ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি জনগণের সেবক: শেখ হাসিনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।কবি গুরুর ভাষায় বলতে চাই ‘এ মণিহার আমায় নাহি সাজে’…। আমার কোনো সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই। আমি জনগণের সেবক। জনগণ কতটুকু পেলো, সেটাই আমার কাছে বিবেচ্য বিষয়। এর বেশি আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। সংবর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করারই আমার লক্ষ্য। আমি আজকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যিনি আমাদেরকে একটি স্বাধীন জাতিসত্তার পরিচয় দিয়ে গেছেন। নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন নিপীড়িত বাঙালির ভাগ্যের উন্নয়নে। আমার সৌভাগ্য আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণ করতে পেরেছি।
মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, কলকাতা থেকে ডি-লিট উপাধি পাওয়াসহ নানা সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ গণসংবর্ধনা দেয় আওয়ামী লীগ।বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে ভাষণ দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি লোকে লোকারণ্য উদ্যানে গিয়ে পৌঁছান। শেখ হাসিনা মঞ্চে উঠতেই স্লোগানে আর হর্ষধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই ঐতিহাসিক উদ্যান। আধা ঘণ্টার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মানপত্র পাঠ করেন। এই মানপত্র তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।সংবর্ধনার জবাব প্রধানমন্ত্রী দেন এভাবে, ‘আমি জনগণের সেবক। জনগণ কী পেল, সেটাই আমার বড় চাওয়া। আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেখতে চাই। এটাই বড় চাওয়া।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য একটিই, বাংলার মানুষের উন্নয়ন। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষের ভাগ্য যেদিন গড়তে পারব, সেদিনই নিজেকে সফল মনে করব।’২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কথা, পার্বত্য চুক্তি, গঙ্গার পানি চুক্তি, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার রোধকারী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের কথা বলেন শেখ হাসিনা।শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১-এ ক্ষমতায় আসতে পারিনি। নীতির সঙ্গে আপস করিনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি।’ গ্যাস বিক্রির আপস করার প্রস্তাব ছিল, কিন্তু তা না করাতেই তিনি ক্ষমতায় আসতে পারেননি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং রায়ের ফলে বাংলাদেশ কলুষমুক্ত হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং রায়ের ফলে বাংলাদেশ কলুষমুক্ত হয়েছে।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী।সংবর্ধনা মঞ্চে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষনেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমি জনগণের সেবক: শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮

শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।কবি গুরুর ভাষায় বলতে চাই ‘এ মণিহার আমায় নাহি সাজে’…। আমার কোনো সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই। আমি জনগণের সেবক। জনগণ কতটুকু পেলো, সেটাই আমার কাছে বিবেচ্য বিষয়। এর বেশি আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। সংবর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করারই আমার লক্ষ্য। আমি আজকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যিনি আমাদেরকে একটি স্বাধীন জাতিসত্তার পরিচয় দিয়ে গেছেন। নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন নিপীড়িত বাঙালির ভাগ্যের উন্নয়নে। আমার সৌভাগ্য আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণ করতে পেরেছি।
মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, কলকাতা থেকে ডি-লিট উপাধি পাওয়াসহ নানা সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ গণসংবর্ধনা দেয় আওয়ামী লীগ।বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে ভাষণ দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি লোকে লোকারণ্য উদ্যানে গিয়ে পৌঁছান। শেখ হাসিনা মঞ্চে উঠতেই স্লোগানে আর হর্ষধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই ঐতিহাসিক উদ্যান। আধা ঘণ্টার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মানপত্র পাঠ করেন। এই মানপত্র তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।সংবর্ধনার জবাব প্রধানমন্ত্রী দেন এভাবে, ‘আমি জনগণের সেবক। জনগণ কী পেল, সেটাই আমার বড় চাওয়া। আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেখতে চাই। এটাই বড় চাওয়া।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য একটিই, বাংলার মানুষের উন্নয়ন। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষের ভাগ্য যেদিন গড়তে পারব, সেদিনই নিজেকে সফল মনে করব।’২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কথা, পার্বত্য চুক্তি, গঙ্গার পানি চুক্তি, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার রোধকারী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের কথা বলেন শেখ হাসিনা।শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১-এ ক্ষমতায় আসতে পারিনি। নীতির সঙ্গে আপস করিনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি।’ গ্যাস বিক্রির আপস করার প্রস্তাব ছিল, কিন্তু তা না করাতেই তিনি ক্ষমতায় আসতে পারেননি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং রায়ের ফলে বাংলাদেশ কলুষমুক্ত হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং রায়ের ফলে বাংলাদেশ কলুষমুক্ত হয়েছে।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী।সংবর্ধনা মঞ্চে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষনেতারা উপস্থিত ছিলেন।