টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বল্লা ইউনিয়নে বিকাল ৫ ঘটিকায় প্রতিবাদ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল ০৪ আসনের এম পি আলহাজ্ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী, কালিহাতী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনছার আলী (বি. কম), আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও বল্লা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন।
জানা যায় যে, কালিহাতী উপজেলার বল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী চান মাহমুদ পাকির আলীকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার রাত ৯:৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার বল্লা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে গেছেন তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- সখীপুর উপজেলার কাহার্তা রামখা গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে শাওন (১৯), কচুয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে শহিদুল (১৯), কাহার্তা রামখা গ্রামের তোফাজ্জল সিকদারের ছেলে সৌমিক সিকদার(১৮), সখীপুর উত্তরপাড়া গ্রামের সাদেক আহাম্মদের ছেলে সাগর মিয়া(২৫) একই গ্রামে আব্দুস ছামাদের ছেলে রাকিব হাসান(২০), কাহার্তা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে উজ্জল(২২), কালিহাতী উপজেলার খিলগাতী গ্রামের ওসমান গণির ছেলে সুজন আহমেদ(১৯) এবং রতনগঞ্জ গ্রামের মৃত মেহের সওদাগরের ছেলে সবুজ সওদাগর(২৯)।
পুলিশ এবং সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী চান মাহমুদ পাকির বল্লা বাজার থেকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বল্লা বাজারের দক্ষিণ পাশে আসলে পিছন থেকে দু’টি মোটর সাইকেলে চার জন মুখোশধারী ব্যক্তি চলন্ত অবস্থায় তাকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান তিনি।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই রাতেই ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান হাজী চাঁন মাহমুদ পাকির আলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মামলা দায়ের করলে আসামীদের টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।