শিরোনাম
মির্জাপুরে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Headline Bullet       টাঙ্গাইল ডিএফএ এর সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জামিলের স্মরণে শোকসভা  Headline Bullet       দেশে এবার নির্মাণ হবে দৃষ্টিনন্দন ২৬১ গম্বুজ মসজিদ Headline Bullet       মির্জাপুরে ফজলুর রহমান খান ফারুক ফুটবলে কালিয়াকৈর চ্যাম্পিয়ন Headline Bullet       অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত, প্রতিবাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন Headline Bullet       নাগরপুরে জনসভাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এলো এমপি-উপজেলা আ’লীগের দ্বন্দ্ব Headline Bullet       মির্জাপুরে ডেঙ্গু সচেতনতায় র‌্যালি Headline Bullet       বিয়ের ২ দিন পর পুকুরে গোসল করতে গিয়ে লাশ হলেন যুবক Headline Bullet       নাগরপুরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Headline Bullet       মির্জাপুরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও আইনশৃৃৃঙ্খলা সভা Headline Bullet      

টাঙ্গাইল রেলস্টেশনে সিট নেই, বেশি টাকায় টিকেট মেলে চা স্টলে

সোনালী বাংলাদেশ নিউজ
সম্পাদনাঃ ১৯ অক্টোবর ২০১৯ - ০৭:৩১:৫০ পিএম

টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট পাওয়া না গেলেও অতিরিক্ত টাকার স্টেশনের দোকানে সিটসহ টিকেট মিলে। কালোবাজির মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে টিকেট পেলেও সাধারণ যাত্রীরা পায় না। ফলে টাঙ্গাইল থেকে দাঁড়িয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়ত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এই অবৈধ কালোবাজারির সাথে জড়িত সহকারী স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে স্টেশনের কুলি। শুধু সহকারী স্টেশন মাস্টার ও কুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, স্টেশনের পাশের চায়ের দোকানে ট্রেনের টিকেট মিলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইল স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার, বুকিং সহকারী, বুকি মাস্টার, টি ম্যান, পোর্টার, টিকেট মাস্টার ও কুলিরাও টিকেট কালোবাজারির সাথে জড়িত রয়েছে। এর আগে সহকারি স্টেশন মাস্টার মো. সোহেল, টিকেট মাস্টার মো. আশরাফসহ তিনজন কালোবাজির মাধ্যমে টিকেট বিক্রির সময় গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পান। শুধু সোহেল নয়, টাঙ্গাইল স্টেশনের বুকিং সহকারী মো. হান্নান সরকার, টিকেট মাস্টার মো. আরিফ, মো. আশরাফুল, টি ম্যান মো. তারেক, মো. ফজলুল হক ও পোর্টার মো. বাদশা টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনের মাস্টার আ. মান্নান, বুকিং সহকারী মো. রেজাউল, মো. শরিফুল ইসলাম, টিকেট মাস্টার মো. রিপন ও মির্জাপুর স্টেশন মাস্টার মো. কামরুল, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. বকুল আহমেদও এই টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

সরেজমিনের টাঙ্গাইল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বুকিং অফিসের সামনে ট্রেন যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। বুকিং অফিসের দরজায় লেখা ‘কাউন্টারের ভিতরে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিশেধ’। তবে স্টেশনের কুলি প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে বুকিং মাস্টারদের সহযোগিতায় প্রবেশ করছে ও বের হচ্ছে। এমন সময় কুলি মো. মাসুদ, টোটন মিয়া ও টুটুল মিয়াকে চোখে পড়লো। তিনজনই লুঙ্গি পড়া হাতে মোবাইল। মাঝে মাঝে মোবাইলে কথা বলে ভিতরে যাচ্ছে আর টিকেট এনে অন্য জায়গায় গিয়ে কাঙ্খিত ব্যক্তিকে অধিক টাকার বিনিময়ে টিকেট দিচ্ছে। এদিকে লাইনের যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থেকে হতাশ হচ্ছে সিট না পেয়ে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা টিকেট না পেলেও ওই তিন কুলিকে বার বার বুকিং অফিসে যাতায়াত করতে দেখা যায়।

মো. হযরত আলী নামে এক যাত্রী বলেন, আমি ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সিটসহ টিকেট পাইনি। আসন সংখ্যার চেয়ে যাত্রী বেশি হলেও এই স্টেশনের যাদের লোক আছে বা যারা প্রভাবশালী তারাই একমাত্র সিটসহ টিকেট পায়। তাছাড়া অন্য কেউ পায় না। তবে অতিরিক্ত টাকায় কালোবাজারিতে টিকেট পাওয়া যাচ্ছে। যা সবার পক্ষে কেনা সম্ভব হয়না।  

প্রতিমা রাণী নামে অপর এক যাত্রী বলেন, আমি মাঝে মাঝেই ঢাকায় যাতায়াত করি। এই স্টেশনের কুলি মো. মাসুদ মিয়া আমাকে টিকেট ব্যবস্থা করে দেয়। আজকেও সে ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ১১৫ টাকার টিকিট ১৮০ টাকা দিয়ে কিনেছি।

রুস্তম আলী নামে আরেক যাত্রী বলেন, যখন টিকেট মাস্টার মো. আশরাফের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে টিকেট কিনি তখন সিট পাই। আজকে অতিরিক্ত টাকা দেই নাই বলেন সে সিট ছাড়া টিকেট দিয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে সে খারাপ আচরণও করে আমার সাথে। যা দেখার কেউ নেই।

সর্বশেষ
জনপ্রিয় খবর
%d bloggers like this: