
সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : পুলিশের সোর্স পরিচয়ে এলাকায় মাদক বিক্রি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, নিরীহ মানুষকে নির্যাতনসহ হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের নূরু মিয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপার শুরু হয়েছে। পুলিশের ভয় দেখিয়ে তিনি তার বাহিনী নিয়ে এলাকায় মাদক বিক্রি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ নিরীহ মানুষকে ভয়ভিতি নির্যাতনসহ হয়রানীর অরাজকতা সৃষ্টি করে মোটা অঙ্কের টাকা স্বার্থ উদ্ধার করে বলে নিশ্চিত করেন এলাকার জনগন। তার এই অরাজকতার কারনে ভয়ে এলাকার জনগন আতঙ্কে অসহায়ভাবে দিন কাটচ্ছে বলে জনা যায়। তিনি মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের পাইখার ভাওড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে।
এই অসদ কার্যকলাপ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য নূরু মিয়ার বিরোদ্ধে গত ২৯ শে ডিসেম্বর ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ১৩৬ টাঙ্গাইল-৭(মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য খান আহম্মেদ শুভ, পুলিশ সুপার টাঙ্গাইল, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন ভাওড়া এলাকাবাসীর বীর মুক্তিযুদ্ধা এ গফুর মিয়া, মো. মামুন রানা, ডা: আব্দুস সামাদ, শামীম আল মামুন, দরবেশ, মোহাম্মদ আলী , সুরজ, ফারুকসহ আরও পাইখার ভাওড়ার শতাধিক লোকজন।
আবেদনের বিবরনে দেখা যায়, নূর মিয়া মির্জাপুর থানার পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে বলিয়া এলাকায় প্রচারনা করাসহ মাদক বিক্রি, পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ও ভয় দেখিয়ে এলাকার লোকজনদের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা তার মূলকাজ। বিগত ২০১৯ সালে তিনি ইয়াবা গাজাসহ গেফতার হন। যার মির্জাপুর থানার মামলা নং -২৪, তারিখ ২৬/৬/২০১৯ইং বিগত প্রায় ৬/৭ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকা থেকে তাস খেলা অবস্থায় পুলিশ প্রদর্শন থান পুলিশের হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ৪৮,০০০/- টাকা হাতিয়ে নেয় তিনি। এই অপরাধে মির্জাপুর থানার দুইজন পুলিশের এ,এসআই রেজাউল ও মনির নামে বরখাস্ত হন। কিন্তু টাকা আদায়কারী নূরু মিয়া অনায়াসে বেঁচে যায় তার বিরদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এই সুযোগে তিনি দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নূরু মিয়ার ছেলে মারুফ মোটর সাইকেলযোগে স্কুল কলেজে পড়োয়া ছাত্রীদের নানাভাবে উত্যক্ত করে। গত ১৮ ও ১৯ শে ডিসেম্বর/২২ ইং তারিখে নূরু মিয়ার নেতৃত্বে তার বাহামভূক্ত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে গ্রামের নিরীহ মানুষের উপর হামলা করে ৮/৯ জন আহত করে। এমতাবস্থায় তার কার্যকলাপে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নূরু মিয়া মাঝে মধ্যেই তার বাহামভূক্ত সন্ত্রাসী নিয়ে ফতেপুর,ভাওড়া,বাজারে বসিয়া নিরীহ মানুষের পকেটে মাদক দিয়ে কতিপয় পুলিশে সহায়তায় অর্থ আদায় করে থাকে। দিনকে দিন তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। তার ভয়ে সন্ধ্যার পরে এলাকার লোকজন ভয়ে বাজরে যেতে সাহস পায় না।
নূরু মিয়ার অত্যাচারে নিরীহ মানুষের জান-মাল রক্ষা ও নিরীহ মানুষের নিরাপত্তাকল্পে এমপি, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক সহ সর্ব প্রকার আইন রক্ষকারী বাহিনীর নিকট আবেদন জানিয়েছে ভাওড়া এলাকবাসী।
এ বিষয়ে ভাওড়া ইউনিয়রে ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. লিটন মাহমুদ বলেন, নূরু মিয়ার বিষয়ে নিরীহ মানুষের হয়রানীর অভিযোগ সম্পূর্ন সত্য। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ খুবই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তার বিরুদ্ধে সঠিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার।
এ বিষয়ে নূর মিয়ার সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, গ্রামে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা দরখাস্ত দিয়েছে। ঘটনাটি সম্পূর্ন বানোয়ট।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, নূর মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আমি শুনেছি কিন্তু এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই, অভিযোগের ভিক্তিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।