সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইল সদর পৌর এলাকার ভাল্লুককান্দী গ্রামে আট মাসের অন্ত:সত্ত্বা মা সহ চার বছরের শিশুকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্ত্বরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত আনমানিক রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানাযায়। নিহত ওই নারী একই গ্রামের আলামীনের স্ত্রী লাকী বেগম(২২) ও তাদের মেয়ে আলিফা(৪)।
নিহতের মামা হীরা মিয়া বলেন, আমি রাত পোনে বারটার দিকে খবর পাই আমার ভাগ্নির বাসায় ডাকাতি হইছে। খবর পেয়ে আমি এসে দেখি যে আমার ভাগ্নিসহ তার চার বছরের মেয়েকে কে বা কাহারা যেন জবাই করে ফেঁলে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন,ব্যক্তিগত ভাবে আমরা কাউকে সন্দেহ করি না। আলামিনের সাথে কারো শক্রুতা আছে কিনা তা আমরা জানি না। ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর সম্পর্ক ছিল। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ট বিচার চাই।
এছাড়া,তারা বলছেন আলামিনের ঘরে আট লক্ষ টাকা ছিল। সেই টাকা দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে । এবং আলামিনের স্ত্রী ও সন্তানকে মেরে রেখে গেছেন।
মো:আমির হোসেন বলেন,ঘটনাটি খুব দু:খজনক। আলামিন আমার এলাকার সে খুব ভাল ছেলে । শহরের পৌর এলাকায় এয়ারপোর্ট রোডের ভাল্লুকান্দি আসাদ মার্কেটে বিকাশ ও ফোন-ফ্যাক্সের এর দোকান করে। আজ সকালে শুনতে পাই ওর বউ এবং মেয়েকে দুবৃত্ত্বরা জবাই করে ফেলে রেখে গিয়েছে।
তিনি আরো বলেন,শুধু আমার এলাকা বলে নয় এই রকম ঘটনা যেন আর কোন এলাকায় না ঘটে । তাই প্রশাসনের কাছে এলাকার হয়ে আমার দাবি থাকবে দোষিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।
টাঙ্গাইল সদর ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো:আব্দুর রাজ্জাক বলেন,আমি আজ সকালে ঘটনা জানতে পেরে ঘটনা স্থল দেখতে আসি।এটা খুব মর্মান্তিক ঘটনা। যারা দোষি তাদের সবাইকে আইনের আউতায় এনে দৃষ্টান্ত মূল বিচার করতে হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন,শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ডুকে মা ও মেয়েকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।