ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিসির বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুরুতর অভিযোগ।

খেলাধুলা।
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

আইসিসি ও প্রভাবশালী ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লুআই) প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ। তিনি বলেছেন, ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বড় দলগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কখনো শক্তিশালী দল হয়ে উঠতে না পারে।

উইজডেন ক্রিকেট মান্থলির পডকাস্টে ডেনিয়েল গ্যালানের সঙ্গে আলাপে গ্রেভ বলেন, ‘সবাই একটা কথা খুব করে বলে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দরকার। কিন্তু আমরা যেটা অনুভব করি, সেটা হচ্ছে, বিশ্ব ক্রিকেট তাদের সব রকম চেষ্টা করছে যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কখনোই শক্তিশালী হতে না পারে।’

গত বছরের জুলাইয়ে ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪–২৭ চক্রে মোট ৬০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের প্রাক্কলন করেছে আইসিসি। এর মধ্যে ২৩ কোটি ১০ লাখ বা ৩৮.৫ শতাংশই পাবে ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৮৯ শতাংশ পাবে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগের অংশ ৪.৫৮ শতাংশ।

আর কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ড ১০ শতাংশও পাবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাবে ৪.৪৬ শতাংশ। অর্থের অঙ্কে যা ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯০ কোটি টাকা।

ক্যারিবীয় অঞ্চলের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে ক্রিকেট–সম্প্রদায়ের বৈষম্যের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন গ্রেভ, ‘আমরা যদি সবাই শুধু নিজেদের দিকেই তাকাই, তাহলে কি এটা বলা যায় যে আমরা একটা কমিউনিটি হিসেবে কাজ করছি? আমরা কি মাঠে সেরা পণ্যটিই পাঠাচ্ছি?’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আইসিসির বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুরুতর অভিযোগ।

আপডেট সময় : ০৬:১৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

আইসিসি ও প্রভাবশালী ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লুআই) প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ। তিনি বলেছেন, ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বড় দলগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কখনো শক্তিশালী দল হয়ে উঠতে না পারে।

উইজডেন ক্রিকেট মান্থলির পডকাস্টে ডেনিয়েল গ্যালানের সঙ্গে আলাপে গ্রেভ বলেন, ‘সবাই একটা কথা খুব করে বলে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দরকার। কিন্তু আমরা যেটা অনুভব করি, সেটা হচ্ছে, বিশ্ব ক্রিকেট তাদের সব রকম চেষ্টা করছে যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কখনোই শক্তিশালী হতে না পারে।’

গত বছরের জুলাইয়ে ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪–২৭ চক্রে মোট ৬০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের প্রাক্কলন করেছে আইসিসি। এর মধ্যে ২৩ কোটি ১০ লাখ বা ৩৮.৫ শতাংশই পাবে ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৮৯ শতাংশ পাবে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগের অংশ ৪.৫৮ শতাংশ।

আর কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ড ১০ শতাংশও পাবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাবে ৪.৪৬ শতাংশ। অর্থের অঙ্কে যা ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯০ কোটি টাকা।

ক্যারিবীয় অঞ্চলের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে ক্রিকেট–সম্প্রদায়ের বৈষম্যের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন গ্রেভ, ‘আমরা যদি সবাই শুধু নিজেদের দিকেই তাকাই, তাহলে কি এটা বলা যায় যে আমরা একটা কমিউনিটি হিসেবে কাজ করছি? আমরা কি মাঠে সেরা পণ্যটিই পাঠাচ্ছি?’