সোনালী বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ভাবীর পরকিয়া প্রেমিকের পা কেটে দিয়েছে দেবর। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে উপজেলার ফাজিলহাটি গ্রামের বেতবাড়ি গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে. সাইদুল হক ভূঁইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেতবাড়ি গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী শামীম মিয়ার স্ত্রী রুমা প্রতিবেশী জামাল উদ্দিনের ছেলে লাবু মিয়ার (২৪) সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে। ঘটনা জানাজানি হলে সামাজিক সালিশের মাধ্যমে উভয়কে সর্তক করে দেয়া হয়। এরপর তাদের প্রেমের সর্ম্পক আরও গভীর হয়ে ওঠে। স্ত্রীর পরকিয়ার ঘটনা জানতে পেরে শামীম বিদেশ থেকে বাড়ি চলে আসে। কিন্তু তাতেও স্ত্রীর পরকিয়া থামেনি। ঘটনার দিন শামীম ও তার ভাই উজ্জ্বল ধারালো অস্ত্র নিয়ে লাবুকে খুঁজতে থাকে। বাড়ির সামনে পেয়ে উজ্জ্বল চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। কোপে লাবুর ডান পায়ে হাটুর নিচে হাড়সহ কেটে যায়। হাত দ্বারা ফেরাতে চেষ্টা করলে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় শামীম পাশে দাড়িয়ে ছিল। পরে পরিবারের লোকজন মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান টিনিউজকে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ির সামনে উজ্জ্বল লাবুকে কুপিয়েছে। সামাজিক বিচার সালিশে তাদের বিরোধ মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাড়ির পুরুষ সদস্য পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে উজ্জ্বলের মা টিনিউজকে জানান, তার ছেলে শামীমের স্ত্রীর সঙ্গে লাবুর এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে সালিশও হয়েছে। সালিশে সতর্ক করা হলেও তারা শোনেনি। ভাবীর পরকিয়া উজ্জ্বল মেনে নিতে পারেনি তাই ছেলেটাকে পিটিয়েছে।