টাঙ্গাইলে ডাক্তারের দায়িত্ব অবহেলায় রোগির মৃত্যুর অভিযোগ! শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮ ৩২ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডা. মনিরা আফরোজ এর দায়িত্ব অবেহেলায় আবু সাইদ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগে সংবাদ সম্মেল করেছে তার পরিবার। মৃত আবু সাইদ কালিাহতীর চড় ভাবলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আবু সাইদের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম শান্ত অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ জুলাই সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় আমার বাবাকে সাপে কাটে। পরে দুপুর ২.২৫ মিনিটে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির সময় বাবার পায়ের দু-পার বাঁধন খুলে দেয়া হয় এবং বলা হয় হাসপাতালে সাপে কাটার ভ্যাকসিন নেই।
তিনি কালিহাতী উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. শরিফ হোসেন খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাপে কাটার ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়টি জানালে তিনি হাসপাতালে ভ্যাকসিন আছে বলে আমাকে নিশ্চিত করেন। সাপে কাটার ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জন নিজে কর্তব্যরত ডাক্তারের সাথে কথা বলেন এবং হাসপাতালের সহকারী পরিচালককেও বিষয়টি জানান।
সিভিল সার্জন ফোনে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ডা. মনিরা আফরোজ। সিএস বললেই দিতে হবে, আপনি হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেন বলেও সাফ জানিয়ে দেয় কর্তব্যরত ডাক্তার। তখন আমি হাসপাতালের সহকরী পরিচালক ডা. সদর উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলি। তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। এসময় তিনি আমাকে জানান, আরএমও’র সাথে কথা বলছি ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
পরে আমি ডা. মনিরা আফরোজের সাথে দেখা করলে তিনি বলেন, আরএমও’র সাথে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু আমি ভ্যাকসিন দিতে পারবো না। পরবর্তীতে বিকেল ৫টার দিকে তিনি আমার বাবাকে ঢাকা অথবা ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। অবস্থার অবনতি হলে আমরা তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাই। ময়মনসিংহ হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে ভর্তি করানো হয়। পরে ৮.১৫ মিনিটে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারি রেজিস্টার ডা. মনিরা আফরোজের মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত আবু সাইদের স্ত্রী শরিফা বেগম, বড় ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম শান্ত, ছোট ছেলে মো. সোহেল রানা, মেয়ে শান্তা ইসলাম, টাঙ্গাইল স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী।