ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এতিম ছাত্রদের খাবার খাইয়ে যুবকের ভালোবাসা দিবস উদযাপন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক  বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে যখন সবাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান, নেচে গেয়ে উল্লাম করেন ঠিক তখনই ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুর উপজেলার ভালোকুটিয়া গ্রামের যুবক পাভেল প্রামাণিক। ভালোবাসা দিবসের আনন্দ একা উপভোগ না করে প্রায় শতাধিক এতিম ও মাদরাসার ছাত্রদের জন্য বিশেষ মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রæয়ারি) জুমা’র নামাজের পর উপজেলার ভ‚ঞাপুর-যমুনা সেতু আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দাসী কবরস্থান নূরানী হাফেজিয়া আদর্শ মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য এই ভোজের আয়োজন করা হয়। এতে পোলাও, গরুর মাংস, বুটের ডাল, ডিম ও দইসহ উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করেন তিনি।

শুধু খাবার পরিবেশনই নয়, পাভেল প্রামাণিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুমা’র নামাজ আদায় করেন এবং পরে নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করেন পাভেল প্রামাণিক। শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করাকেই তিনি আনন্দের সত্যিকার রুপ হিসেবে দেখেন।

মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা অনেক আনন্দ পেয়েছি, এমন খাবার সব সময় পাই না। পাভেল ভাই আমাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, এতে আমরা খুব খুশি।

পাভেল প্রামাণিক বলেন, ভালোবাসা মানে কেবল বিশেষ একজনের প্রতি অনুভ‚তি নয়, ভালোবাসা মানে মানবিকতা ও সহমর্মিতা। এই কোরআনের পাখিদের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করাটাই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের।

গোবিন্দাসী কবরস্থান নূরানী হাফেজিয়া আদর্শ মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। সমাজের অন্যদেরও উচিত এভাবে এগিয়ে আসা, যাতে অসহায় শিশুরা ভালোবাসা ও সহানুভ‚তি পায়।

তিনি আরও বলেন, ভালোবাসা দিবস মানে কেবল নিজের প্রিয়জনকে সময় দেওয়া নয়, বরং সমাজের অবহেলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোও ভালোবাসার এক অনন্য রুপ। পাভেল প্রামাণিকের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেবে এবং অন্যদেরও মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এতিম ছাত্রদের খাবার খাইয়ে যুবকের ভালোবাসা দিবস উদযাপন

আপডেট সময় : ১১:২০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক  বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে যখন সবাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান, নেচে গেয়ে উল্লাম করেন ঠিক তখনই ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুর উপজেলার ভালোকুটিয়া গ্রামের যুবক পাভেল প্রামাণিক। ভালোবাসা দিবসের আনন্দ একা উপভোগ না করে প্রায় শতাধিক এতিম ও মাদরাসার ছাত্রদের জন্য বিশেষ মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রæয়ারি) জুমা’র নামাজের পর উপজেলার ভ‚ঞাপুর-যমুনা সেতু আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দাসী কবরস্থান নূরানী হাফেজিয়া আদর্শ মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য এই ভোজের আয়োজন করা হয়। এতে পোলাও, গরুর মাংস, বুটের ডাল, ডিম ও দইসহ উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করেন তিনি।

শুধু খাবার পরিবেশনই নয়, পাভেল প্রামাণিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুমা’র নামাজ আদায় করেন এবং পরে নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করেন পাভেল প্রামাণিক। শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করাকেই তিনি আনন্দের সত্যিকার রুপ হিসেবে দেখেন।

মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা অনেক আনন্দ পেয়েছি, এমন খাবার সব সময় পাই না। পাভেল ভাই আমাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, এতে আমরা খুব খুশি।

পাভেল প্রামাণিক বলেন, ভালোবাসা মানে কেবল বিশেষ একজনের প্রতি অনুভ‚তি নয়, ভালোবাসা মানে মানবিকতা ও সহমর্মিতা। এই কোরআনের পাখিদের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করাটাই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের।

গোবিন্দাসী কবরস্থান নূরানী হাফেজিয়া আদর্শ মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। সমাজের অন্যদেরও উচিত এভাবে এগিয়ে আসা, যাতে অসহায় শিশুরা ভালোবাসা ও সহানুভ‚তি পায়।

তিনি আরও বলেন, ভালোবাসা দিবস মানে কেবল নিজের প্রিয়জনকে সময় দেওয়া নয়, বরং সমাজের অবহেলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোও ভালোবাসার এক অনন্য রুপ। পাভেল প্রামাণিকের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেবে এবং অন্যদেরও মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে।