শিরোনাম
বিদ্যুতখাতে অনিয়ম ও দূর্নীতিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিএনপির ধর্মঘট Headline Bullet       টাঙ্গাইলের নারী উদ্যোক্তাকে মারধর, দোকান ও বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ Headline Bullet       নাগরপুরে জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা Headline Bullet       রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের নিয়ে মৌসুমী ফলের উৎসব Headline Bullet       বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন: প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা Headline Bullet       হত্যার ভয় দেখিয়ে শিশু বলাৎকার, সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার গ্রেফতার Headline Bullet       যায়যায়দিন সমাজের প্রকৃত চিত্রের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে Headline Bullet       ভূঞাপুরে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো দুইজনের প্রাণ Headline Bullet       নাগরপুরে পথসভায় উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম Headline Bullet       মির্জাপুরে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ প্রদান Headline Bullet      

আজ ১০ ডিসেম্বর ঘাটাইল হানাদার মুক্ত দিবস

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ - ০৬:০২:০১ পিএম

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : আজ ১০ ডিসেম্বর ঘাটাইল হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা।

দীর্ঘ নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঘাটাইলের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কাদেরিয়া বাহিনীতে বিশেষ বীরত্বের অবদান রাখেন এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা। কাদেরিয়া বাহিনীর নেতৃত্বে হাবিবুরর রহমান বীরবিক্রম অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে যমুনা নদীতে পাকিস্থানী যুদ্ধ জাহাজ ধবংস করে।

এ সময় মুক্তিসেনারা বিপুল পরিমাণ গোলা বারুদ ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কব্জা করে মুক্তিযুদ্ধের নতুন দিগন্তের সূচনা করেন। কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কাদেরিয়া বাহিনী গঠিত হবার পর ঘাটাইলের মুক্তিযোদ্ধারা কাদেরিয়া বাহিনীর সঙ্গে একত্র হয়ে পাক বাহিনী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে দুর্বার লড়াই গড়ে তুলে। ঘাটাইলের মাকড়াই যুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর হাতে গুলি লাগলে তিনি মারাত্বক আহত হন। ৭ ডিসেম্বর ভুঞাপুর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় ৮ ডিসেম্বর রাত্রেই ঘাটাইলের প্রতিটি পাকবাহিনীর অবস্থানে এক যোগে আক্রমন করা হবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে। এই মর্মে প্রতিটি কোম্পানী ও কোম্পানী কমান্ডারদের আক্রমন স্থল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এই লক্ষ্যে ৫ হাজার মক্তিযোদ্ধাকে ৩০টি কোম্পানীতে বিভক্ত করে ৫টি মূল দলে ভাগ করে আক্রমনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। ৮ ডিসেম্বর রাত ১১টায় হাবিবুল হক বেনুসহ আরও একটি কোম্পানী রতনপুর অবস্থান নেয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাপ এর নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে তারা বানিয়া পাড়া সেতুর পশ্চিম পাশে তেলেঙ্গাপাড়া গ্রামে অবস্থান নেয়। ৯ ডিসেম্বর কাদের সিদ্দকীর নিদের্শ অনুযায়ী কালিদাস পাড়া, গুণগ্রাম, ঘাটাইল সদর ও বানিয়া পাড়া সেতু একযোগে আক্রমণ করা হবে। সে পকিল্পনা মোতাবেক ভোর চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত চতুর্দিক থেকে বৃষ্টির মত গুলি ছুড়তে ছুড়তে ঘাটাইল থানা আক্রমণ করেন মুক্তি বাহিনীরা বীর যোদ্ধারা। পরে মেজর হাবিব ভোরে বানিয়া পাড়া সেতু, মেজর মোস্তফা কালিদাস পাড়া সেতু দখল করে ঘাটাইল থানার দিকে অগ্রসর হন। কাদের সিদ্দিকী নিজেই পশ্চিম দিক থেকে আক্রমণ করেন। এ যুদ্ধে ৫০ জন পাকহানাদার নিহত ও ১৫০ জন বন্দী হয়।

এই দিন সম্পূর্ণরূপে ঘাটাইল হানাদার মুক্ত হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে ঘাটাইল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: