ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালপুরে বিষ প্রয়োগে জমির ধান বিনষ্টের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক: গোপালপুরে শত্রুতাবশত চার বিঘা জমির থোড় বোরো ধান বিষ প্রয়োগে বিনষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় গোপালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।জানা যায়, উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের কড়িয়াটা মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক মৃত মনসুর আলীর পুত্র দুদু মিয়া এবার চার বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেন। খেতের ধান এখন থোড় পর্যায়ে। কদিন পরই থোড় থেকে ধানের শিষ বের হবে। কিন্তু গ্রামীণ শত্রুতার জের ধরে শনিবার রাতে থোড় ধানে বিষ প্রয়োগ করা হয়। ফলে পাতা হলদে হয়ে জমির চার ভাগের তিন ভাগ ধান মরে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমা আকতার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তিনি একজন উপসহকারি কৃষি অফিসারকে গতকাল সরেজমিন মাঠ পরিদর্শনে পাঠান। রিপোর্ট পেলে বলতে পারবেন খেতে বিষ না আগাছানাশক স্প্রে করা হয়েছে। উপসহকারি কৃষি অফিসার মোঃ সেলিম হোসেন জানান, কেউ শত্রুতা বশতঃ ধান খেতে ক্ষতিকারক আগাছানাশক স্প্রে করেছে। প্রথমে পাতা হলুদ রং ধারণ করছে। পরে পাতা সাদা হয়ে গাছ মরে যাচ্ছে।

কৃষক দুদু মিয়া জানান, গ্রামীণ শত্রুতার কারণে এসব করা হয়েছে। তিনি সোমবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তকারি অফিসার এসআই আব্দুল খালেক জানান, ধানী জমির একটি অংশের মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধ থেকে এমনটি ঘটেছে কিনা তদন্তের পর বলা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোপালপুরে বিষ প্রয়োগে জমির ধান বিনষ্টের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক: গোপালপুরে শত্রুতাবশত চার বিঘা জমির থোড় বোরো ধান বিষ প্রয়োগে বিনষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় গোপালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।জানা যায়, উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের কড়িয়াটা মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক মৃত মনসুর আলীর পুত্র দুদু মিয়া এবার চার বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেন। খেতের ধান এখন থোড় পর্যায়ে। কদিন পরই থোড় থেকে ধানের শিষ বের হবে। কিন্তু গ্রামীণ শত্রুতার জের ধরে শনিবার রাতে থোড় ধানে বিষ প্রয়োগ করা হয়। ফলে পাতা হলদে হয়ে জমির চার ভাগের তিন ভাগ ধান মরে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমা আকতার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তিনি একজন উপসহকারি কৃষি অফিসারকে গতকাল সরেজমিন মাঠ পরিদর্শনে পাঠান। রিপোর্ট পেলে বলতে পারবেন খেতে বিষ না আগাছানাশক স্প্রে করা হয়েছে। উপসহকারি কৃষি অফিসার মোঃ সেলিম হোসেন জানান, কেউ শত্রুতা বশতঃ ধান খেতে ক্ষতিকারক আগাছানাশক স্প্রে করেছে। প্রথমে পাতা হলুদ রং ধারণ করছে। পরে পাতা সাদা হয়ে গাছ মরে যাচ্ছে।

কৃষক দুদু মিয়া জানান, গ্রামীণ শত্রুতার কারণে এসব করা হয়েছে। তিনি সোমবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তকারি অফিসার এসআই আব্দুল খালেক জানান, ধানী জমির একটি অংশের মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধ থেকে এমনটি ঘটেছে কিনা তদন্তের পর বলা যাবে।