সােনালী বাংলাদশে নউিজ ডস্কে :টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যুগ্ম-সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারণা চক্রের মূল হোতা ও তার সহযোগীকে কারাদন্ড- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার রাতে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট সুখময় সরকার আশরাফ আলী খানকে ১ বছর এবং তার সহযোগী মুমিন আকন্দকে ১ মাসের কারাদ- দেয়া হয়। এরা হলেন দিনাজপুর জেলার খানসাবা উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও ভুয়া যুগ্ম-সচিব আশরাফ আলী এবং গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তর খইবাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে তার সহযোগী মুমিন আকন্দ (৩৪)।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুখময় সরকার বলেন, আশরাফ আলী বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশীদের প্রতারন করার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন এবং সে নিজেকে যুগ্ম-সচিব পরিচয় দিয়ে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সাথে দেখা করতে চান। গনশুনানী চলার সময় তিনি নিজেকে যুগ্ম-সচিব পরিচয় দিলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। পরে তারা তাকে বসতে বললে তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে যান এক পর্যায়ে গোপনীয় শাখার কর্মচারীদের হুমকি দেয়। পরে জোর করেই জেলা প্রশাসকের কক্ষে গিয়ে অসংলগ্ন আচরন করেন। জেলা প্রশাসকের সন্দেহ হলে জেলা প্রশাসক পুলিশকে ডাকেন এবং তার কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তাদের ডাকেন। পরে আশরাফ আলী ও বাইরে অবস্থানরত তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন আশরাফ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে টাকা নেয়। প্রতারক গত তিন মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে তিনি আশরাফের সাথে গিয়েছেন। এবং একেক জায়গায় একেক পরিচয় কখনো যুগ্মসচিব কখনো বিচারপতির ভাই, কখনো রাজনৈতিক নেতার এপিএস পরিচয়ে চলতো তাদের পরিচয়।
তিনি আরো বলেন, তার এক আত্মীয় কাছ থেকে চাকরির জন্য দুইলাখ টাকা ইতিমধ্যে আশরাফকে দিয়েছেন আরো এক লাখ টাকা দিতেন। টাকা দেয়ার উদ্দেশ্যে আনা ওই এক লাখ টাকা মুমিন আকন্দ এর কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে।