ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ বছর ধরে চলছে ফ্রি ইফতার, অংশ নেন ৪ শতাধিক মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতি বছরের ন্যায় টাঙ্গাইলে বিনামূল্যে মাসব্যাপী সবার জন্য ইফতার কার্যক্রম পরিচালনা করছে ‘ত্রিবেণী টাঙ্গাইল’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গরিব-অসহায়, ভিক্ষুক, পথচারী, গাড়িচালক, ট্রাফিক পুলিশ ও টহল পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার চার শতাধিক মানুষ প্রতিদিন এই বিনামূল্যের ইফতারে অংশগ্রহণ করছেন।

শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রথম রোজা থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে ‘ত্রিবেণী টাঙ্গাইলকে’ সহযোগিতা করছে বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ১৯৯২।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিকাল ৪টা থেকে প্রায় ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী নারী-পুরুষ ইফতারসামগ্রী প্রস্তুত করছেন। কেউ কেউ সারিবদ্ধভাবে প্লেটে ইফতার তৈরির পাশাপাশি প্যাকেট করছেন। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ট্রাফিক পুলিশের জন্য ৩০টি ও টহল পুলিশের জন্য ৩৫টি প্যাকেট সেখান থেকে নেওয়া হয়। সাড়ে ৫টা বাজতেই দলে দলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আসেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার রোজাদাররা। এরপর তারা সারিবদ্ধভাবে নিজ দায়িত্বে পাটের তৈরি চটে বসে পড়েন।

এরপর ডিম, খেঁজুর, মুড়ি, ছোলা, শরবত, জিলাপি ও খিচুড়ি মাংসসহ প্রায় আট থেকে ১০টি আইটেম দিয়ে প্রস্তুত করা ইফতার সবার সামনে দেওয়া হয়। দুই-চার জন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষজনও অংশ নেন এই আয়োজনে। সবার উপস্থিতিতে সেখানে একটি উৎসবে পরিণত হয়। ২০১৪ সাল থেকে পরিচালিত হওয়া কার্যক্রমটি টাঙ্গাইলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সবার জন্য ইফতার কার্যক্রমটি ইতোমধ্যেই সর্বস্তরের মানুষের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামর্থ্যহীন অসহায় মানুষসহ এখানে ইফতার করা রোজাদাররা ‘ত্রিবেণী টাঙ্গাইল’ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ত্রিবেণী টাঙ্গাইলের সভাপতি বাপ্পি খান  বলেন, ‘আমাদের ইফতার কার্যক্রমটি ২০১৪ সাল থেকে চলে আসছে। মাসব্যাপী বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। অসহায়, গরিব ও গাড়িচালক ছাড়াও শহরে কেনাকাটা করতে আসা মানুুষও ইফতার করতে আসেন। ডিম, কলা, ছোলা, মুুড়ি, পেঁয়াজু, শরবত, জিলাপিসহ প্রায় ১০টি আইটেম দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে খিচুড়ি মাংসও দেওয়া হয়।

ট্রাফিক পুলিশ ও টহল পুলিশের ৬৫ জন সদস্যের ইফতার আমরা প্যাকেট করে দিই। সবমিলিয়ে প্রতিদিন চার শতাধিক মানুষের জন্য এখানে ইফতারের আয়োজন করছি আমরা।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

১৪ বছর ধরে চলছে ফ্রি ইফতার, অংশ নেন ৪ শতাধিক মানুষ

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

প্রতি বছরের ন্যায় টাঙ্গাইলে বিনামূল্যে মাসব্যাপী সবার জন্য ইফতার কার্যক্রম পরিচালনা করছে ‘ত্রিবেণী টাঙ্গাইল’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গরিব-অসহায়, ভিক্ষুক, পথচারী, গাড়িচালক, ট্রাফিক পুলিশ ও টহল পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার চার শতাধিক মানুষ প্রতিদিন এই বিনামূল্যের ইফতারে অংশগ্রহণ করছেন।

শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রথম রোজা থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে ‘ত্রিবেণী টাঙ্গাইলকে’ সহযোগিতা করছে বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ১৯৯২।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিকাল ৪টা থেকে প্রায় ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী নারী-পুরুষ ইফতারসামগ্রী প্রস্তুত করছেন। কেউ কেউ সারিবদ্ধভাবে প্লেটে ইফতার তৈরির পাশাপাশি প্যাকেট করছেন। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ট্রাফিক পুলিশের জন্য ৩০টি ও টহল পুলিশের জন্য ৩৫টি প্যাকেট সেখান থেকে নেওয়া হয়। সাড়ে ৫টা বাজতেই দলে দলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আসেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার রোজাদাররা। এরপর তারা সারিবদ্ধভাবে নিজ দায়িত্বে পাটের তৈরি চটে বসে পড়েন।

এরপর ডিম, খেঁজুর, মুড়ি, ছোলা, শরবত, জিলাপি ও খিচুড়ি মাংসসহ প্রায় আট থেকে ১০টি আইটেম দিয়ে প্রস্তুত করা ইফতার সবার সামনে দেওয়া হয়। দুই-চার জন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষজনও অংশ নেন এই আয়োজনে। সবার উপস্থিতিতে সেখানে একটি উৎসবে পরিণত হয়। ২০১৪ সাল থেকে পরিচালিত হওয়া কার্যক্রমটি টাঙ্গাইলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সবার জন্য ইফতার কার্যক্রমটি ইতোমধ্যেই সর্বস্তরের মানুষের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামর্থ্যহীন অসহায় মানুষসহ এখানে ইফতার করা রোজাদাররা ‘ত্রিবেণী টাঙ্গাইল’ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ত্রিবেণী টাঙ্গাইলের সভাপতি বাপ্পি খান  বলেন, ‘আমাদের ইফতার কার্যক্রমটি ২০১৪ সাল থেকে চলে আসছে। মাসব্যাপী বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। অসহায়, গরিব ও গাড়িচালক ছাড়াও শহরে কেনাকাটা করতে আসা মানুুষও ইফতার করতে আসেন। ডিম, কলা, ছোলা, মুুড়ি, পেঁয়াজু, শরবত, জিলাপিসহ প্রায় ১০টি আইটেম দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে খিচুড়ি মাংসও দেওয়া হয়।

ট্রাফিক পুলিশ ও টহল পুলিশের ৬৫ জন সদস্যের ইফতার আমরা প্যাকেট করে দিই। সবমিলিয়ে প্রতিদিন চার শতাধিক মানুষের জন্য এখানে ইফতারের আয়োজন করছি আমরা।’