
সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক ঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সিংজুরী গ্রামে মেছের আলীর জমি বেআইনীভাবে রতন বিশ্বাসকে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার চেস্টার অভিযোগ উঠেছে। মেছের আলী ভূমি বিষয়ে ৪ (মার্চ) ২১ আইনগত ব্যবস্থা নিলে, জমি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে আশুতোশ সরকার, গৌড় সরকার ও নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে মেছের আলীকে একঘরে করে তার ঈদের নামাজ, কুরবানী ও মুদি দোকান বন্ধ পূর্বক, মেছের আলীর জমিতে ও গৃহে দুই দফায় চুরি, চাদা দাবি ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।
২৪ (মার্চে) রতন বিশ্বাস কে বাদী করে মেছের গং এর বিরুদ্ধে মিথ্যা একটা হুমকির মামলা দায়ের করায় এবং ২৭ (এপ্রিল) দোকানে ২য় বার হুমকি দিয়ে ২(মে) মেছের আলীকে একঘরে করে তার দোকান, ঈদের নামাজ, কুরবানী নিষিদ্ধ করা হয়। মেছের আলীর নামজারীতে আপত্তি দিয়ে ৭ ,১৮( মে) ২১ মেছের আলীর জমিতে ও গৃহে দুই দফায় চুরি, চাদাদাবি করায় মেছের আলী, সিআর ১৬৫/২১ মামলা করে ও থানায় অভিযোগ দেয় এবং দুই দফা আপত্তি শুনানী শেষে নামজারী অনুমোদন হয়। ভীত, সন্ত্রস্থ হয়ে মেছের আলী দুলাল মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নিলে, সন্ত্রাসীরা দুলাল মিয়ার ঈদের নামাজ, কুরবানী নিষিদ্ধ করে।৫বারের তদন্তে সকল প্রতিবেদনে মেছের আলীর দাবি ও অভিযোগের সত্যতা মিলে, ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তার তিনটি প্রতিবেদন ও তিনটি মামলায় আদালতের আদেশ মেছের আলীর পক্ষে দেয়। থানার দুটি তদন্তে আপোস মীমাংসার অজুহাতে আসামীরা ষড়যন্ত্র করে ধারাবাহিক অপরাধ করেছে। মেছের আলীর দায়েরকৃত সিআর ১৬৫/২১ নং চুরি, চাদা দাবির মামলায় আসামীরা ২০, ২১ (ডিসেম্বর) ২১ জামিন পায়। অপরদিকে ভূমি বিষয়ে মেছের আলীর দায়েরকৃত ১৪৪ ধারা ও ঘোষণামূলক মামলায় এবং রতন বিশ্বাসের দায়েরকৃত হয়রানীমূলক হুমকির মামলায় আসামীরা নিয়মিত সময়ের আবেদন করে।১১ ( ডিসেম্বর) ২১ নিজ জমিতে কাজ করাকালীন সময়ে সন্ত্রাসী হামলা হলে মেছের আলীর ছোট ছেলে সুকুর আলী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, ঐ দিন মেছের আলী মির্জাপুর থানায় অভিযোগ করেন। চক্রটি মিথ্যাচার করে হয়রানী করার জন্য ষড়যন্ত্র করলে মেছের আলী নিরুপায় হয়ে এসব অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে ১৫ (ডিসেম্বর) ২১ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালকের বরাবর আলাদা দুটি লিখিত আবেদন করে। এ বিষয়ে সন্ত্রাসীদের মিথ্যাচার ও অপকর্মের বিরুদ্ধে ৩০ (ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে নিরীহ ও ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদ মো. দুলাল মিয়া, লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত, প্রচারিত হলে সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয় মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা সংবাদ প্রকাশ করে পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করবে বলে জানাযায়। ২( মে) ২১ থেকে বন্ধ মুদি দোকানের (ডিসেম্বর) ২১ পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করেও নিরুপায় হয়ে সিংজুরী নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ভূমিতে মেছের আলী দোকান চালু করা হয়, ৩ (জানুয়ারী) ২২ রাতে সন্ত্রাসীরা উক্ত দোকানের সামগ্রী ভাংচুর করে। ৫ (জানুয়ারী)২২ তারিখে র্যাব, মহাপরিচালক বরাবর মেছের আলী একটি আবেদন করেন। আব্দুর রহমান বলেন, গ্রামের সকল মুরুব্বীকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার কারণে দোকান বন্ধ, একঘরে, ঈমাম সাহেব কুরবানী করে দিয়েছে। অভিযুক্ত গৌড় সরকার বলেন, গ্রামের সবাই আমাদের পক্ষে, দুলাল আর মেছেরের পক্ষে কেউ নাই। থানায় মীমাংসা না হলে, পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ে যাবো, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো। মেছেরের কোনো দলিল, পর্চা নাই, সব রতনের। মেছের আর দুলাল একটা নিরীহ সংখ্যালঘু পরিবারের গৃহবধুকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে মারপিট করেছে। মেছের জোরপূর্বক ভোগদখল করছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আশুতোষ সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, গ্রামের ৬৫ জন মুরুব্বীর নামে মামলা দিয়েছে, তাই দোকান বন্ধ। জমি রতনের, থানায় বসে মীমাংসা করা হবে। বর্তমানে আমরা সবাই নির্বাচনে ব্যস্ত। মুদি দোকানের জমির মালিক সন্তোস বিএসসি বলেন, ভাড়া বকেয়ার কারণে দোকান বন্ধ। অভিযুক্ত নাজিম মেম্বার তদন্তে বলেন, চুরির মাল রতন ফেরত দিলেও, ২৭ বছর ধরে মেছের ভোগ দখল করে আসছে তার খেসারত মেছেরকে রতন বরাবর দিতে হবে। তদন্তে নুরুল ইসলাম প্রসঙ্গে নাজিম মেম্বার, দুলাল সিকদার, গৌড় সরকার, শদু মিয়া বলেন, উনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, ছেলে সচিব। মেছেরের দলিল নাই মর্মে আসামীরা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম তদন্তে বলেন, রতন নিরীহ সংখ্যালঘু আর মেছেরের বাটাম বড় বলে জোরপূর্বক রতনের জমি মেছের ভোগদখল করছে। এসব বুদ্ধিদাতা কৃষিবিদ দুলাল। রতনের হুমকির মামলা সম্পর্কে বলেন, তার সহিত মেছের, দুলাল যোগাযোগ করে নাই বিধায় এটা করেছে, রতন বিশ্বাস মামলা করে নাই মর্মে তদন্তে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার এসআই মজিবর রহমান বলেন আমি আসামীদের বাড়িতে গেলে তাদের বাড়িতে পাই না্ই ।