শিরোনাম
নাগরপুরে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমিসহ গৃহ হস্তান্তর Headline Bullet       সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও মিলাদ মাহফিল Headline Bullet       টাঙ্গাইলে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে Headline Bullet       টাঙ্গাইলে এসপি’র কাছে থেকে বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস ও চকলেট পেলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা Headline Bullet       টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের ইফতার সামগ্রী বিতরণ Headline Bullet       বাসাইল পৌরসভায় রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন Headline Bullet       টাঙ্গাইলে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়দানকারী ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব Headline Bullet       টাঙ্গাইলে শ্রেণিকক্ষ ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিলেন ইউএনও Headline Bullet       করটিয়া সা’দত বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইউসুফ সম্পাদক রাজীব Headline Bullet       প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহহীন ও ভুমিহীনদের জন্য ঘর উদ্বোধন বিষয়ে টাঙ্গাইলে প্রেস ব্রিফিং Headline Bullet      

ভূঞাপুরে আশ্রয়হীন যমুনা পাড়ের মানুষ, বালু উত্তোলন এখন গলার কাটা

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ০৬ নভেম্বর ২০২২ - ০৬:৩৮:১৬ পিএম


সোনলী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা যত্রতত্রভাবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। শীত-বর্ষাসহ সব ঋতুতেই অবাধে বালু উত্তোলনে কর্মযজ্ঞে মেতে থাকেন বালু খেকোরা। প্রশাসন এসব বন্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের কাজে শ্রমিকদের জেল-জরিমানাও করে থাকেন। কিন্তু বালু খেকোরা থাকেন ধরা-ছোয়ার বাইরে। এমন অভিযানকে লোক দেখানো অভিযান হয় বলে মনে করেন নদী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ।

চলতি মৌসুমে কমপক্ষে ৬ বার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যতবারই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ততবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটায় নদী পাড়ের মানুষ। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল এ চারটি ইউনিয়নে এ বছর শতশত ঘরবাড়ি ও নানা স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এরকারণে নদীর গতিপথ পরির্বতন হচ্ছে। এমন ভাঙন ও গতিপথ পরিবর্তনের একটাই কারণ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।

সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে যমুনা পানি বৃদ্ধি পায়, বেড়ে যায় ভাঙনের তীব্রতা। ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি ও স্কুলসহ আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষ। অনেকেই রাস্তার পাশে বা স্বজনদের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছে। ড্রেজার বসিয়ে নদীর কিনারে বালুর স্তুব করে রেখেছে বালু খেকোরা। দেখলেই মনে হবে এ যেন বালুর বড় বড় পাহাড়।

উপজেলার চারটি ইউনিয়নে কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, জিগাতলা, খানুরবাড়ী, চিতুলিয়াপাড়া, কোনাবাড়ি, পাতিতাপাড়া, গাবসারা, অর্জুনা, বাসুদেবকোল, ভদ্রশিমুল, তারাই, কুঠিবয়ড়া ও রায়ের বাসালিয়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক এলাকায় এ বছর ভাঙনের কবলে পড়েছে। এতে করে আতঙ্কে রাত পাড় করে নদী পাড়ের মানুষ।

জানা যায়, ক্ষমতাশীল দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত। নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে নি:স্ব হলেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না। তাছাড়া প্রতি বছরের সতো এবারো বালু খেকোরা যমুনার জেগে উঠা চর কেটে বিক্রি করা শুরু করছে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে বালু খেকোরা জমির মালিকদের জিমি¥ করে ইজারার নামে সর্বশান্ত করে দিচ্ছেন।

ভাঙনের শিকার ফজল বলেন, ক্ষমতাশীল দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবাধে বাল্কহেড ও বাংলা ড্রেজার বসিয়ে চরাঞ্চলের ফসলি জমি কেটে বালুর পাহাড় করেছে। বালু খেকোরা এখন কৌশলও পরিবর্তন করেছে। তারা এখন রাতের আঁধারে বালু উত্তোলনও মহোৎসবে মেতে উঠেছে। যার ফলে আমাদের বসভিটা বিলীন হচ্ছে। বালু উত্তোলন এখন যেন আমাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, অবৈধ বালু ঘাট বা মহলের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভূঞাপুর উপজেলার চিতুলিয়াপাড়া ও কষ্টাপাড়া এলাকায় ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে অচিরেই ভাঙন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: