সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক গৃহকর্মীকে ধ র্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ধ র্ষক ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি স্থানীয় মাতাব্বররা ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও অবশেষে ওই অসহায় গৃহকর্মী যুবতী গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাসাইল থানায় দুই মাতাব্বরসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বাসাইল থানার এসআই এ মামলার আইও আব্দুল মোমেন শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- অভিযুক্ত ধ’র্ষক হানিফ মিয়া ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম। এরা উপজেলার সুন্যা দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলা ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সুন্যা দক্ষিণপাড়া এলাকার সানোয়ার মাতাব্বরের বাড়িতে পাশের বাড়ির এক অসহায় যুবতী গৃহকর্মীর কাজ করতেন। এ সুবাধে সানোয়ার মাতাব্বরের ভাতিজা হানিফ মিয়া ওই গৃহকর্মীর বাড়িতে যাতায়াত করতো। পরে গত ২৮ জুন ওই গৃহকর্মীর বাড়িতে গিয়ে হানিফ মিয়া তাকে জোরপূর্বক ধ র্ষণ করে। ধীরে ধীরে মেয়েটির শারীরিক গঠনের পরিবর্তন দেখা দিলে বিষয়টি পরিবার ও স্থানীয়দের নজরে আসে। এরপর ওই গৃহকর্মী তার পরিবারের কাছে ঘটনাটির বিস্তারিত জানান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেয়েটি প্রায় আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবার। বিষয়টি অসহায় গৃহকর্মীর পরিবার গৃহকর্তা সানোয়ার মাতাব্বরের কাছে জানান।পরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সানোয়ার মাতাব্বর স্থানীয় আরও কয়েকজন মাতাব্বরের সহায়তায় ঘটনাটি ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করে। পরেরদিন গৃহকর্তা সানোয়ার মাতাব্বরের নির্দেশে অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহকর্মীকে বাসাইলের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে তার বাচ্চা নষ্ট করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওই গৃহকর্মী বাদি হয়ে ধ র্ষক হানিফ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বাসাইল থানার এসআই এ মামলার আইও আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা হলে ওইদিনই অভিযুক্ত মূল আসামী হানিফ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। গৃহকর্মীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’