ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে চলন্তবাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানী ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ,  লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক: ঢাকা-রাজশাহী সড়কের ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ বাসে ডাকাতির ঘটনার  পুলিশ আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, আলমগীর হোসেন (৩৪) এবং মো রাজিব হোসেন (২১) ।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি জানান, এর আগে গ্রেপ্তারকৃত তিন জনের দেয়া তথ্যমতে গতকাল অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য আলমগীরকে নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা থানার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে প্রেপ্তার তরা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৪ হাজার দুইশত ১০ টাকা এবং দুটি রুপার আংটি উদ্ধার করা হয়।তিার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর জানায় লুট করা মোবাইল সেট, ব্যবহার করা ছুড়ি ও মহিলাদের গহনা রাজিব হোসেনের কাছে জমা রয়েছে। তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকার আশুলিয়ার থানার ধানসোনা এলাকার পলাশবাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় রাজিবের কাছ থেকে ১০ টি মোবাইল সেটসহ, গহনা  ও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরকে  ৭ দিন ও রাজিবকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত  শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিনঘন্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানী করে বাস থামিয়ে তারা বাস থেকে নেমে যায়।
ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর বাস চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে যাত্রিদের চাপের মুখে বাসনিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। মঙ্গলবার বেলা এগারটার পরে যাত্রিরা বাসটিকে নিয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। বাসের  ডাকাতির শিকার ওমর আলী বাদি হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায়  রাতে মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় নেয়া হয়। এ সময় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তাঁর সহকারী মাহবুব আলম (২৮) কে আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলে চলন্তবাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানী ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ,  লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার 

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক: ঢাকা-রাজশাহী সড়কের ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ বাসে ডাকাতির ঘটনার  পুলিশ আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, আলমগীর হোসেন (৩৪) এবং মো রাজিব হোসেন (২১) ।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি জানান, এর আগে গ্রেপ্তারকৃত তিন জনের দেয়া তথ্যমতে গতকাল অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য আলমগীরকে নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা থানার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে প্রেপ্তার তরা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৪ হাজার দুইশত ১০ টাকা এবং দুটি রুপার আংটি উদ্ধার করা হয়।তিার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর জানায় লুট করা মোবাইল সেট, ব্যবহার করা ছুড়ি ও মহিলাদের গহনা রাজিব হোসেনের কাছে জমা রয়েছে। তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকার আশুলিয়ার থানার ধানসোনা এলাকার পলাশবাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় রাজিবের কাছ থেকে ১০ টি মোবাইল সেটসহ, গহনা  ও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরকে  ৭ দিন ও রাজিবকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত  শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিনঘন্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানী করে বাস থামিয়ে তারা বাস থেকে নেমে যায়।
ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর বাস চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে যাত্রিদের চাপের মুখে বাসনিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। মঙ্গলবার বেলা এগারটার পরে যাত্রিরা বাসটিকে নিয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। বাসের  ডাকাতির শিকার ওমর আলী বাদি হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায়  রাতে মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় নেয়া হয়। এ সময় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তাঁর সহকারী মাহবুব আলম (২৮) কে আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান।