ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পরবর্তী জেরা ৯ মে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ ৩০ বার পড়া হয়েছে

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে মামলার বাদী নাহার আহমেদের জেরা শুরু করেন।পরবর্তী জেরা গ্রহণ ৯ মে ধার্য্য করা হয়েছে। প্রায় এক ঘন্টার মত জেরা করেন আসামী পক্ষের আইনজীবিরা।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আদালতের এজলাসে বসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ তিনজন স্বাক্ষীর হাজিরা দাখিল করেন।

মামলার বাদি ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ গত মাসের ২১তারিখে তার অসমাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।

পরে আসামী পক্ষের আইনজীবিরা মামলার মূল বাদীকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মামলার বাদি ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদকে জেরা শুরু করেন। পরে জেরা অসমাপ্ত থাকতেই আদালতের বিচারক আজকের দিনের কার্যক্রম মূলতবি ঘোষনা করেন এবং পরবর্তী জেরা ও অন্যান্য স্বাক্ষীর দিন ৯মে ধার্য্য করেন ।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারী বাদির স্বাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই সহ ১৪জন আসামী রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পরবর্তী জেরা ৯ মে

আপডেট সময় : ০৯:২১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে মামলার বাদী নাহার আহমেদের জেরা শুরু করেন।পরবর্তী জেরা গ্রহণ ৯ মে ধার্য্য করা হয়েছে। প্রায় এক ঘন্টার মত জেরা করেন আসামী পক্ষের আইনজীবিরা।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আদালতের এজলাসে বসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ তিনজন স্বাক্ষীর হাজিরা দাখিল করেন।

মামলার বাদি ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ গত মাসের ২১তারিখে তার অসমাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।

পরে আসামী পক্ষের আইনজীবিরা মামলার মূল বাদীকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মামলার বাদি ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদকে জেরা শুরু করেন। পরে জেরা অসমাপ্ত থাকতেই আদালতের বিচারক আজকের দিনের কার্যক্রম মূলতবি ঘোষনা করেন এবং পরবর্তী জেরা ও অন্যান্য স্বাক্ষীর দিন ৯মে ধার্য্য করেন ।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারী বাদির স্বাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই সহ ১৪জন আসামী রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।