ঢাকা ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীর পরকীয়ার কারনে স্ত্রীকে জোড়পূর্বক ডিভোর্স এর অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৯:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

সখীপুর প্রতিনিধি॥ টাঙ্গাইলে সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামের গৃহবধু মুক্তাকে জোড়পূর্বক ডিভোর্স করানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাব্বির আহমেদের সাথে কাকড়াজান ইউনিয়নের ছোট চওনা গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদেও ঔরশে এক সন্তান জন্মগ্রহন করে। সুখেই কাটছিল তাদেও জীবন। মুক্তার স্বামী সাব্বির ধীরে ধীরে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে স্ত্রী মুক্তার উপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ছাব্বির তার স্ত্রী ও ৩ বছরের শিশুসন্তানকে জোড়পূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কৌশলে ডিভোর্সের কাগজ পাঠায়। এ বিষয়ে মুক্তা ইউপি সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার মাতাব্বরদের কাছে বিচার প্রার্তনা করে ব্যার্থ হয়। অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতাব্বরদের সহযোগীতায় সম্প্রতি গ্রাম্য সালিসে জোড়পূর্বক কিছ’ টাকা দিয়ে পুনরায় ডিভোর্স করানো হয় মুক্তাকে।
মুক্তার বোন এ বিষয়ে বলে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর অনেক অত্যাচার সহ্য করেও আমার বোন সংসার করতে চেয়েছিল। কিন্তু স্বামী তাকে ছেলে সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয় আর ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এই শিশু সন্তান নিয়ে একটা অসহায় মেয়ে কোথায় যাবে? পরকীয়ার জন্য যে নিজের সন্তান কে ফেলে দেয় এমন বাবা আর স্বামীর কি শাস্তি হওয়া উচিত না? । সাব্বিরের বড় ভাই বিদেশ থাকে, বড় ভাবীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারনে ৩ বছরের ছোট ছেলে সহ বউকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে ডিভোর্স লেটার পাঠায়। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও  আরও কয়েকজন মিলে সাব্বিরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জোড়পূর্বক এই ডিভোর্স করে। মুক্তার পরিবারের একটিই চাওয়া এভাবে যেন আর কারও সংসার নষ্ট না হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীর পরকীয়ার কারনে স্ত্রীকে জোড়পূর্বক ডিভোর্স এর অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:০৯:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

সখীপুর প্রতিনিধি॥ টাঙ্গাইলে সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামের গৃহবধু মুক্তাকে জোড়পূর্বক ডিভোর্স করানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাব্বির আহমেদের সাথে কাকড়াজান ইউনিয়নের ছোট চওনা গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদেও ঔরশে এক সন্তান জন্মগ্রহন করে। সুখেই কাটছিল তাদেও জীবন। মুক্তার স্বামী সাব্বির ধীরে ধীরে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে স্ত্রী মুক্তার উপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ছাব্বির তার স্ত্রী ও ৩ বছরের শিশুসন্তানকে জোড়পূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কৌশলে ডিভোর্সের কাগজ পাঠায়। এ বিষয়ে মুক্তা ইউপি সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার মাতাব্বরদের কাছে বিচার প্রার্তনা করে ব্যার্থ হয়। অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতাব্বরদের সহযোগীতায় সম্প্রতি গ্রাম্য সালিসে জোড়পূর্বক কিছ’ টাকা দিয়ে পুনরায় ডিভোর্স করানো হয় মুক্তাকে।
মুক্তার বোন এ বিষয়ে বলে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর অনেক অত্যাচার সহ্য করেও আমার বোন সংসার করতে চেয়েছিল। কিন্তু স্বামী তাকে ছেলে সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয় আর ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এই শিশু সন্তান নিয়ে একটা অসহায় মেয়ে কোথায় যাবে? পরকীয়ার জন্য যে নিজের সন্তান কে ফেলে দেয় এমন বাবা আর স্বামীর কি শাস্তি হওয়া উচিত না? । সাব্বিরের বড় ভাই বিদেশ থাকে, বড় ভাবীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারনে ৩ বছরের ছোট ছেলে সহ বউকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে ডিভোর্স লেটার পাঠায়। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও  আরও কয়েকজন মিলে সাব্বিরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জোড়পূর্বক এই ডিভোর্স করে। মুক্তার পরিবারের একটিই চাওয়া এভাবে যেন আর কারও সংসার নষ্ট না হয়।