
সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানির ৪৩তম মৃত্যুবাষিকী আজ ১৭ নভেম্বর (রবিবার)
ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ১৯৭৬ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন । পরে টাঙ্গাইল সন্তোষ তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় ।এ উপলক্ষে ঢাকা ও টাঙ্গাইলের সন্তোষে বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে ।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম।সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তিনি তার জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোসে ।তিনি কৈশর যৌবনে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন ।দীঘদিন তিনি তৎকালিন বাংলা আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন ।লাইন-প্রথা উচ্ছেদ ,জমিদারি নির্যাতন বিরোধী আন্দেলেন সারা জীবনই তিনি সাধারন মানুষের কল্যানে আন্দেলন সংগ্রাম করেছেন।তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঔতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশ রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন ।
স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লংমার্চ ।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে অত্যান্ত স্নেহ করতেন মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধুও তাকে শ্রদ্ধা করতেন পিতার মত। শিক্ষা অনুরাগী ও গ্রাম বাংলার নির্যাতিত মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন মহান এই নেতা।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইলের সন্তোসে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ,আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল।
স্থানীয় প্রশাসন ,মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ,আওয়ামীলীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টি,কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি গ্রহন করেছে।