার সুযোগ পাবেন। কথা বলার ক্ষেত্রে নারী, বৃদ্ধ ও বন্দিদের সাথে আসা শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

 

টাঙ্গাইল কারাগারে গিয়ে দেখা যায়, কারাগারের ভেতর একটি কক্ষে চারটি ফোন বুথ তৈরী করা হয়েছে।

 

জেলার আবুল বাশার জানান, কোন বন্দি সরাসরি বুথে গিয়ে কথা বলতে পারবেন না। নির্ধারিত সময়ে বন্দিরা বুথে ঢুকে এক বা দুই চাপলে সফটওয়্যার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিষ্ট নম্বরে সংযোগ পাওয়া যাবে। নির্ধারিত সময় ১০মিনিট পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল কেটে যাবে। সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে সতর্কসূচক ‘বিপ’ শ্বব্দ হবে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বা পরে কল ডায়াল হবে না। শুধুমাত্র নির্ধারিত সময়েই কল করতে হবে। বন্দিদের স্বজনরা নির্ধারিত সময়ে যাতে কথা বলার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন, সেজন্য আগের দিন তাদের মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে সময় জানিয়ে দেয়া হবে।

 

এটুআই প্রকল্পের পরামর্শক তানভীর কাদেরের নেতৃত্বে কারাগারে ফোন বুথ ও এর সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী উদ্বোধনের পর একজন বন্দি তার স্বজনদের সাথে কথা বলার মধ্য দিয়েই এ কার্যক্রম শুরু হয়। তানভীর কাদের জানান, কারাগারের যে সব কর্মী এই কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। তাদের পরিচালনার প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে।

 

টাঙ্গাইলের জেলা সুপার মঞ্জুর হোসেন চেতনা নিউজকে জানান, বন্দিরা কারাগার থেকে আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলতে পারলে তাদের পারিবারিক যোগাযোগ অক্ষুন্ন থাকবে। তিনি  জানান, বন্দিদের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য এবং অপহরন ও চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত বন্দিরা ফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন না। নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দিদের প্রতিটি কল রেকর্ড করা হবে। এছাড়া বুথে সার্বক্ষনিক কারারক্ষী নিয়োজিত থাকবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে দেশের সর্ব প্রথম বন্দিদের ফোনালাপের সুযোগ চালু হচ্ছে

আপডেট সময় : ১২:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮

আজ বুধবার (২৮ মার্চ) থেকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের বন্দিরা তাদের স্বজনদের সাথে এখন মুঠোফোনে কথা বলতে পারবেন। দেশে এই প্রথম বারের মতো বন্দিদের ফোনালাপের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন,জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ

 

‘স্বজনের সাথে সংশোধনের পথে’ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে টেলিফোনে কথা বলা এই কার্যক্রমের নাম করন করা হয়েছে ‘ স্বজন পরিবারের বন্ধন।’

 

জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড ও বাংলাদেশ জেল এর সহায়তায় এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই কার্যক্রমের আওয়তায় বন্দিরা (হাজতি ও কয়েদি) কারাগারে আসার পর তাদের কাছ থেকে তাদের স্বজনদের দুটি মুঠোফোন নম্বর রাখা হবে। মাসে একজন বন্দি দু’বার ১০ মিটিন করে কথা বলার সুযোগ পাবেন। কথা বলার ক্ষেত্রে নারী, বৃদ্ধ ও বন্দিদের সাথে আসা শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

 

টাঙ্গাইল কারাগারে গিয়ে দেখা যায়, কারাগারের ভেতর একটি কক্ষে চারটি ফোন বুথ তৈরী করা হয়েছে।

 

জেলার আবুল বাশার জানান, কোন বন্দি সরাসরি বুথে গিয়ে কথা বলতে পারবেন না। নির্ধারিত সময়ে বন্দিরা বুথে ঢুকে এক বা দুই চাপলে সফটওয়্যার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিষ্ট নম্বরে সংযোগ পাওয়া যাবে। নির্ধারিত সময় ১০মিনিট পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল কেটে যাবে। সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে সতর্কসূচক ‘বিপ’ শ্বব্দ হবে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বা পরে কল ডায়াল হবে না। শুধুমাত্র নির্ধারিত সময়েই কল করতে হবে। বন্দিদের স্বজনরা নির্ধারিত সময়ে যাতে কথা বলার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন, সেজন্য আগের দিন তাদের মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে সময় জানিয়ে দেয়া হবে।

 

এটুআই প্রকল্পের পরামর্শক তানভীর কাদেরের নেতৃত্বে কারাগারে ফোন বুথ ও এর সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী উদ্বোধনের পর একজন বন্দি তার স্বজনদের সাথে কথা বলার মধ্য দিয়েই এ কার্যক্রম শুরু হয়। তানভীর কাদের জানান, কারাগারের যে সব কর্মী এই কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। তাদের পরিচালনার প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে।

 

টাঙ্গাইলের জেলা সুপার মঞ্জুর হোসেন চেতনা নিউজকে জানান, বন্দিরা কারাগার থেকে আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলতে পারলে তাদের পারিবারিক যোগাযোগ অক্ষুন্ন থাকবে। তিনি  জানান, বন্দিদের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য এবং অপহরন ও চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত বন্দিরা ফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন না। নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দিদের প্রতিটি কল রেকর্ড করা হবে। এছাড়া বুথে সার্বক্ষনিক কারারক্ষী নিয়োজিত থাকবে।