শিরোনাম
ভূঞাপুরে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো দুইজনের প্রাণ Headline Bullet       নাগরপুরে পথসভায় উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম Headline Bullet       মির্জাপুরে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ প্রদান Headline Bullet       আন্তঃজেলা ভলিবল প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল Headline Bullet       বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি—- কৃষিমন্ত্রী Headline Bullet       দীর্ঘ ৯ বছর পর জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণায় টাঙ্গাইল বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল  Headline Bullet       বীর নিবাস’ আবাসন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Headline Bullet       মধুপুরে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ভ্যানে থাকা স্বামী-স্ত্রী-সন্তানসহ ৪ জনের   Headline Bullet       মির্জাপুরে ইউএনওর উদ্যোগে ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ Headline Bullet       টাঙ্গাইলে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন Headline Bullet      

২৫ অক্টোবর নাগরপুর গণহত্যা দিবস

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ২৫ অক্টোবর ২০১৯ - ০৫:৩৯:৩৯ পিএম

সেনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : আজ ২৫ অক্টোবর নাগরপুর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রামের রসুলপুর গ্রামে বর্বরোচিত হামলা করে পাক হানাদার বাহিনী। হামলায় নিরীহ গ্রামবাসীসহ ৫৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। বসত বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় । এতোসব ধ্বংশ যজ্ঞ চালিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি পাক সেনারা। তারা ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে বহু গবাদি পশুও পুড়িয়ে মারে। হত্যা যজ্ঞের পর হানাদার বাহিনী চলে গেলে গ্রামবাসীর সহায়তায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বনগ্রামে গন কবর দেয়া হয়। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে শ্রদ্ধা জানাতে মুক্তিযোদ্ধা, নিহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও গ্রামবাসীরা ছুটে যান এ গণকবরে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুজায়েত হোসেন জানান, ১৯৭১ সালের ২১ শে অক্টোবর বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে গানবোট নিয়ে পাক হানাদার বাহিনী বনগ্রাম আক্রমন করে। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ১ জন মেজর সহ ৩ জন নিহত হয়। আর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শহীদ হন জেলার কালিহাতী উপজেলার নজরুল ইসলাম নজু, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার জাহাঙ্গীর আলম, আকতারুজ্জামান ও ওহাব আলী সহ ৭জন। অবস্থা বেগতিক দেখে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটে নিজ ক্যাম্পে ফিরে যায়। পরবর্তীতে পাক সেনারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ২৫ শে অক্টোবর রাতে বনগ্রাম আক্রমন করে। মুহুর্মুহ গুলি ও অগ্নি সংযোগে বনগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। আবালবৃদ্ধ, শিশু ও মহিলা কেউ রেহাই পায়নি হায়েনাদের হাত থেকে, হত্যা করে ৫৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এবং ১২৯ টি বসতবাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে। পরে তাদেরকে একত্রে মাটি চাপা দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পরে ঐ স্থানটি বনগ্রাম গণকবর হিসেবে নাম করন করা হয় ।
মুক্তিযোদ্ধা আমির হমজা জানান, ১৯৭১ সালের ভয়াল ২৫ অক্টোবর কালরাতে পাক হানাদার বাহিনী অতর্কিত ভাবে বনগ্রাম গ্রামে হামলা চালায়। তারা গুলি ও বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে তোফাজ্জল হোসেন, নূরুল ইসলাম ও হাজী খোদা বকস্ সহ ৫৭ জনকে হত্যা করে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেড়িয়ে গেলেও আজও বনগ্রাম গণ কবরের রাস্তাটি পাকা করন করা হয়নি। গনকবর সংরক্ষনের পাশাপাশি রাস্তাটি পাকা করনের দাবি জানান তিনি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: